আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণরোষে অস্তিত্ব বিলীনের আশঙ্কায় জামায়াত, যুদ্ধে জেএমবি, হুজি, হিযবুত তাহ‌রীরকে মাঠে নামিয়েছে।

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দেশজুড়ে ব্যাপক গণরোষে অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দেশের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছে জামায়াত-শিবির। দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বিএনপির এ রাজনৈতিক মিত্র একাত্তরের ভয়ঙ্কর সেই চেহারা নিয়ে সশস্ত্র তা-ব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ওপর। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের মৌলবাদী জঙ্গীদের মতো ভয়ঙ্কর সব অস্ত্র। আইন-আদালত, প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও অফিস, রেলসহ বিভিন্ন পরিবহন, সাধারণ মানুষ কেউ রক্ষা পাচ্ছে না হিংস্রতা থেকে।

একাত্তরের ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়ে ধর্মের বিকৃত ও বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সাধারণ মানুষকে। ধর্মীয় জিকির তুলে হামলা করা হচ্ছে হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরসহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর। নেয়া হয়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অপকৌশল। জাতীয় মসজিদসহ সকল মসজিদকে ব্যবহার করছে উগ্রবাদী রাজনীতির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। কেবল প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল নয় দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামারাও বলছেন, জামায়াত একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়।

দেশবাসীকে জামায়াত সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে তারা বলেছেন, জামায়াত কোন ইসলামী দল নয়, জামায়াত হলো ইসলামের আসল শত্রু। ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে জামায়াত একাত্তরেরও গণহত্যা চালিয়েছে। ধর্মকে পুঁজি করে আবার আঘাত হানার অপচেষ্টা করছে। জামায়াতের কারণে ইসলাম আজ দুর্নামের ভাগীদার। একই সঙ্গে তারা অভিযোগ করেছেন, জামায়াত আর ইসলাম এক নয়।

প্রতিষ্ঠা থেকে আজ পর্যন্ত ইসলামবিরোধী চেহারা বদলায়নি জামায়াত-শিবির। সত্যিকারের ইসলামের বিপরীতে আজও চলছে ওরা। এর প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী মাওলানা না হয়েও নামের আগে ব্যবহার করেছেন মাওলানা শব্দ। এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে একাত্তরের ঘাতক দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশের পর গত দুদিন ধরে দেশব্যাপী আরও সহিংস হয়ে উঠেছে মিত্র জামায়াত-শিবির। একের পর এক সশস্ত্র হামলা শুরু করেছে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুদিনে মারা গেছে ৪৫ জন। পুলিশবিদ্ধ শতাধিকসহ আহত অন্তত এক হাজার। গাইবান্ধায় জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা ধরে নিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তিন পুলিশ সদস্যকে। কয়েকটি স্থানে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এক আওয়ামী লীগকর্মীসহ সাধারণ মানুষকেও। বাঁশখালী ও নোয়াখালীতে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে জামায়াত-শিবির হামলা চালিয়েছে একাত্তরের কায়দায়।

বাড়িঘরে দেয়া হয়েছে আগুন। হত্যা করা হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধকেও। অন্যদিকে উগ্র মৌলবাদী এই দলটির ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট ভারতের হায়দারাবাদে প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের এ জামায়াতে ইসলামীর। আবু আলা মওদুদীর প্রতিষ্ঠিত এই দলের নাম ছিল ‘জামায়াতে ইসলামী হিন্দ’। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা যখন প্রায় নিশ্চিত ঠিক সেই সময়ও এই মওদুদী বলেছিলেন, ভারতের স্বাধীনতার চেয়ে এই মুহূর্তে বেশি জরুরী হলো এখানে হুকুমতের আইন প্রতিষ্ঠা করা।

স্বাধীনতার কয়েকদিন আগে ১৯৪৭ সালের এপ্রিল মাসে পাটনায় জামায়াতের সম্মেলন করেন মওদুদী। আগস্টে স্বাধীনতার পর মওদুদী পাকিস্তানের লাহোরে একটি বস্তিকে ‘দারুল ইসলাম’ ঘোষণা করে সেখানে অবস্থান নিতে থাকেন। এখান থেকেই দল পরিচালনা করে উগ্রবাদী সব বইপুস্তক প্রকাশ করেন। ’৬২ সাল পর্যন্ত অন্তত ১০০ প্রবন্ধে মওদুদী বলেন, ‘পার্লামেন্টে মহিলা সদস্য আসন নাজায়েজ’। অথচ ঐ বছরেই ফাতেমা জিন্নার পক্ষে নির্বাচনে তার সঙ্গে কাজ করেন জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পকিস্তানে জামায়াত শাখার আহ্বায়ক করা হয় খুররম শাহ মুরাদকে। মাওলানা আব্দুর রহীম, ব্যারিস্টার কোরবান আলী ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক। আব্দুর রহীম কারমাইকেল কলেজ থেকে জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে আসেন গোলাম আযমকে। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কাজ শুরু করে দলটি। আইয়ুব খান প্রণীত মুসলিম পরিবার অধ্যাদেশের বিরোধিতা করার কারণে ১৯৬৪ সালের ৪ জানুয়ারি জামায়াতের কর্মকা-ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

