সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
'সকল দেশের রানী' বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সেজেছে অপরূপ রূপে। এমন ঢাকা কখনও দেখেনি কেউ। ঝকঝকে ফুটপাত, দৃষ্টিনন্দন আলপনা আঁকা সড়কদ্বীপে বর্ণিল আলোর ঝলকানি। রাতের ঢাকা এখন যেন অনিন্দ্যসুন্দর এক অপ্সরী। চারশ' বছরের এই শহর দিনের আলোতেও অদ্ভুত সজীব।
ষড়ঋতুর বাংলাদেশে এখন ঋতুরাজ বসন্তের সৌন্দর্যের দোলা। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উন্মাদনায় ঢাকায় বসন্ত এসেছে নবরূপে! রকমারি সাজে চিরচেনা ঢাকাকে এখন চেনাই দায়। গাছে গাছে সজীব ফুলপাতা চোখে না পড়লেও ঢাকার অঙ্গজুড়ে বাহারি আলপনার রঙিন ফুল। আলোকের এই ঝর্ণাধারায় গা ভিজিয়ে এমন সৌন্দর্যচ্ছটা উপভোগ করে মুগ্ধ হবেন না_ কে আছে এমন পাষাণ?
যারা স্থায়ী বাসিন্দা কিংবা নিয়মিত নানা কাজে ঢাকায় আসেন, তাদের দৃষ্টিসীমায়, কল্পনায় ঢাকা মানেই দমবন্ধ ধুলোর শহর। সাড়ে তিন লাখ হকারের দখলে থাকা জীর্ণ ফুটপাত, রঙচটা, লক্কড়-ঝক্কড় গাড়িবহর আর তীব্র যানজটের দুঃসহ যন্ত্রণার এক শহর ঢাকা।
রাতের ঢাকা মানেই 'বিকল সড়কবাতির' আঁধারে ডোবা অস্বস্তির শহর। সেই
শহরে আজ আলোর বন্যা। ফুটপাতগুলোয় হকার নেই, পথচারী হাঁটেন মনের সুখে। জনপরিবহনে নতুন রঙের ছোঁয়া, ভাঙাচোরা যানবাহন উধাও। ধুলোয় বন্ধ হয়ে আসে না শ্বাসযন্ত্র।
বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে যারা বিশ্বকাপের খেলা উপভোগের মোহে ঢাকায় আসছেন, তারা এখন ভাবতেই পারেন সিঙ্গাপুর সিটি কিংবা টোকিওর মতো এশিয়ার আরেক 'প্রশান্তির শহর' ঢাকা। সবকিছু যারা বাঁকা চোখে দেখতে অভ্যস্ত তারা অবশ্য বলছেন, এ তো ক্ষণিকের আনন্দ। এরপর যথা পূর্বং।
তারাকাদের মন্তব্য
শাবনুর যা কইল
চারদিকে একটা উত্সব উত্সব ভাব। সবার চেহারায় খুশির ছোঁয়া।
বিশ্বকাপ হচ্ছে, বিশ্বকাপ হচ্ছে—এটা দেখতে খুবই ভালো লাগছে। আমি খেলাটেলা বেশি বুঝি না। ক্রিকেটের অন্ধ ভক্তও আমি নই। কিন্তু বিশ্বকাপ নিয়ে সবার মতো আমার ভেতরেও অস্থিরতা আছে। খেলা তো দেখবই টিভিতে।
স্টেডিয়ামের যাওয়া তো সম্ভব হবে না। এটাকে তারকা জীবনের বিড়ম্বনা বলতে পারেন। তারপরও কোনো আফসোস নেই। দেশের বেশিরভাগ মানুষ তো টিকিতেই খেলা দেখবে। দোয়া করি, বাংলাদেশ দল যেন বিশ্বকাপে ভালো খেলে।
অপু বিশ্বাস যা শুনাইলেন
আমার তো খুবই খুশি লাগছে। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ হচ্ছে—অনেকটা স্বপ্নের মতো ব্যাপার মনে হচ্ছে। বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য কত প্রস্তুতি চলছে। ভাবতেই ভালো লাগছে। আর যদি বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপে ভালো খেলে, তবে তো সবার খুশি দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
আমার কেন যেন মনে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কোনো একটা চমক দেখাবে। শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকব। তারপরও চেষ্টা করব যাছাই করে কিছু খেলা দেখতে। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে না পারায় আফসোসটা থেকেই যাবে।
আর এর নামডা জানি কি ? হেই কইল
এ দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজন হচ্ছে এটা তো শতাব্দীর মধ্যে একটি বড় ঘটনা।
দুনিয়াতে শতাধিক দেশ আছে। তারা সবাই বিশ্বকাপে খেলতে পারে না। বাংলাদেশ এই গৌরবের অংশীদার। এবারের বিশ্বকাপ বাংলাদেশের জন্য আরও গৌরবজনক। কারণ এবার বাংলাদেশ আয়োজকদের একজন।
প্রস্তুতি দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ আয়োজক হিসেবে মোটেও খারাপ করবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও মনে হচ্ছে ভালোই করবে। অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছতে পারলেই আয়োজক হিসেবে পূর্ণ সম্মান থাকবে।
আর মৌসুমি খালায় যা রাখলেন
বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজন নিঃসন্দেহে সম্মানজনক ব্যাপার। তবে সম্মানটা ষোল আনা থাকবে, যদি বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো খেলতে পারে।
আমার বিশ্বাস, এবারের বিশ্বকাপে খুবই ভালো করবে বাংলাদেশ। দেশের মান রাখবেন ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপ নিয়ে আমার বাচ্চাদের উত্তেজনার শেষ নেই। ওরা অনেক দিন ধরেই অপেক্ষায় আছে। স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখারও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সংসারেও যেন বিশ্বকাপের আমেজ ঢুকে পড়েছে। আসলে সারাদেশই এখন উন্মুখ হয়ে আছে বিশ্বকাপ শুরুর জন্য।
বাদ বাকিদের কথা থাক।
লেখাটি সম্পর্ণ সমকাল ও আমার দেশ পত্রিকা থেকে নেয়া হয়েছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।