আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতকে নিষিদ্ধ করতে না পারলে জোটের জন্য বিএনপিকে অপবাদ দেওয়ার কোন নৈতিক অধিকার আলীগের নাই!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গণতন্ত্রে একটা কথা আছে Majority should be granted! এই কথা বিবেচনায় নিলে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩০টিরও বেশী আসনে জেতা শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগের পক্ষে মাত্র ২ সিটের জামাতকে নিষিদ্ধ করা কোন ব্যাপারই ছিল না। জামাতকে নিষিদ্ধ করার ১০০% বৈধ ক্ষমতা আছে আলীগের। কিন্তু ২০১০ সালের ২৩শে জুলাইয়ে আলীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন; “আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন দল নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে । কারন রাজনীতি করার অধিকার সবার রয়েছে..........” কালের কণ্ঠ / ২৩ শে জুলাই , ২০১০ / শেখ হাসিনার বক্তব্য জামায়াত নিষিদ্ধকরণ বিষয়ে Click This Link (কৃতজ্ঞতা ব্লগার দাসত্ব) অর্থ একটাই হাসিনা জেনে শুনে জামাত সমর্থকের ভোট বিএনপিতে যেতে দিবে না। তার লক্ষ্য হয় জামাতকে বৈধ দল হিসেবে রেখেই বিএনপি হতে তাকে সরিয়ে রাখা।

আর তা না করা গেলে বিএনপিকে ৭১এর ঘাতকের সহযোগী দল হিসেবে অপবাদ দেওয়া। তাইলেও যদি হাসিনার আলীগ ভোটের অংকে লাভবান হয়। জামাতকে নিষিদ্ধও করবে না কিন্তু বিএনপিকে ঠিকই অপবাদ দিয়েই যাবে! বিষয়টি ভন্ডামি ও অনৈতিক হলেও হাসিনা ও তার বিবেকহীন অনুসারীদের বলে কথা। দীর্ঘ মেয়াদের রাজনীতি ও শাসন ক্ষমতা একমাত্র ভোটের দ্বারাই একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্ধারিত হয়। এখন যখন হাসিনা, আলীগ ও তার চামচারা লক্ষ চেষ্টা করেও বিএনপি ও জামাতের জোট ভাঙতে পারল না তখন সাধুর মুখোশধারী আলীগের কিছু বুদ্ধিজীবি ও সমর্থক এবং ভন্ড সুশীল গং বার বার এবং এখনও বলে ৭১এর মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার দল কত ভাল কিন্তু সমস্যা হল জামাতকে সঙ্গে নিয়ে জোট করা।

একে ত্যাগ করলেই বিএনপিকে কত্ত সুন্দর লাগবে! তাই ইশপের গল্পে বর্ণিত শিয়াল ও কাকের কাহিনী মনে পড়ে গেল!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.