তবে ঐ বছরেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সরকার। ’৬৬-তে আওয়ামী লীগের ছয় দফার তীব্র বিরোধিতা করে জামায়াত। ’৭০-এর নির্বাচনে জামায়াত পশ্চিম পাকিস্তানে ৪টি আসনে জয়লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেই ১৯৭১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ডা. আব্দুল মালিককে গবর্নর করে যে প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হয়েছিল তাতে শিক্ষামন্ত্রী হয়ে আসেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্বাস আলী খান। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে রাজাকার, আলবদর, আল-শামসসহ বিভিন্ন বাহিনী গঠন করে জামায়াত চালায় গণহত্যা।

১০ এপ্রিল পাকিস্তানের অখ-তা রক্ষার ঘোষণা দিয়ে গঠন করা হয় ‘শান্তি কমিটি’। মুক্তিযুদ্ধের পর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে জামায়াত নিষিদ্ধ হয়। আত্মগোপন করে গণহত্যার নায়ক জামায়েত নেতারা। ’৭৫-এ জাতির পিতার হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আশীর্বাদে ফিরে আসে যুদ্ধারাধীদের দল। ১৯৭৬ সালের আগস্টে জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে তাদের রাজনীতি উন্মুক্ত করে দেয়।

এ সময় ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগের (আইডিএল) হয়ে কাজ চালায় জামায়াত। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে কয়েকটি পদে জয়লাভ করে আইডিএল। এই নেতাদের মধ্যে ছিলেন আব্দুর রহিম, সিদ্দিকুর আহমেদসহ অনেকে। ঐ বছরই জিয়াউর রহমানের বদৌলতে গোলাম আযম বাংলাদেশে ফিরে এলে আইডিএল ভেঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশে গঠিত হয় ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। ’ যার ভারপ্রাপ্ত আমির হন একাত্তরের ঘাতক আব্বাস আলী খান।

দলে আসেন একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধী সকল জামায়াত নেতাই। এদের মধ্যে যারা জীবিত আছেন তারাই এখন জামায়াতের শীর্ষ নেতা। সাংবিধানিকভাবে বৈধ হওয়ার আশায় গত বছরের শেষ দিকে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দলের নাম পাল্টে ফেলে জামায়েত। জামায়াতে ইমলামী বাংলাদেশ নাম পাল্টে ধারণ করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির শরিক দল হিসেবে দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে দলটি ১৮টি আসনে জয়লাভ করে।

পরবর্তীতে চারদলীয় ঐ জোটের অন্যতম শরিক হিসেবে সরকার গঠন করে। কিন্তু সর্বশেষ নির্বাচনে চারদলীয় জোটের শরিক হওয়ার পরেও জামায়াত পায় মাত্র দুটি আসন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার গণদাবিতে রূপ নেয়ায় গত নির্বাচন ছিল যুদ্ধাপরাধীদের জন্য অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। আর এই নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকেই বেকায়দায় পরে জামায়াত। নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেই যুদ্ধাপরাধ বিচারের ঘোষণা দিলে চাপে পড়ে জামায়াত।

সংশ্লিষ্টদের অভিমত, যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া যতই এগিয়ে চলছে ততই হিংস্র হয়ে উঠছেন নেতাকর্মীরা। কারণ আমির নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদসহ দলটির শীর্ষ প্রায় সকল নেতাই যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ১৫ সদস্যের ১৪ জনই সরাসরি যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত। তবে কেবল এরাই নয়, যুদ্ধাপরাধের বিচার হলে রীতিমতো অস্তিত্ব বিলীন হয়ে পড়বে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের অসংখ্য নেতা। এদিকে দেশজুড়ে দাবি উঠেছে, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।

দুটো বিষয়ই বিচলিত করে তুলেছে জামায়াতের নেতাদের। তবে যে কোনভাবে দেশকে অস্থির করতে প্রক্রিয়া চলছেই। প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জামায়াত তার ৮৭টি সাংগঠনিক জেলায় সকল পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে গোপনেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জামায়াত-শিবিরের সামনে এখন যে ভয় তা গত ৭২ বছরেও মোকাবেলা করতে হয়নি তাদের। জামায়াত নেতারাও বলছেন, তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই চলছে।

