লাইট সিগারেটেও বিষ!
একটা সময়ে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকত ‘ধূমপানে বিষপান’। উদ্দেশ্য ছিল ধূমপায়ীদের ধূমপানে নিরুত্সাহিত করা। কিন্তু প্যাকেটের গায়ে লেখা ওই সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দেখেও টনক নড়ে না ধূমপায়ীদের। এর পরেই সিগারেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ধূমপায়ীদের মন জোগাতে নিয়ে এল নতুন চিন্তা। সাধারণ সিগারেটের পাশাপাশি বাজারে এল একই ব্র্যান্ডের সাদা সিগারেট।
যাকে বলা হয় লাইট সিগারেট। এই সিগারেটে নাকি নিকোটিনের পরিমাণ খুবই কম থাকে। যা কি-না শরীরের তেমন একটা ক্ষতি করতে পারে না। এসব মুখরোচক গল্প শুনে যাঁরা এত দিন ওই লাইট সিগারেট পান করেছেন, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ হলো—লাইট সিগারেটেও কিন্তু আপনি নিকোটিনের বিষ নিয়েছেন শরীরে। ভাবছেন পাগলের প্রলাপ! একদম না।
কারণ, কখনো কোথাও দেখেছেন লাইট সিগারেট পান করলে ক্যানসার বা হূদরোগ হবে না? মনে হয় দেখেননি। কিন্তু তামাকবিরোধী বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে দেখেছেন যে লাইট সিগারেটের নিকোটিনও শরীরে বিষ ছড়ায়। যা ক্যানসার বা হূদরোগের জন্য দায়ী।
রাজধানীতে আজ শুক্রবার প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) ‘মিডিয়া ফর টোব্যাকো কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সাংবাদিকদের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের শেষ দিনে বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য দিয়েছেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সিগারেট কোম্পানিগুলো বড় লোকসানের সম্মুখীন হওয়ায় আবারও বাজার ধরার জন্য সিগারেটের ‘সাধারণ’, ‘লাইট’, এবং ‘লো টার’—এ তিন ধরনের সিগারেট বাজারে ছাড়ে।
আর লাইট সিগারেটগুলো এমন আকর্ষণীয় করে বাজারে ছাড়া হয় যাতে ক্রেতারা সহজেই সেটাকে গ্রহণ করতে পারে। বলা হয়, লাইট সিগারেটে নিকোটিনের পরিমাণ এত কম যে, সেটা পান করা আর না করা সমান কথা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা তা মনে করছেন না। তাঁরা বলছেন, এ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে শত শত বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে সিগারেট কোম্পানিগুলো। অন্যদিকে এর অবর্ণনীয় দুর্দশার শিকার হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
আমেরিকা এক ক্যানসার প্রতিরোধ গবেষণায় প্রায় ১০ লাখ মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ, লাইট, লো টার বা মিডিয়াম টার সিগাটের পানকারীদের মধ্যে ফুসফুসে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি সব সময়ই সমান।
এ কারণে লাইট এবং লো টার সিগারেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশ্বের প্রায় ৫০টিরও বেশি দেশ।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সিগারেট কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃত উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই লাইট সিগারেটের বাজার তৈরি করেছে।
সোর্স
প্রথম সিগারেট ধরি কলেজ এ থাকতে। তখন খাইতাম গোল্ডলিফ।
বছর খানেক পর দেখি খালি কাশি হইতো আর বুকে শো শো শব্দ। তারপর গোল্ডলিফ ছাড়লাম, ধরলাম বেনসন এন্ড হেজেস রেগুলার। সেটাতেও কয়েক বছর থাকার পর দেখি একি সমস্যা আবার শুরু। এক নন স্মোকার ফ্রেন্ড বললো সিগারেট যখন ছারতে পারতেসিস না তাইলে এক কাম কর বেনসন লাইটস খা। এটাতে নিকোটিন খুব ই কম।
তোর ক্ষতি হইবোনা। এরপর থেকে ছিলাম বেনসন লাইটস এর উপর ই আর ভাবতাম আহা কি শান্তি। বিড়ি খাওয়াও হইতাসে আবার একি লগে ফুসফুসেরও কোন ক্ষতি হইতাসেনা। সাপ ও মরতাসে আবার লাঠিও ভাংতাসেনা। মাগার তখন কি আর বুঝছিলাম যে শালার মহা চালাক বিড়ি কম্পানি আমারে ভুল বুঝাইয়া একি বিষ খাওয়াইতেসে।
উল্টা লাইটস ধরার পর আমার সিগারেট খাবার হার আরো বাইড়া গেছে। কারন আগে বেনসন রেগুলার ডেইলি লাগতো ১০-১২টা আর এখন লাগে ১৫-২০ টা। কারন আর কিসুইনা লাইটস এ পোষায়না। শালারা ফাক তালে আমার পকেট থেইকা আরো বেশি টাকা বাইর করার ধান্দা করসে।
কিন্তু যত যাই বলিনা কেন সিগারেট খাবার কুফল সম্পর্কে কিন্তু আমি বেবাকটাই জানি।
মাগার বন্ধ তো দূরের কথা কমাইতেও পারতেসিনা। তবুও এতদিন যাবত মনের ভিতর একটা সান্তনা ছিলো যে যাউকগা ক্ষতি হইলেও খুউব ই কম হইতাসে। কিন্তু আজকে প্রথম আলুর এই খবরটা পইরা তো আমার পুড়াই আক্কেল গুরুম। তাইলে আমি এতদিন কারে বোকা বানাইসি আপনজনদেরকে নাকি নিজেরেই????????
শালার কপাল ও আমার খবরটা পরার সময়ও হাতে ছিলো জলন্ত সিগারেট!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।