ইতিহাসের পেছনে ছুটি তার ভেতরটা দেখবার আশায়
স্বাধীনতার ৩৯ বছরের মধ্যে এত বড় আয়োজন আর হয়নি । আবার কবে হবে তাও অজানা । অথচ এর সদব্যবহার তো দূরের কথা, সামান্য ব্যবহারও আমরা করতে পারছি কিনা বুঝতে পাড়ছিনা । বরং উল্টো আরো কলংকিত করছি আমাদের ক্রীড়া জগৎকে ।
আজ থেকে ঠিক দের মাস পরে এই উপমহাদেশের সাথে আমাদের দেশেও হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সর্ববৃহৎ আসর ''বিশ্বকাপ ক্রিকেট'', এদেশের সোনার ছেলেদের কল্যানে আমরা এই মহা সুযোগ পেয়েছি ।
কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রের চরম অদুরদর্শিতার কারনে আমরা এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারছিনা সঠিকভাবে ।
কষ্ট পাচ্ছি এই ভেবে যে, এমন একটি মহিন্দ্রক্ষন কাছে পাওয়ার পরও আমরা তথা আমাদের দেশ নিজেদের কোন পরিবর্তন করতে পারবে বলে মনে হচ্ছেনা ।
বিশ্বকাপ মানে এমন একটি ব্যপার, যা দ্বারা একটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনে দেয় । ফুটবল, ক্রিকেট, সহ অন্যান্য বড় আসরগুলো কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর অনেক দেশ নিজেদেরকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায় । অথচ আমাদের মাঝে সেরকম কোন প্রস্তুতি রয়েছে বলে মনে হয় না ।
উল্টো এ নিয়ে এমন কথাও বাতাসে ভাসছে যা আমাদের জন্য ক্ষতিকরই নয় অপমান জনকও বটে ।
প্রতিটি বিশ্বকাপের অন্যতম প্রধান আকর্ষন হল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান । সৌভাগ্য ক্রমে আমাদের দেশেই হচ্ছে এই অনুষ্ঠানটি । আবার যদি কখনো এই সাবকন্টিনেন্টে বিশ্বকাপ আসর বসে, তখন এই অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ আমাদের ভাগ্যে পড়ার সম্ভাবনা নেই বল্লেই চলে । কারন বাকী তিন প্রতিবেশী এর দাবী ছাড়বে, একথা ভাবা বোকামী ছাড়া আর কিছুই না।
সেইদিক বিবেচনায় এ এক মহা আসর । কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, বাতাসে খবর চাউড়ে বেড়াচ্ছে যে পুরো অনুষ্ঠানটি চিত্রায়ীত করছেন ভারতীয় সংস্ক্রিতি ও শিল্পীদের ঘীরে । এমন কথা এই বিশ্বে আর কখনো হয়েছে কিনা আমার জানা নাই । তবে এটি আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপারই নয় চড়ম অপমানজনকও । কিন্তু কে ভাববে এইসব কথা ।
কেন আমাদের কি কোন ইতিহার ঐতিহ্য নাই, বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার মত এমন কিছুই কি আমাদের নাই ? আমরা কেন পরদেশের সংস্ক্রিতী নিয়ে আমাদের দেশে অনুষ্ঠান আয়োজন করছি ? যদি তাই হয় তবে এই অনুষ্ঠানটি কেন আমাদের দেশে আয়োজন করা হচ্ছে ? ইন্ডিয়াইকি এর জন্য ভাল স্থান হত না ? কেন বাড়ি বয়ে আমাদের এই অপমান করা হচ্ছে ? আর এই অপমানের মঞ্চ তৈরি করতে আমাদের কি একটুও লজ্জা হচ্ছে ? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর আমার জানা নাই । তবে এই অপমান বোধ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পাড়ছিনা ।
টিকিট নিয়ে যা হচ্ছে তা আর বলার অবকাশ রাখে না । আমরা গত ২ বছর যাবৎ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুপার ওয়ে ধরে চলছি বলে শুনেছি । কিন্তু টিকিট নিয়ে যে কান্ড হচ্ছে তা কোন ডিজিটালের উদাহরন তা আমার জানা নাই ।
এসব কথা আমার চেয়ে আর গোপন কিছু নয় । সবাই জানে । যে কথা বলতে চাচ্ছিলাম -----
কেউ কি বলতে পাড়েন আমাদের দেশে এই আসর বসার মূল কারিগড় কারা । বা কাদের কল্যানে আমরা এই আসরটি পেয়েছি । মনে আছে ১৯৯৭ সালের কুয়ালালামপুরের সেই দিনটির কথা ।
সেই দিন যদি ১৫ জন রূপকার মিলে কেনিয়ার কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে না আনতো তাহলে কি মনে হয় এই বিশ্বকাপটির আয়োজক আমরা হতে পাড়তাম ? যে কথা বলতে চাইছিলাম, টিকিট নিয়ে, শুনেছি ক্রিকেট বোর্ড অনেকের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করেছে কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে এই ১৫ জনের কথা তারা ভুলে গেছে । এত বড় বেইমান জাতি আমরা কখনো ছিলাম এই কথা ভাবতে বড় কষ্ট হয় ।
ক্রিকেট বোর্ডের আর একটি অদুরদর্শিতার ফলাফল জানিয়ে শেষ করব । আপনারা অনেকে হয়তো জানতে পাড়েন খবরটা , বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ৭০০ টাকা মূল্যমানের টিকিটের নিলামে ইতিমধ্যে দাম উঠেছে ৬১০০ টাকা ।
রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে আকূল আবেদন:
এখনও সময় আছে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার ।
এই সুযোগ আমাদের জীবনে আর কবে আসবে তা অজানা । আবার যখন আসবে তখন আজকের বাংলাদেশের আমরা যারা বাসিন্দা তাদের অনেকেই হয়তো থাকবোনা । তাই এই উপলখ্যটি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে স্বরনীয় করে রাখবেন । দল মত নির্বিশেষে সব্বাইকে নিয়ে একটি ঐতিহাসিক ঘটনার অবতার ঘটাবেন । আমার আকূল আবেদন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মাননীয় বিরুধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়া এক মঞ্চে এসে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন ।
হলফ করে বলতে পারি জাতি আপনাদেরকে হাজার হাজার বছর মনে রাখবে । কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক, আপনারা দুজনই বর্তমান বাংলাদেশের অভিভাবক । আপনাদেরকে এই উপলব্দিটুকু করতেই হবে । আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই ব্যাপারে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবেন বলে আমার বিশ্বাষ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।