কাল রাত থেকে প্লানিং চলছিল জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটিতে ঘুরতে যাওয়ার । চারজন রুমমেট আর চারজন ফ্রেন্ড মিলে ঢাবির এক ছোট-খাট গ্যাঙ। ছুটির দিনে একটু রিফ্রেশমেন্ট দরকার ...তাও আবার প্রকৃতির কোলে । সকাল আটটা বাজতেই সবার রেডি হওয়া শুরু । বের হতে হতে নয়টা ।
শুরুতে লক্ষ্য শাহবাগ .....বাস ধরব বলে । রাস্তার মধ্যে জাবির একটা বাস পেলাম । ব্যাটারা নিলনা । কি আর করা ! অগত্যা কাউন্টার । কিন্তু আমরা কেউই সিট নিশ্চিত না করে বাসে উঠব না ।
গ্যাঙের লিডার জাফরিন আপু ( ব্লগার জাফরিন) বাসে উঠে সিট ফাঁকা আছে কিনা দেখতে লাগল । নাহ...কোন বাসেই ৮ টা ফাঁকা সিট নেই ! অবশেষে দেখা মিলল কাঙ্খিত বস্তুর ।
পিকনিক পার্টির মতন সারা রাস্তায় মজা করতে করতে গেলাম ( মনে হচ্ছিল, জীবনে একটাই ছুটির দিন পেয়েছি..একটু এনজয় করে নেই )
জাবিতে ঢুকেই দেখা পেলাম পাখি মেলার । একদিকে পাখির ছবির প্রদর্শনী আরেকদিকে লেকের পানিতে জলজ্যান্ত অতিথি পাখি । মনে হচ্ছিল ভাল সময়েই এসে পড়েছি ।
লেক-ভর্তি শাপলা আর ভাসমান পাখি । আর পাখিদের অবাধ উড়াউড়ি ।
পাখি-টাখি দেখে আর ঘুরা-ঘুরি করে একটা হলে ঢোকার প্লান করছিলাম (অন্য হলে ক্যামনে ঢুকতে হয় তা আমাদের গ্যাঙের অনেক ভালই রপ্ত )। ফজিলাতুন্নেছা হল । যাওয়া পথে দেখি এক আচার-ওয়ালা আচার বিক্রি করছে ।
তো সবাই খাইতে দাঁড়াইলাম । আচারওয়ালার ভ্যানে দেখি এক জিনিস । তার নাম নাকি পাগলা পানি খাইলে নাকি পাবনা মেন্টালে যাইতে হয়
ঘুরতে ঘুরতে পেটে আগুন ধরে গেল । তাই গন্তব্য বটতলা । যাইতে যাইতে রাস্তায় ধপাস
ভুড়ি-ভোজনের পর সবাই গেলাম এক লেকের ধারে আড্ডা মারতে ।
আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে ...
হঠাৎ শুনি ঢাবির একদল পোলা-পাইন মানে আমাদের এক বছরের কিছু ছোট ভাই পিকনিকে এসেছে জাবিতে তো আমাদের পোয়াবারো । তাদের সাথে তাদের বাসেই ফিরব বলে ঠিক করলাম । পিকনিক পার্টির সাথে ভালই মজায় ফিরলাম । রুমে এসে ধপাস ! বড্ড ক্লান্ত এখনও ঘুমোতে যাবার তর আর সইছে না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।