বাঙলা কবিতা
মনে পড়ে? পুষ্পকারণ্যে সেই রাত্রির কথা !
প্রলম্বিত সন্ধ্যায়, নীলপূর্ণিমার নিচে, আমাদের বিবাহ-রাত্রিটি;
পৌরাণিক গন্ধভেজা বিস্ময় ঢলের মতো, যেন এক আনন্দ-শ্রাবণ!
বহুগুলি সহস্রাব্দ বয়সের প্রাচীন সন্ন্যাসী, সেই বিবাহের
প্রৌঢ়-পুরোহিত; অশিতীপর বৃদ্ধ, নির্লিপ্ত নির্দয় পুরোহিত,
নিষ্পলক নিষ্ঠুর চাহুনী; আর তার দৃষ্টির আগুন থেকে ঝরে পড়ে
রূপার ধূলির মতো গুঁড়ো গুঁড়ো স্নিগ্ধ কাহিনী...
মনে পড়ে? পুষ্পকারণ্যে সেই ঋষিটির কথা!
একটি সামান্য রাত্রি, হাজার হাজার ঘন রাত্রির আয়ূ নিয়ে
নেমে এলো, আরও একবার যেন মহাভারতের পৃষ্ঠাব্যাপী!
সেদিনও ফাল্গুন ছিলো; চৌদ্দই ফাল্গুনের রাত____
কপালে তিলক-পরা ঋষিচন্দ্র আচানক আমাদের সামনে দাঁড়ালো;
দৈব, দরাজ কণ্ঠে বলে গেল, " রাখো সাতপাক !
একহাতে শুধু তার একহাত আলতো ছুঁয়ে থাকো,
পৃথিবী ধ্বংসেরও পরে স্পর্শচিহ্ন মুছে যাবে নাকো!"
মনে পড়ে? পুষ্পকারণ্যে সেই বিবাহের কথা!
মনে পড়ে? পুষ্পকাণ্যে সেই বাসরের কথা!
সমগ্র রাত্রিকে ধরে ভাঁজ করে বিছালাম পুষ্পশয্যায়,
বিবাহ-বাসরসহ পুষ্পকারণ্যটাকে জমিয়ে গলিয়ে
সম্পূর্ণ নিলাম ঢেলে প্রণয়ের একজোড়া মৌল পেয়ালায়;
তারপর... চুম্বনে চুম্বনে রাত্রি ছলকে ওঠে, কেঁপে ওঠে,
ফেঁপে ওঠে পৌরাণিক জ্যোৎস্না আর অরণ্যের ঠোঁট...
তারপর__ স্মৃতিভ্রষ্ট; মনে পড়ে? মনে কি পড়ে না ?
পরস্পর প্রতিপাদ বিন্দুব্যাপী আমরা দু'জন সেই ছড়িয়ে গেলাম,
ভূমণ্ডলে, বিপরীত গোলার্ধের এই হলো প্রকৃত সূচনা !
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।