লোচনে যতনে দেখি। কোপনে গোপনে লেখি। ।
মেহেরজান সিনেমার গল্পটি লিখেছেন এ-বাদড় ড়হমান। তাইনে একখান নো-বেল লিখ প্রকাশ করেছিলেন ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
নো-বেলটির নাম গুলমোহর রিপাবলিক।
গুলমোহর উর্দু শব্দ। শব্দটির অর্থ হল--কৃষ্ণচূড়া ফুল।
পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান কৃষ্ণচূড়া শব্দটি বাতিল করে দেয়। পাকিপন্থী জামাতি বুদ্ধিজীবি সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইনরে ডেকে বলে--কৃষ্ণ কেডায়?
হারামজাদা সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন বলে, হুজুর কৃষ্ণ হৈল গিয়া কৃষ্ণ।
--হেইডা তো বোঝলাম। তয় অই কৃষ্ণডা কেডায়? সোজা কইরা ক হারামি। নো ধানাই পানাই।
সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন বিশিষ্ট শিক-খাবিদ। তার নিজের বিঁচি না থাকলেও ইনভার্সিটিরি বিচি।
বেটা হারামি গালি শুনে একটু থতমত খেয়ে গেল। তবু আইয়ুব খান বলে কথা। একটু সামলে নিয়ে কয়, হুজুরে আলা, কৃষ্ণ অইল গিয়া ইন্ডিয়ার দালাল।
--ইন্ডিয়ার দালাল? মানে কাফির। অরে কাতিল করিস না ক্যান? কাতিল কর।
--তা কী কইরা সম্ভব। উনি ওফাত করছেন।
--শালা, ধরার আগেই মইরা গেল? শালা কি বাংলায় বাতচিৎ করত?
--করত মনে লয়।
--শালা, ধুতি পরত?
--পরত মনে লয়।
--শালা বিয়া করছিল?
--করছিল মনে লয়।
তয়?
--তয় কি? বউ হেরে তাল্লাক দেছে?
--না হুজুর। হ্যার বউয়ের শ্যাষ আছেলে না। মাইয়া দ্যাখলেই কাইত।
--গুড। ভেরী গুড।
আমগো পাকিস্তানীগুলার লাহান ধর্ষকামী । ওয়ার বেহেস্ত নসীব হউক।
--হুজুর, কিছু বাতাইলেন?
--কি আর কমু। শালায় তো মইরা বাঁচছে। অহন আমি কী করি?
--হুজুর আপনে কী-ও করতে পারেন।
--কতো হারামজাদা, কী করতে পারি আমি?
--হুজুর, আপনে অই হারামজাদা কাফির কৃষ্ণর নামে কৃষ্ণচূড়া ফুলটার নাম বদলাইয়া দেন।
--কী করুম?
--কৃষ্ণচূড়া ফুলটার একটা পাকিনাম দ্যান।
--গ্রেট। ওইটার পাকিনাম হইবে গুলমোহর। গুলমোহর।
--মারহাবা মারহাবা।
--চিন্তা করিস না বেকুব। তর ওফাতের পর আরেক পাকিছাগল ফরহাদ মজহার নাজেল হইবে। পূর্ব পাকিস্তানে হামারা পাকিরা পুন্দাইয়া খাইয়া চইলা আইলে গোলাম আজমের লগে ফরহাদ কাম করবে। হ্যায় এই গুলমোহর থিম লৈয়া কোবতে লেখবে—নাম মেহেরজান।
আর হ্যার গাঞ্জাখোর পোলা এ-বাদুড় গুলমোহর রিপাবলিক নামে পাকিজমানোর একখান পুনর্মিলনী নো-বেল ল্যাখবে। হেইখানেও গুলমোহরের মোহের থাকিবে। সেই মোহরে লেখা থাকবে—একাত্তুরে পাকিদের দ্বারা ধর্ষিত হইয়াও ধর্ষিতা মেহেরজান কইবে পাকি মেরা জান। পাকিগো লগে মেরা পিয়ার কি জিন্দাবাদ।
--হুজুর—এইটা তো ষঢ়যন্ত্র?
--খামোশ হারামজাদা।
পাকিগো নুনুযন্ত্র আর ষড়যন্ত্র ছাড়া আর আছে কিছু?
---------------------------------------------------------
নোট : ১,২,৩....১৮+, ১৯+, -২০ যা ইচ্ছা লাগান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।