আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাফার্জ সুরমার নথি চেয়েছে ভারতীয় আদালত

মাঝে মাঝে মনে হয় ওই দূর আকাশে ভেসে যেতে পারতাম, তাহলে আর ফিরতাম না।

ছাতক সিমেন্ট প্রকল্পের জন্য তহবিল সংগ্রহে লাফার্জ সুরমা কর্তৃপক্ষ ব্যাংকে যেসব নথি উপস্থাপন করেছিল, সেগুলো তলব করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। মেঘালয় রাজ্য থেকে চুনাপাথর আহরণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চকে আইনি সহায়তাদানকারী একজন আইনজীবীর মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শনিবার এই আদেশ দেয়। ওই আইনজীবী বলেন, ভারত লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার জন্য চুনাপাথর সরবরাহের বিষয়ে বাংলাদেশের কাছে প্রতিশ্র"তিবদ্ধ নয়। এর আগে ২০১০ সালের ফেব্র"য়ারিতে মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম খাসিয়া পাহাড় থেকে লাফার্জ ইউমিয়াম মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের (এলইউএমপিএল) চুনাপাথর উত্তোলনের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ভারতের উচ্চ আদালত।

এলইউএমপিএল ফরাসি কম্পানি লাফার্জের একটি সহযোগী সংস্থা। প্রকল্প শুরুর পর মেঘালয় থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে ছাতকের সিমেন্ট কারখানায় কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে চুনাপাথর আনতো এলইউএমপিএল। কিন্তু 'শিলা জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি' নামের একটি সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ফেব্র"য়ারিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মেঘালয়ে চুনাপথর উত্তোলনের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। শিলা জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির অভিযোগ, ভারত সরকারকে ভুল তথ্য দিয়ে লাফার্জ কর্তৃপক্ষ বন ধ্বংস করে চুনাপাথর তুলছে। অবশ্য গত বছরের ২৪ মার্চ ভারত সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, এই স্থগিতাদেশের কারণে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বিঘœ ঘটছে।

ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল জি ই বহনবাতি আদালতকে বলেন, চুনাপাথর উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশে ২৫ কোটি ডলারের এই প্রকল্পের কাজ থমকে আছে। গত সপ্তাহে এ মামলার ওপর শুনানিতে ভারতের প্রবীণ আইনজীবী হরিষ সালভি আদালতকে বলেন, লাফার্জের এই সিমেন্ট প্রকল্পের সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের কোনো যোগাযোগ নেই। ছাতকে লাফর্জ সুরমা কারখানায় প্রতিবছর প্রায় ১৫ লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদন করা সম্ভব click here

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।