উপমহাদেশের একটি বড় সমস্যা শ্বেতী রোগ। চিকিৎসাশাস্ত্রে যাকে বলা হয় ভিটিলিগো। শ্বেতাঙ্গদের এটি নিয়ে মাথাব্যথা নেই। বাদামী বা কালো বর্ণের লোকদের ক্ষেত্রে এটি বেশি সমস্যা করে। অনেকের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে এটি বুঝি ছোঁয়াচে রোগ।
এজন্য রোগীরা বিভিন্ন সময় নিগ্রহের শিকার হন। এ ধারণা কিন্তু ভুল। এটি কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। এটি কুষ্ঠও নয়। এটি অন্য সাধারণের মতই একটি রোগ।
এটি একটি মাল্টিফ্যাক্টরিয়াল রোগ। শুধু একটি করণে নয় অনেকগুলো কারণের সমষ্টিতে এ রোগটি হয়ে থাকে। এ কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল অটোইমিউনিটি। আমাদের শরীরে বাইরের কোন বস্তু যেমন ব্যবটেরিয়া, ভাইরাস বা অন্যের দেহের কোন কোষ ঢুকলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সেটিকে চিহ্ণিত করে ও ধ্বংস করে দেয়। আশ্চার্যের বিষয় হল এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিন্তু নিজের দেহের কোন কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে না।
নিজের শরীরের কোষের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতিরোধ গড়ে তুললে তাকে অটোইমিউনিটি বলে। এটি একটি ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া। দেহের কালো রঙের জন্য দায়ী মেলানোসাইট নামে এক প্রকার কোষ। শ্বেতীরোগীদের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম নিজস্ব মেলানোসাইটকে বহিরাগত মনে করে থাকে। ইমিউন সিস্টেম মেলানোসাইটের বিরুদ্ধে লড়াই করে এদের ধ্বংস করে দেয়।
মেলানোসাইট ধ্বংস হয় বলে রোগীর কালো চামড়া সাদা হতে থাকে। এভাবেই সৃষ্টি হয় শ্বেতীরোগ। এ রোগ সৃষ্টিতে বংশগত প্রভাব থাকে। তবে তা ২০ ভাগের বেশি নয়। এ কারণে শ্বেতীরোগীর সন্তানেরা যে শ্বেতীরোগী হবে তাও কিন্তু পুরোপুরি ঠিক নয়।
এ রোগ নিয়ে উপমহাদেশে অনেক গবেষণা চলছে। আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে এ গবেষণাগুলো থেকে ভাল কোন ফল পাওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাশেদ মো. খান বলেন, শ্বেতীরোগের বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি আছে। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এগুলো কোনটিই স্থায়ী নয়। এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করালে রোগী ভাল হতে পারে তবে রোগী নতুন করে এ রোগে আক্রান্ত হবে না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
তবে দেখা গেছে যে, অনেক রোগীই চিকিৎসার পর ভাল হয়ে গেছেন। এ রোগের চিকিৎসায় পুভা থেরাপি ব্যবহার করা যায়। রোদে গেলে ত্বক কালো হয়। এ তথ্যকে কেন্দ্র করে শর্ট ওয়েভ আলট্রাভায়োলেট রে-বি ব্যবহার করে ত্বকের কালো রং আরোও বাড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও আছে স্টেরয়েড ও নন-স্টেরয়েড মলম।
ওষুধে কাজ না করলে ডার্মাটোসার্জারী করা হয়। যাকে বলা হয় মিনি পিঞ্চ গ্রাফটিং। এটিই আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এক্ষেত্রে শরীরের নিরোগ কোন স্থান থেকে মেলানোসাইট এনে আক্রান্ত স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয়। এছাড়াও ভাল স্থানের কিছু মেলানোসাইট নিয়ে কালচার করে মেলানোসাইটের পরিমান বাড়িয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে।
শ্বেতীরোগীদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু ব্যবস্থা মেনে চলতে হয়। টক জাতীয় ফলমুল ও খাবার কম খেতে হবে। মেলানোসাইট না থাকায় ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। এজন্য প্রখর সূর্যালোক থেকে দুরে থাকতে হবে। বাইরে বেরুলে সান প্রটেকশন নিতে হবে।
ছাতা ব্যবহার করতে হবে। পরিশেষে একটি কথা বলা যায়, শ্বেতীরোগ নিয়ে এত নিরাস হওয়ার কিছু নেই। এটি মারাত্মক কোন রোগ নয়, নয় কোন ছোঁয়াচে মরণব্যাধি। শুধু শরীরের রং পরিবর্তন হয়ে দেখতে একটু খারাপ লাগে এই যা।
উপমহাদেশের একটি বড় সমস্যা শ্বেতী রোগ।
