কেউ বলে দেয়নি কিন্ত ছোটকাল থেকেই জানতাম রাজাকাররা চরম ঘৃন্য বস্তু। হয়ত আমার ঘৃনা নামক অনুভুতিটির শুরুই হয়েছে রাজাকারদের দিয়ে। তখন রাজনিতি বোঝার বয়স হয়নি কিন্ত সম্ভবত প্রথম যে রাজনৈতিক চিন্তা স্বাধীনভাবে মাথায় এসেছিল তা হচ্ছে যে দল রাজাকারের সাথে জোট করে তাদের ভোট দেয়া যাবেনা। আজ যখন সারা দেশ থেকে ঘৃনা উচ্চারিত হচ্ছে তাদের প্রতি তখন অনেক দিন পর ছবি আঁকতে ইচ্ছা করলো---তখন খাতা পেনসিল (সাথে কিবোর্ড মাউস) তুলে নিলাম।
আমার এলাকার একটা ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে রড আর টিন দিয়ে বানানো অনেকটা এমন একটা রাজাকারের প্রতিকৃতি আছে---তার পাশে রয়েছে ঢিল ছোড়ার নির্দেশ এবং এলাকার রাজাকারদের একটা লিস্ট।
দু-একজন রাজাকার বাঁচিয়ে রখলে মন্দ হয় না। চিড়িয়াখানার হিংশ্র পশুদের সাথে এটাও দর্শনীয় বস্তু হবে।
আমার মনে হয় স্বয়ং শয়তান ও এদের দেখলে-------
এদের আসল ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম--
রাজনীতিবিদদের নোংরামি,নিলজ্জতা,কামড়াকামড়ি আর সাধারন মানুষের নির্লীপ্ততা দেখে বড় হতাশ হতাম। মনেহত কেউ কি নেই সচেতন,মা্নুষ কি তবে সবকিছু ভুলে গেছে --কত মূল্য দিয়ে পাওয়া এই দেশ । প্রজন্ম চত্তর প্রমান করেছে এখনো আমরা আছি সদাসতর্ক,বুকে এ্করাশ সাহস নিয়ে,অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সক্ষম।
এই আলো্র মিছিল দেখে বড় ভাললাগে, আশাবাদি হতে ইচছা করে।
আমরা বড়ই অভাগা জাতি। স্বাভাবিক এবং ন্যায্য জিনিসগুলো পেতে আমাদের বরাবরই অনেক মূল্য দিতে হয়। ১৯৭১ একটি স্বাধীন দেশ পেলেও দেশকে শত্রুমুক্ত করতে পারিনি। তার ফলে গত ৪২ বছরে অনেক মুল্য দিতে হয়েছে আমাদের।
যা কাম্য ছিলনা। কেউ ভুলে যাবেন না ৭১এর গনহত্যা বিশ্বের সবচে বড় ৫টি গনহত্যার একটি। আর এগুলোর সবই পাকিস্তান আর্মি করেনি। বড় একটা অংশ করেছে এই রাজাকাররা। তাই এরা যে দেশের মাঝে থাকবে তাদের অবস্থা আমাদের মতই শোচনীয় হবে।
ভাবতে অবাক লাগে যে এই গন আন্দোলোন আজ হচ্ছে। এটাতো হওয়া উচিত ছিল আরো অনেক বছর আগেই। এই ৪২ বছরে এরা সারা দেশে এদের বীজ ছড়ায়ে দিয়েছে অগনিত। তাই আজ তাদের অপরধের রায় হলে হরতাল ডাকা হয় স্বাধীন বাংলার বুকে। যদি আমরা দেশ থেকে এসব জঞ্জাল সরাতে পারি তবেই সফল হবে দেশের স্বাধীনতা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।