আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টাকায় মিলছে ডক্টরেট!!!

পুরুষ প্রধান আওয়ামী লীগ ও বি এন পি চাই

'সেন্টার ফর এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ' (সিইডিএস)। প্রতিষ্ঠানটি ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশনের নামে আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, ইউএসএর সার্টিফিকেট বিক্রি করছে। অর্থের বিনিময়ে এমফিল, পিএইচডি এবং এমবিএ ডিগ্রি দিচ্ছেন । লাখ লাখ টাকায় মিলছে এমবিএ, এমফিল এমনকি পিএইচডির সার্টিফিকেট। কিনছেন তা আমলা, আইনজীবী ও বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতনরা।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, ইউএসএর বাংলাদেশে স্টাডি সেন্টার পরিচালনার কোনো অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। এছাড়া আদৌ ওই নামে আমেরিকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আছে কি-না তাও জানা নেই। সিইডিএস নামের প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ অননুমোদিত ও বেআইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের দেওয়া ডিগ্রিও প্রশ্নবিদ্ধ। অবৈধ প্রতিষ্ঠান তো দূরের কথা, সরকার অনুমোদিত কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কেও এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

তারা পিএইচডি ডিগ্রির জন্য মাথাপিছু ৩ লাখ ১৫ হাজার, এমফিল ডিগ্রির জন্য ২ লাখ ১০ হাজার এবং এমবিএর জন্য ১ লাখ ৫ হাজার টাকা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ' আগ্রহীকে এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রি দিয়েছেন। বর্তমানে আরও ২০০ শিক্ষার্থী তাদের রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৬০ জন সরকারি আমলা। এ প্রতিষ্ঠানে পিএইচডি করেছেন অথবা করতে ভর্তি হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের তালিকা: শিক্ষা উপদেষ্টা ড. আলাউদ্দিন আহমেদের সাবেক পিএস ও বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান, শিক্ষামন্ত্রীর পিএস (যুগ্ম সচিব) এএস মাহমুদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব একেএম জাকির হোসেন ভঁূইয়া, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) খান মোঃ আবদুল মান্নান, আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সলিসিটর (রিট) মোঃ শাহজাহান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক স্নেহাংশু শেখর চন্দ, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী আঞ্চলিক পরিচালক সৈয়দ আহম্মদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ক্যাটালগার মোঃ কামিম শাহরিয়ার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ মোখলেছুর রহমান খান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (পিটিসি) শ্যামাপদ দে, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজার মোঃ আবদুর রউফ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুবোধ কুমার সরকার, সিরাজগঞ্জ সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোজাফফর আহম্মদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোঃ তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও উপসচিব মোঃ রবি উর রেজা সিদ্দিকী, ভূমি আপিল বোর্ডের সচিব শ্যামাপদ দে সহ আরও অনেকে।

জনপ্রশাসনে উচ্চপদে পদোন্নতি পেতে উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য নম্বর বেশি হওয়ায় বর্তমানে অনেক সরকারি কর্মকর্তাই যেনতেন উপায়ে উচ্চ ডিগ্রি নিচ্ছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.