যে যায় লংকায়, সে হয় রাবন
অবশেষে শব্দটি বাংলা সাহিত্যে অতিব গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ। এক সময় রবীন্দ্রনাথের বিদেশ ভ্রমনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। অনেক আলোচনা সমালোচনা পর রবীন্দ্রনাথ যখন বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পাইলেন, তখন তিনি একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, যাক অবশেষে.................। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবস্থাও তথৈবচ। এক সময় তিনি ঘোষনা করিলেন যে, আড়িয়াল বিলে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর স্থাপন করা হবে।
তার মুখ নি:সৃত বাণী অনুযায়ী কাজে নেমে পড়লেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বিধি বাম। বিলবাসী তা মেনে নিতে পারলেন না। প্রথমে তারা সোজা পথে এর প্রতিবাদ করলেন। কিন্তু এই প্রতিবাদ সুদূঢ়(?) মুন্সিগঞ্জ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত পৌছায়নি।
ফলে যা হবার তাই হলো। আমাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠে না বাক্যকে হৃদয়াঙ্গম করে যখন আড়িয়ালবাসী লঙ্কাকান্ড ঘটিয়ে ফেললেন, একটি লাশ এবং হাজার হাজার মানুষের রক্তে রঞ্জিত হলো রাজপথ, তখণ আমাদের টকন নড়লো। এবং অবশেষে ..................মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলিলেন যে, তাহাদের (আড়িয়ালবিলবাসী)সাথে আমি একমত পোষন করিলাম। সম্মানীত রাজনীতিবিদদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, সাধারণ মানুষের ভোটে আপনারা ক্ষমতায় আরোহন করেন। যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবন এ ধারনা থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্টকে মুল্যায়ন করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।