সব লেখার স্বত্ব লেখকের সংরক্ষিত
গতকাল রাতে নান্নু আর খালেদ মাহমুদের একটা টক শো দেখছিলাম এটিএন এ । রাতেই নান্নু আজকের খেলার একাদশের খবর বলছিলেন এবং আশরাফুল আর এবং রাকিবুলকে নিয়ে টানাটানির সমালচনা করছিলেন।
আজকের খেলায় একাদশ গঠন থেকে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিং দেয়া দুটোই ভুল স্ট্রাটেজি ।
টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়ার পেছনে মুল উদ্দেশ্য সাকিব বলল ডিউ ফ্যাক্টর। কিন্তু ঢাকায় কয়েকদিন ধরেই রাতে তেমন শিশির পড়েনা , সাকিব কেন তবুও অন্যদের মত ডিউ ফ্যাক্টর থিউরি চালালো বোঝা মুস্কিল।
বাংলাদেশের পেস আক্রমনও অর্ডিনারি , রানের ফুলঝুরি ছোটাবে ভারত এইটাই স্বাভাবিক। এই মুহুর্তে সিধু গাভাস্কাররা খুব খুশি দেখা যাচ্ছে ব্যাটিং পেয়ে। তারা বলছে প্রথম ম্যাচ বলে এটা ভারতের জন্য প্রেশার গেম আর কে না জানে প্রেশর গেমে প্রথমে ব্যাটিং করার কোন বিকল্প নেই, সেই সংগে তারা এই কথাও বলছে যে এই হিউজ ক্রাউডের কারনে রান আড়াইশোর উপরে গেলেই বাংলাদেশ চেজ করার চাপ নিতে পারবে না। তাইলে কি করল বাংলাদেশের থিংক ট্যাংক?
ভারতের ব্যাটসম্যানরা যে ফর্মে আছে তাতে তাদের প্রেশারে ফেলার একটা উপায়ই ছিল আগে ব্যাট করে একটা ভাল রান চাপিয়ে দেয়া। এখন তারা নির্ভার হয়ে ব্যাট চালাবে এবং নিশ্চিত ভাবেই তিনশর উপর রান হবে।
আর ব্যাটিং লাইন আপটা দেখুন তামিম আর সাকিব ছাড়া কেউ কি আছে যে বলের সাথে রান তাড়া করে ম্যাচ জেতাবে? রাকিবুল পিচে টিকে থেকে শুধু হারের ব্যাবধান কমাবে , বড় রান তাড়া করতে গিয়ে সে কোনদিন বাংলাদেশকে জিতাতে পারবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
ভারত কত রান করবে সাড়ে ৩০০? কত রানের ব্যবধানে হারব আমরা ১০০? সুযোগটা কে করে দিল? খেলার আগে হেরে যাওয়ার অবস্থা এখন।
শুধু একটা ই প্রার্থনা এখন এই সব নিশ্চিত হিসাব কেউ ভুল প্রমান করে একটা অতি মানবীয় খেলা খেলবে, তাইলে শুধু জিতার আশা করতে পারব আমরা। স্রস্টার কাছে এখন এই একটাই প্রার্থনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।