ছন্নছাড়া বাঁধনহারা দস্যি একটা ছেলে ,, দিবানিশি ক্যামেরা চালায় আহার নিদ্রা ফেলে :) :)
# যার কালকে ডোবা তেলে ইলিশ ভাজা শিখতে পারেন নি তারা এখানে খোচা মারেন
*ঝালমুড়ি* আবহমান বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে যে জিনিসটি সেই প্রাচীন কাল থেকেই তার স্থান দখল করে আছে ,, এবং ঘরের সাফল্যে অতিরঞ্জিত হয়ে রাজ পথেও নেমে পড়েছে ,,,, সে আর কেউ নয় এই ঝাল মুড়ি ।
এর উপকারিতা অনেক .. বিশেষ করে উচ্চমাত্রায় ঝাল এবং পিয়াজ ও সরিষার তেল প্রয়োগ করে ইহা তৈরি করে খেলে ঠান্ডা জ্বরে বেশ ভাল কাজ করে ,, তাছাড়া বিকালের আড্ডায় ঝালমুড়ির এখনও জুড়ি মেলা ভার ; .।
অবশ্য বর্তমানে ইহা একটি সম্ভাবনাময় ব্যাবসা ও বলা যায় .। অনেক যুবক ছেলে এমনকি কিশোর এবং বৃদ্ধ মানুষও এখন কোন না কোন ভাবে এই ঝালমুড়ি বিক্রয় পেশায় জড়িত ..
তাদের আমরা আদর করে ডাকি " ঝালমুড়িওয়ালা"
আসুন আমরা এই ঐতিহ্যবাহী ঝালমুড়ি তৈরির কলাকৌশল সম্বন্ধে জানি ,,
# ঝালমুড়ি তৈরি করতে আপনাকে প্রথমে এর উপকরন গুলো জোগাড় করতে হবে ।
# পরিমান মত মুড়ি , আন্দাজ অনুযায়ী ঝাল , পেয়াজ , লবন, এবং সরিষার তেল , এছাড়া চানাচুর ও মেনুতে রাখা যায় স্বাদ বাড়ানোর জন্য ।
# প্রথমে আপনাকে ঝাল এবং পেয়াজ কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে নির্দিষ্ট পাত্রে রাখতে হবে । এড় জন্য গোল কোন বড় বাটি বা গামলা না কি যেন বলে সেটা ইউজ করা যায় ।
# এবার ঝাল পিয়াজ কুচি লবন ও সরিষার তেল দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিয়ে ,,, চানাচুর ঢেলে দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে মুড়ির বাটিটা নিয়ে আসুন ।
# এবার ঐ বাটিতে পরিমান মত মুড়ি ঢেলে ভাল করে মাখিয়ে নিন ,, ঝাঁকিয়েও নিতে পারেন সিস্টেম করে । আবার মাখানোর সময় দুই হাতও ইউজ করতে পারেন .।
অবশ্য লক্ষ্য রাখতে হবে কেউ যেন না দেখে ফ্যালে ।
# এবার পরিবেশনের আগে আপনি আরও একটু স্বাদ বৃদ্ধির জন্য টমেটো বা গাজর কুচি কুচি করে কেটে ওর ওপর ছিটিয়ে দিতে পারেন ।
{বিঃদ্রঃ ঠান্ডা জ্বরের রুগী যারা তারা ঝাল ও পেয়াজ এবং সরিষার তেল একটু বেশি দেবেন }
কত্ত সোজা তাই না
তাহলে আর দেরি কেন ,,, আজ বিকালেই তৈরি করে ফেলুন আপনার নিজের মত করে ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।