আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাছপালার ক্ষতি করছে ইন্টারনেট.......................

বিপ্লব স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমি লেলিন......

ওয়্যারলেস ইন্টারনেটের অ্যাক্সেস পয়েন্টগুলো গাছপালার ক্ষতি করছে। নেদারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা এমনটি বলছেন। তবে এই বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি বিজ্ঞানীরা। তাঁদের গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করা হবে আগামী বছরের শুরুতে। হল্যান্ডের আল্পেন আন ডেন রিন শহর।

এই শহরের গাছের পাতাগুলো কেমন যেন বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছিলো। গাছগুলোও ঠিক যেন সতেজ নয়। শহর কর্তৃপক্ষ ঠিক বুঝতে পারছিলেননা এমনটি কেন হচ্ছে ? নগর প্রধান এরপর যোগাযোগ করলেন ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে৷ কারণ খুঁজে বের করার দায়িত্ব দিলেন তাঁদের উপর। আর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন, গাছপালার এই অবস্থার জন্য অপরাধী আর কেউ নয়। ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কই এর জন্য দায়ী।

গবেষকরা অবশ্য ওয়্যারলেস ফ্রিকোয়েন্সির একটা মানদন্ড নির্ধারণ করেছেন। বলছেন, ২৪১২ থেকে ২৪৭২ মেগা হার্টজ ফ্রিকোয়েন্সির ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস পয়েন্টগুলোর গাছপালার ক্ষতি করার সম্ভাবনা নেই। বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণা থেকে যে বিষয়গুলো খুঁজে পেয়েছেন তার সারাংশ তুলে ধরেছেন ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে৷ সেখানে তাঁরা বলেছেন, দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগের ওয়াইফাই থেকে পঞ্চাশ সেন্টিমিটার দূরত্বের মধ্যে গাছপালা থাকলে এর ধাতব পদার্থের প্রভাব গিয়ে পড়ছে গাছপালার উপর। যে কারণে গাছের পাতা আর্দ্রতা হারাচ্ছে এবং কিছু কিছু পাতা মরেও যাচ্ছে। তবে বিজ্ঞানীরা এ কথাও বলছেন, তাঁরা প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষণায় এই বিষয়গুলো সনাক্ত করেছেন।

এই বিষয়ে আরও ব্যাপক গবেষণা চালানোর পরই কেবল বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব। পাইলট এই গবেষণায়, বিশটি গাছকে দু'ধরণের জায়গায় রাখা হয়েছিলো। এক জায়গায় ওয়্যারলেস পয়েন্ট ছিলনা এবং অন্যজায়গাটিতে ছিলো ওয়্যারলেস পয়েন্ট। দেখা গেছে, কেবল যে জায়গায় ওয়্যারলেস পয়েন্ট ছিল সেখানকার গাছের পাতাগুলো বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। গবেষণা দলটির প্রধান ড.আন্দ্রে ভান লামেরেন ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন,‘‘প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষণাটি শেষ করতে আমাদের সময় লেগেছে তিন থেকে চারমাস।

এখন আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আরও বিশদভাবে গবেষণা করতে চাই। '' বিশাল পরিসরে সারা দেশের গাছপালার জন্য এই বিষয়টিকে সমস্যা হিসেবে দেখছেন নেদারল্যান্ডের একটি গবেষণা দল। আর তাঁদের গবেষণার অংশ হিসেবে সেই দেশের একটি শহরের উপর এই বিষয়টি নিয়ে পাইলট গবেষণা চালিয়েছেন ড. ভান। সূত্রঃ ডিডাব্লিওডি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।