আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একা একা লাগে ভ্যালেন্টাইনস ডে তে ?মেয়ে পটাতে চান?তাহলে দেখুন তো এই টিপস গুলো কাজে লাগাতে পারেন কিনা ! 18- ও ইভটিজারদের প্রবেশ নিষেধ।

© এই ব্লগের সকল পোষ্ট,ছবি,থিম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কোথাও বিনা অনুমতিতে প্রকাশ করা নিষেধ ।

এই পোষ্টের এক মাত্র উদ্দেশ্য সেই সব তরুণদের সাহায্য করা যারা বিশেষ বিশেষ দিনে একা থাকে,মনের মধ্যে হতাশা নিয়ে বলে আমারে কেউ পাত্তা দেয় না,আমার সাথে কারো হবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। তাছাড়া ও এটা রিলেশনশিপে আছে তাদের কেউ হেল্প করবে তাদের ভালবাসাকে আরও মজবুত করতে। এই লেখটা পুরোটাই লেখা হয়েছে বাস্তব অভিজ্ঞতা হতে,আশে পাশের কেস অ্যানালাইসিস করে,ইন্টারনেট ঘেঁটে ঘুটে। তবে এই লেখার বদ ফায়দা কেউ উঠবেন না প্লিজ(অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও ইভটিজারা)।

করণীয় বিষয়াদি প্রথমে বলে রাখি, আপনার বুঝতে হবে আপনি যাকে পছন্দ করেন মনে মনে সে কেমন মন মানসিকতার। কারণ প্রত্যেকটি মানুষই পৃথিবীতে এক ও অনন্য,কারো সাথে কারো মিল নেই। আর তাই আপনার পছন্দের মানুষ টি কেমন তা বুঝতে পারা অনেক বড় একটি ব্যাপার। যদিও কথার কথা মেয়েদের মন নাকি ঈশ্বর ও বুঝতে পারেন না। ঈশ্বর বুঝুক আর না বুঝুক আপনাকে বুঝতে হবেই,এই বুঝাকে একটু সহজ করতে,একটা গোপন কথা বলি,যে কোন মেয়েই হোক না কেন(হোক সে ডিজুস মেয়ে আর হোক সে সাদাসিধে বাঙ্গালি মেয়ে)সব মেয়েই চায় একটা আশ্রয়।

আশ্রয় মানে,তাকে আপনি কি ভাবে নিচ্ছেন…হোক সেটা বন্ধু হিসেবে,হোক সেটা কলিগ হিসেবে,হোক সেটা লাইফ পার্টনার হিসেবে। আর সেই টাকে পুঁজি করে আপনই আপনার ভালোবাসার বীজ বুনবেন। হুমমম,টাকায় সবই হয়,সবাই বলে। টাকা হলে নাকি কানা ও বিশ্ব-সুন্দরী পায়। পেতে পারে,আপনার হয়তো তেমন নেই,তাতে কি একটু কৌশলী হোন এ ব্যাপারে।

কৌশলী মানে চাপাবাজি না কিন্তু,এর মানে নিজেকে আপনি স্মার্ট ভাবে প্রজেক্ট করুন আপনার ভালোলাগার মানুষের সামনে। স্মার্ট মানে আপনার কথাবলা,বাচনভঙ্গি,চোখের দৃষ্টি,হাতের মুভমেন্ট,পোশাক পরিচ্ছেদ ইত্যাদি। এখানে কথা হল,আপনি কথা বললে একটু স্পষ্ট করে কথা বলবেন,দৃষ্টি যেন ভালো থাকে। সর্বোপরি নিজেকে কখনো পরিবর্তন করবেন না,কারণ ভালোবাসাতে পরিবর্তনটা আমি নিজে পছন্দ করি না। যা করবেন তা হল নিজেকে পরিশীলিত ও মার্জিত করা।

ইয়ো ইয়ো টাইপের ছোকরা দের হয়তো ভালো লাগতে পারে খানিক সময়ের জন্য,কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য উপরোক্ত বিষয় প্রাধান্য। সম্মান করতে শিখুন মানুষকে এবং ঐ মানুষটাকেও যাকে আপনি ভালোবাসেন। কারণ প্রায়ই আমরা বলে উঠি সব মেয়েই এক,সুতরাং অসম্মান করে কখনো কিছু বলবেন না। খেয়াল রাখবেন কথা বলার সময় কখনোই আপনি হাত-পা ছুঁড়ে কথা যেন না বলেন,মুখ ও শরীর থেকে যেন বাজে গন্ধ না আসে,নাকে হাত দিবেন না,তোতলাবেন না,কথার রিপিটেশন করবেন না,মিথ্যে তথ্য কিংবা চাপা মারবেন এই বলে যে আমার এই-ঐ আছে,জোরাজুরি করবেন না,রিক্সায় উঠিয়ে দিলে নিজে হুট উঠিয়ে দিবেন –যাদের গাড়ি আছে তারা দরজা খুলে দিবেন ইত্যাদি। ভালোবাসার মানুষটির কোন বিষয়ে আগ্রহ সেটি বুঝার চেষ্টা করুন,তার আগ্রহের বিষয়কে প্রাধান্য দিন।

