আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রতারণার কৌশল



প্রতারণার ফাঁদ পেতে এদেশে ব্যবসা করে যাচ্ছে স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এদেশের মানুষকে আর্থিকভাবে শোষণ করছে। স্টান্ডার্ড ব্যাংক যেভাবে মানুষের টাকা শোষণ করে তাতে প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে মুনাফার নামে। আমরা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে তাদের সহযোগিতা করছি। তাদের সাথে যারা ব্যাংকিং করেন তাদের কাছ থেকে পদে পদে সার্ভিস চার্জ এই কমিশন সেই কমিশনের নামে উঠতে বসতে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

তারা বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড, পারসোনাল লোন ইত্যাদি লোনের নামে এসব কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। কেউ স্বেচ্ছায় কেউ অনিচ্ছায় তাদের ফাঁদে পা দিয়ে জড়িয়ে পড়ছে মাসুলে হিসেবে। তারা তাদের বিভিন্ন চার্জ বা ফি, কমিশন চেক প্রতি টাকা, স্বাক্ষর না মিললেও নতুন চেক কাটো এবং সেখানেও চেকের টাকা, হিসেব ক্লোজ করতে গেছেন চার আনা আটানা যদি কেউ না দেয় তাহলেও মাসে মাসে শত শত টাকা জরিমানা গোণানোর নামে এসব করা হয়। অনেক জিনিসই তারা অস্পষ্ট রেখে প্রথমেই ধোঁকাবাজির আশ্রয় নেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রেই মার্কেটিংয়ের সময় অনেক ফাঁদের কথা গোপন রাখতেও সংশ্লিষ্টদের শিখানো হয়।

প্রথমে বিষয়টি গোপন রেখে আস্তে আস্তে বিষয়গুলো প্রয়োজন অনুসারে বা অভিযোগ করলে জানানো হয়। অনেক ক্ষেত্রেই তখন গ্রহীতার কিছুই করার থাকে না। তাদের ক্ষুদ্রঋণ রীতিমতো প্রতারণার ফাঁদ। আপনি আর্থিক সুবিধা হয়তো তাৎক্ষণিক পাচ্ছে। কিন্তু লাভের গুড় পিপঁড়ায় খাচ্ছে।

কি পরিমাণ টাকা কোথায় কাটা হবে তা দেখা গেছে যেভাবে বলেছিল সেভাবে নয়, তাদের নির্দিষ্ট হারেই জায়গায় জায়গায় টাকা নেয়া হচ্ছে। তাহলে তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে প্রথমেই বিস্তারিত বলা হয় না কেন। প্রথমেই কেন গোপনীয়তার আশ্রয় নেয়? বাংলাদেশ ব্যাংক মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের চার্জ বা সার্ভিস চার্জের নামে দেশী ব্যাংক গুলোর প্রতি মিউ মিউ স্বরে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। কিন্তু বিদেশী এসব শোষকদের প্রতি কখনো কোনো টু শব্দ করেছে কিনা শোনা যায়নি। পত্রপত্রিকায় চোখে পড়েনি।

তাদের এই শোষণ অব্যাহত আছে। তারা নানা সময় বিভিন্ন সেবা প্রদানের মাধ্যমে নতুন নতুন প্রতারণার কৌশল আবিষ্কার করে। ভুক্তভোগীর অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ করেও কোনো ফল পায় না। তাদের কৌশলের কাছেই হার মানে। অনেকেই নিরবে মেনে নেয়।

আপাতত হয়তো সাধারণ নিয়মে ব্যাংকিং করছে বলে মনে হয়। কিন্তু মুনাফার হিসাব কি মানা হচ্ছে? বিদেশী ব্যাংক বলে তাদের কৌশল কি আমরা মেনে নিয়েছি? বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা উচিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।