শূন্য হৃদয়ে ডঙ্কা বাজে এ কিসের, জানো কি হে!
সামাজিক যোগাযোগ সাইট ও সংবাদ ভিত্তিক গণমাধ্যমের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু জনগণের মতের বিরুদ্ধে ক্ষমতা আকড়ে ধরে থাকা রাষ্ট্রনায়ক ও তাদের কর্মকান্ডের প্রতিবাদে ব্যাপকভাবে সরব হয়ে উঠেছে সামাজিক নেটওয়ার্ক। ফেসবুক ও ইউটিউব, টুইটার, ব্লগ এখন আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আরব বিশ্বে যখন এমন পরিস্থিতি খুব প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে সে মুহূর্তেই সিরিয়ার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক ও ইউটিউব উন্মুক্ত করার। টানা তিন বছর ধরে বিরোধীদের আন্দোলন দমিয়ে রাখার কৌশল হিসেবে সরকার এগুলো বন্ধ করে রাখে।
এবার তা উন্মুক্ত করা হয়েছে। সেখানকার মানবাধিকার সংগঠনগুলোসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে মানবাধিকার কর্মীদের অনেকের আশঙ্কা, সরকার আরো প্রবলভাবে এসব সামাজিক যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময়ের সাইটগুলোকে আরো কড়াভাবে নজরদারি করতে পারে। তবে এতে করে তথ্য প্রবাহ আটকানোর মতো পরিস্থিতি নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফেসবুকের সঙ্গে ইউটিউব, উইকিপিডিয়া, আমাজন, ব্লগস্পট ও ইসরাইলি পত্র পত্রিার ওপর থেকেও বিধি নিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে।
মিশরে ১৮ দিনের আন্দোলনের কারণে হোসনি মোবারক পদত্যাগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে মানুষকে উদ্ধুব্ধ ও অংশ নিতে সামাজিক যোগাযোগ ও সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে। তিউনিসিয়ার স্বৈরশাসক বেন আলীর বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করার মাধ্যম হিসেবে বিরোধীরা ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ ও সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহার করছে।
মিশরে গণআন্দোলন শুরুর পর বিরোধী কর্মী সমর্থকরা বিকল্পভাবে সিরিয়া পেজ খুলে প্রচারনা চালাতে থাকে। টুইটারের মাধ্যমে প্রচারনা চালিয়ে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের বিরুদ্ধে ' বিক্ষোভ প্রদর্শন দিবস' পালনের প্রস্তুতি নেয়।
সেখানে প্রায় ১৬ হাজার মানুষ সাড়া দেয়। অবশ্য পরে তা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এসব পরিস্থিতিতে সিরিয়ার নতুন এই সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের নতুন জাগরণের কোনো উন্মাতাল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার সহায়ক হবে কিনা- এমন প্রশ্নে অনেকের হ্যাঁ সূচক বক্তব্য প্রকাশ পাচ্ছে।
তথ্য সূত্র- নিউইয়র্ক টাইমস ও কালের কন্ঠ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।