চিকিৎসাশাস্ত্রে যাকে বলা হয় ভিটিলিগো। শ্বেতাঙ্গদের এটি নিয়ে মাথাব্যথা নেই। বাদামী বা কালো বর্ণের লোকদের ক্ষেত্রে এটি বেশি সমস্যা করে। অনেকের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে এটি বুঝি ছোঁয়াচে রোগ। এজন্য রোগীরা বিভিন্ন সময় নিগ্রহের শিকার হন।
এ ধারণা কিন্তু ভুল। এটি কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। এটি কুষ্ঠও নয়। এটি অন্য সাধারণের মতই একটি রোগ। এটি একটি মাল্টিফ্যাক্টরিয়াল রোগ।
শুধু একটি করণে নয় অনেকগুলো কারণের সমষ্টিতে এ রোগটি হয়ে থাকে। এ কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল অটোইমিউনিটি। আমাদের শরীরে বাইরের কোন বস্তু যেমন ব্যবটেরিয়া, ভাইরাস বা অন্যের দেহের কোন কোষ ঢুকলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সেটিকে চিহ্ণিত করে ও ধ্বংস করে দেয়। আশ্চার্যের বিষয় হল এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিন্তু নিজের দেহের কোন কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে না। নিজের শরীরের কোষের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতিরোধ গড়ে তুললে তাকে অটোইমিউনিটি বলে।
এটি একটি ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া। দেহের কালো রঙের জন্য দায়ী মেলানোসাইট নামে এক প্রকার কোষ। শ্বেতীরোগীদের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম নিজস্ব মেলানোসাইটকে বহিরাগত মনে করে থাকে। ইমিউন সিস্টেম মেলানোসাইটের বিরুদ্ধে লড়াই করে এদের ধ্বংস করে দেয়। মেলানোসাইট ধ্বংস হয় বলে রোগীর কালো চামড়া সাদা হতে থাকে।
এভাবেই সৃষ্টি হয় শ্বেতীরোগ। এ রোগ সৃষ্টিতে বংশগত প্রভাব থাকে। তবে তা ২০ ভাগের বেশি নয়। এ কারণে শ্বেতীরোগীর সন্তানেরা যে শ্বেতীরোগী হবে তাও কিন্তু পুরোপুরি ঠিক নয়। এ রোগ নিয়ে উপমহাদেশে অনেক গবেষণা চলছে।
আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে এ গবেষণাগুলো থেকে ভাল কোন ফল পাওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাশেদ মো. খান বলেন, শ্বেতীরোগের বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি আছে। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এগুলো কোনটিই স্থায়ী নয়। এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করালে রোগী ভাল হতে পারে তবে রোগী নতুন করে এ রোগে আক্রান্ত হবে না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে দেখা গেছে যে, অনেক রোগীই চিকিৎসার পর ভাল হয়ে গেছেন।
এ রোগের চিকিৎসায় পুভা থেরাপি ব্যবহার করা যায়। রোদে গেলে ত্বক কালো হয়। এ তথ্যকে কেন্দ্র করে শর্ট ওয়েভ আলট্রাভায়োলেট রে-বি ব্যবহার করে ত্বকের কালো রং আরোও বাড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও আছে স্টেরয়েড ও নন-স্টেরয়েড মলম। ওষুধে কাজ না করলে ডার্মাটোসার্জারী করা হয়।
যাকে বলা হয় মিনি পিঞ্চ গ্রাফটিং। এটিই আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এক্ষেত্রে শরীরের নিরোগ কোন স্থান থেকে মেলানোসাইট এনে আক্রান্ত স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয়। এছাড়াও ভাল স্থানের কিছু মেলানোসাইট নিয়ে কালচার করে মেলানোসাইটের পরিমান বাড়িয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। শ্বেতীরোগীদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু ব্যবস্থা মেনে চলতে হয়।
টক জাতীয় ফলমুল ও খাবার কম খেতে হবে। মেলানোসাইট না থাকায় ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। এজন্য প্রখর সূর্যালোক থেকে দুরে থাকতে হবে। বাইরে বেরুলে সান প্রটেকশন নিতে হবে। ছাতা ব্যবহার করতে হবে।
পরিশেষে একটি কথা বলা যায়, শ্বেতীরোগ নিয়ে এত নিরাস হওয়ার কিছু নেই। এটি মারাত্মক কোন রোগ নয়, নয় কোন ছোঁয়াচে মরণব্যাধি। শুধু শরীরের রং পরিবর্তন হয়ে দেখতে একটু খারাপ লাগে এই যা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।