দুদিন ধরে সংঘর্ষ নিয়ে কথা বলতে শুক্রবার রাতে এক জামায়াত নেতার সেলফোনে কল করা হলে তিনি প্রথমেই বলেন, ভাই আমার নাম ব্যবহার করে কথা লিখবেন না। আমি মুখপাত্র নই। নাম লিখব না কথা দিলে তিনি বলেন, জামায়াত একটি গণতান্ত্রিক দল। আমাদের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের মতো অপকর্ম করা হচ্ছে। তবে আমরা আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সব কিছুই করতে প্রস্তুত।

গত দুদিনে সারাদেশে যেভাবে অস্ত্রসহ মাঠে নেমেছেন কর্মীরা একে গণতান্ত্রিক পন্থা বলা যায় কীনা? এমন প্রশ্ন করা হলেই লাইন কেটে দেন এই জামায়াত নেতা। সুত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ করার জন্য জেএমবি, হুজি, হিযবুত তাহ্্রীরসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনগুলোর আত্মগোপনে থাকা জঙ্গীদের মাঠে নামিয়েছে জামায়াত-শিবির। যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ওরফে দেইল্লা রাজাকারের ফাঁসি দেয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গীরা বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের ওপর আক্রমণ করে হতাহত করছে। পুলিশ সদস্যদের নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করছে। জঙ্গী সংগঠন জেএমবি, হুজি ও হিযবুত তাহ্্রীরকে জঙ্গী তৎপরতা করায় নিষিদ্ধ করার পর জামায়াত-শিবির তাদের ব্যানারে মাঠে নামিয়েছে।

জামায়াত-শিবিরের সহিংসতার ঘটনার তদন্তে এই ধরনের তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনগুলোর আত্মগোপনে থাকা জঙ্গীদের কাছে আছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদের মজুদ। জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে জঙ্গীরা। যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে বিগত দুই বছর ধরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ করেছে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর একের পর এক আক্রমণ করে যাচ্ছে এবং বৃহস্পতিবার বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশের ওপর আক্রমণ করে তাদের হতাহত করেছে।

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী চট্টগ্রাম, বান্দরবান, সিলেট এলাকার দুর্গম পাহাড়ের গহীন অরণ্যে ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড-বোমা ও বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার ও জঙ্গীরা। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গী ও ক্যাডার অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে আত্মগোপনে থেকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার ঠেকানোর সহিংস ঘটনায় অংশ নিচ্ছে। গত দুই বছর ধরে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের সঙ্গে জেএমবি, হুজি, হিযবুত তাহ্রীর ও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে একত্রে ট্রেনিং ক্যাম্পে যৌথ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাজধানীর বাইরের কোন কোন জেলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জামায়াত-শিবিরের ব্যানারে যুদ্ধাপরাধীর বিচার ঠেকাতে মাঠে নেমে রাজপথে সরকারবিরোধী শক্তি প্রদর্শন করছে। জামায়াত-শিবির আটক যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিতে ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবিতে পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের গাড়িসহ যানবাহনে আগুন, ভাংচুর, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে।

এসব ঘটনায় জামায়াতের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডাররা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে সহিংস ও রক্ষক্ষয়ী ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ থেকে যেসব জঙ্গী আফগানিস্তানের যুদ্ধে গিয়ে অংশ গ্রহণ করেছে তারাও জামায়াত-শিবিরের ব্যানারে সহিংস ঘটনায় যুক্ত হয়েছে। তাদের অর্থসহ সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করে যুদ্ধাপরাধী বিচার ঠেকানোর সহিংস ঘটনায় জড়িত করছে জামায়াত-শিবির। আফগান ফেরত জঙ্গীরাই দেশে ফিরে এসে জঙ্গী সংগঠন গড়ে তোলার সময়ে জামায়াতের সহযোগিতা নেয়। জামায়াত জঙ্গীদের সহযোগিতা করার জন্য তালিম বিভাগ চালু করে।

তালিম বিভাগের তত্ত্বাবধানে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হতো। তালিম বিভাগের প্রশিক্ষণের কর্মকা- ফাঁস হয়ে গেলে নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় স্বাস্থ্য বিভাগ। জামায়াতের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনেই জঙ্গীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পিস্তল, রিভলবার, গ্রেনেড, বোমা ও বিস্ফোরক দ্রব্যের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে তাদের। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জেএমবি, হুজি, হিযবুত তাহ্্রীরসহ নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনগুলোকে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালাতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে জিহাদী বই, অডিও ভিডিও ক্যাসেট সরবরাহ করছে।

সুত্র ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।