আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দায় চাপানো বদঅভ্যাসে পরিণত হয়েছে: মওদুদ

রোববার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন, বিরোধী দলের কর্মসূচির কারণে এসএইচসি পরীক্ষায় ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বহীন বক্তব্য বলে আমরা মনে করি। ’’
এই বিএনপি নেতার দাবি, ফল বিপর্যয়ের জন্য সরকারের ‍‘ভুল নীতিই’ দায়ী।
‘‘ এবার এসএইচ পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নপত্র চালু করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষকদের কোনো প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি।

শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল প্রশ্নের ধরণ-কাঠামোর বিষয়ে অবগত ছিল না। এ কারণেই ফলাফল নি¤œমুখী হয়েছে। ”
এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৩০ শতাংশ, যা গত বছর ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ ছিল। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও এবার প্রায় ৩ হাজার কমেছে।
শনিবার গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছ থেকে ফলাফল জেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই জন্য শিক্ষার্থী বা শিক্ষকরা দায়ী নয়।

এই দায় বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের। দায়ী করতে হলে তাদেরকে দায়ী করতে হবে। আমি জানতে চাই, তারা এতে কী পেল?”
গত ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর বিরোধী দলের হরতালের কারণে পরীক্ষাসূচিতে অনেকবার পরিবর্তন আনতে হয়, পেছাতে হয় ৪১টি বিষয়ের পরীক্ষা।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পাল্টা যুক্তি দিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইয়ুথ ফোরামের আলোচনা সভায় মওদুদ আহমদ বলেন, ‘‘ ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগে বিরোধী দলের থাকাকালে ১৭০ দিন হরতাল ডেকেছিল। ওই সময়ও এইচএসসি পরীক্ষা হয়েছে।

হরতালের কারণে সেসময়ে ফলাফল নি¤œমুখী হয়নি। ’’
সরকারের সমালোচনা করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, “ একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলেও তার জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করা হয়। কোনো কিছু হলেই বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানো সরকারের একটি বদাভ্যাস পরিণত হয়েছে। ’’
পাঁচ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ভরাডুবির পর আওয়ামী লীগের ওপর জনগণের আর কোনো আস্থা নেই বলেও মন্তব্য করন মওদুদ।
তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বক্তৃতা-বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের অবস্থা ভালো বললেও এসব কথায় জনগণ বিভ্রান্ত হবে না বলেই বিএনপি মনে করে।


“তারা যতো চেষ্টাই করুক না কেন, আওয়ামী লীগ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। ”
নির্দলীয় সরকার ছাড়া আগামীতে কোনো নির্বাচন হবে না মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, “ঈদের পর আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায় নিতে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। জনবিস্ফোরণের মুখে তারা নির্দলীয় সরকারের দাবি মানতে বাধ্য হবে। আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

’’
ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ‘ চলমান সংকট নিরসনে নির্দলীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বক্তব্য দেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।