নিজের ব্যক্তি দর্শন কে ভালোবাসার মানুষের আগ্রহের বিষয়ের সাথে কেন্দ্রীভূত করে ঐ বিষয়ে জানার পরিধি বাড়ান। মেয়েদের বান্ধবীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে,সব সময় এটা সম্ভব হয় না,যদি সম্ভব হয় তাদের কে আপনি ইমপ্রেস করে আপনার এডভোকেট বানিয়ে ফেলবেন,এর জন্য আহামরি কিছু করতে হবেনা শুধু যেই জায়গায়ই পরিচয় হোক না কেন,আইসক্রিম,কিংবা ফুচকা,ক্ষেত্র বিশেষ এ প্রাণ এর আচার,জাল কিছু খাওয়াতে পারেন। একটা কথা এখানে ওদের প্রতি আপনার চোখের দৃষ্টি যেন স্বাভাবিক ও মার্জিত থাকে। কয়েকটি একস্যাপসনাল বিষয়াদি: ১.কিছু বদ রাগী অথবা জেদি,অথবা দেমাগি মেয়ে আছে এদের সাথে এদের অহংকার ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করেন যুক্তি তর্ক দিয়ে মার্জিত উপায়ে। ২.আপনার সেন্স অব হিউমারের প্রয়োগ করবেন কথা বলার সময়,তাছাড়াও হাস্যরস্তাক কিছু জিনিস ও যোগ করতে পারেন।

৩.ইনডায়ক্টলি বোঝার চেষ্টা করবেন আপনার সম্পর্কে সে কি ভাবে। ৪.অবার নিজেকে হেল্প করার নামে একেবারেই সহজলভ্য করে ফেলবেন না তার কাছে। সহজলভ্য হলে আপনাকে বলদের মত ইউজই করবে শুধু। ৫.মোটরসাইকেল চালাতে পারলে ভালো,যদিও আমি পারি না। যদি না পারেন তাহলে রিক্সায় করে বেরোতে পারেন।

৬.রিলেশন হওয়ার পর কখনই তড়িঘড়ি করে সেক্সুয়াল ইন্ডিকেশনে যাবেন না,চেষ্টা করবেন তার মনোভাব বুঝতে,জোরজবরদস্তি করবেন না। ৭.দুইবার যদি ইন্টারেস্ট করে ব্যর্থ হন,তাহলে তৃতীয়বার চেষ্টা করে বিরক্ত করবেন না। ৮.ভালোবাসার মানুষটিকে পঁচাবেন না অন্য কারো সামনে। ৯.ফানি হতে গিয়ে নিজেকে জোকার বানাবেন না। ১০.যেই বিষয়ে আপনার জ্ঞান বা ধারনা নেই তা নিয়ে কখনো তর্কে যাবেন না।

সবশেষে বলব হাজারো উপায় হয়তো আছে কাউকে আপনার দিকে নিয়ে আসার এগুলো হচ্ছে শুধু কিছু বেসিক অ্যাপ্রোচ। এ ম্যানর গুলো হয়তো আমরা সবাই জানি কিন্তু মানি না। সুতরাং আপনার কথা বলা,আচরণ,দৃষ্টি,বিশ্বাস আপনাকে আলাদা করতে পারে আরেকজনের কাছে। যদি আপনার ভালোবাসার মানুষের কাছে অপশন ও থাকে তাহলে আপনার পজিটিভ অ্যপ্রোচ আপনাকে জয়ী করে দিতে পারে সহজেই। কারণ,সব মেয়েই চায় ডিফারেন্ট কোন কিছু।

আর ভালবাসা হওয়ার পর,তাকে আগের মতই ট্রিট করবেন,সম্মান দিবেন,ভালোবাসার রূপ বদলাবেন যেন ভালোবাসা পুরনো ও একঘেয়ে না হয়ে যায় কখনো,আর একটা স্বপ্ন বুনে দেওয়ার চেষ্টা করবেন,যেই স্বপ্ন কে সাথী করে আপনার সাথে থাকবে সর্বদা আপনার ভালোবাসার মানুষটি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।