১৯৭১ সালের ভূমিকায় এখন জামাত শিবির । যুদ্ধাপরাধের দায়ে ‘মেশিনম্যান’ খ্যাত দেইল্লা রাজাকারের ফাসি হওয়ার সঙ্গে হিন্দুদের কোন সম্পর্ক নাই। অথচ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে মন্দির ও হিন্দু বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে জামাত শিবির।
১৯৭১ সালে এদের ভূমিকাটা এমন ছিল। দেশের স্বাধীনতা চেয়েছিল সাধারণ মানুষ।
তার প্রমাণ ১৯৭০ সালে বেশির ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল। ১৭০টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয়লাভ করেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু জামাতী রাজাকাররা এটাকে হিন্দুদের ষড়যন্ত্র প্রমাণ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধকালে হিন্দুদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। হিন্দুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে, হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ করে, তাদের জোর করে ধর্মান্তরিত করে তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করে ১৯৭১ সালে যুদ্ধটা ছিল হিন্দু মুসলমানের যুদ্ধ।
অন্য দিকে ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন, সেই মুসলমানদের মুরতাদ, ভারতের দালাল এবং নাস্তিক বলে গালি দিত রাজাকাররা।
এটাই ছিল তাদের কৌশল। তারা এভাবে ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তির জন্য যুদ্ধকে একটা সাম্প্রদায়িক লড়াই বা গণ্ডগোল বলে প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছিল। তারা মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সমর্থকদের কাফের বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করত। যারা তাদের সমর্থন করত না, তাদের সম্পদ হত গনিমতের মাল। তাদের বাড়ির মা-বোনও ছিল গনিমতের মাল।
রাজাকাররা এ জন্যই এত ব্যাপক ধর্ষণ করেছে ১৯৭১ সালে।
এখনও জামাত শিবির হিন্দু বাড়িতে হামলা এবং মন্দিরে হামলা চালিয়ে ঘটনাটাকে ভিন্নখাতে নিতে চাচ্ছে। তারা সব সময় সব ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে। তাদের কাছে তারা নিজেরা ছাড়া আর সবাই কাফের । তাদের যারা সমর্থন করবে না তারা মুরতাদ, তারা নাস্তিক।
এদের মতো জঙ্গী দৃষ্টিভঙ্গির মানুষের কাছ থেকে তাণ্ডব ছাড়া ভালো কিছু পাওয়া যাবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।