অশুভ শক্তির মুখোশ উন্মোচনেই তৃপ্তি
বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় যৌন হয়রানি বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। ফলে এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রী পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। বখাটেদের দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে, সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পর্যন্ত মেয়েদের পাঠানো যাচ্ছে না। এসব কারণে কোটালিপাড়ায় বাল্যবিবাহ বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
আমরা সকলেই জানি, কোটালিপাড়া হলো আওয়ামীলীগের নাম্বার ওয়ান ঘাঁটি।
সেখানে এধরনের ইভটিজিং এবং ইভটিজারদের ভয়ে বাল্যবিবাহ বেড়ে যাওয়ার দায়দায়িত্ব বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের গালে দারুণ একটি চপেটাঘাত নিশ্চয়ই। ইভটিজিংএর ঘটনা বেড়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী ব্যাপারটিকে 'অতিরঞ্জন' বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার নিজের বাড়িতেই যখন এধরনের ঘটনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তিনি এর কী জবাব দেবেন?
ইভটিজিং কারা করে থাকে? সাধারণত এলাকায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় যারা থাকে তারাই এসব কাজে জড়িত থাকে। কোটালিপাড়া এলাকায় যেসব বখাটে ইভটিজিং করে তাদের ছাত্রলীগার হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। কারণ, এলাকায় ইভটিজিংএর এহেন ঘটনা এতদিন পর্যন্ত চলে আসছে অথচ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় বলেই বখাটেদের পক্ষে এতটা বেপরোয়া হওয়া সম্ভব হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।