গল্পের রাজত্বে বসবাস করছি আপাতত
http://www.theseekerchurch.com/funny-cats.jpg
মানুষের সবচেয়ে ঘনিষ্ট সঙ্গী কুকুর। সেই গুহায় থাকাকালে বনের কুকুরকে মানুষ পোষ মানিয়ে নিজের শিকার সঙ্গী করে নিয়েছিলো। সেই প্রাচীনকাল থেকেই কুকুর বিড়ালের সঙ্গে বাস করছে মানুষ! সারা পৃথিবীতেই আজকে গৃহপালিত প্রাণীর মধ্যে কুকুরের অবস্থান সবার উপরে। পাশ্চাত্তে তো কুকুরের জন্যে আলাদা হোটেল পর্যন্ত আছে। আমেরিকাকে কুকুরের দেশ বললে হয়তো মিথ্যে বলা হবে না।
শুধু আমেরিকাতেই প্রায় ৬ কোটি কুকুর বাস করে। অন্যদিকে আইসল্যান্ডে কুকুর পোষা বেআইনী।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কুকুরটি ছিলো একটি ইংলিশ ম্যাসটিফ প্রজাতির কুকুর। এর ওজন ছিলো ৩৪৩ পাউন্ড, নাক থেকে লেজ পর্যন্ত দৈর্ঘ ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি। কুকুরের মধ্যে যতো হাইব্রিড হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রজাতিটি হলো আইরিশ উলফ হাউন্ড।
কুকুরের ঘ্রাণশক্তি কথা তো আমরা জানিই। কুকুরের আরও অনেক গুণই আছে। কিছু কিছু কুকুর আগে থেকেই বুঝতে পারে কোন বাচ্চার মৃগী রোগের প্রকোপ দেখা দিবে কিনা। এবং এ জন্য ওই কুকুরকে কোন প্রশিক্ষনও দেয়া লাগে না। কখনো একবার যদি কুকুরটি মৃগী রোগের প্রকোপ দেখে থাকে তাহলেই সে বুঝতে পারবে।
শুধু যে বুঝতে পারবে তা নয়, সে বাচ্চাকে আঘাত থেকে সুরক্ষারও চেষ্টা করবে।
মানুষের মতো কুকুরেরও দুইবার দাঁত হয়। ছোট্ট কুকুর ছানার তাকে ৩০টি দাঁত আর বড় কুকুরের থাকে ৪২টি দাঁত। মানুষকে চিনতে হলে বুড়ো আঙুলের ছাপ নিতে হয়, তেমনি কুকুরকে সনাক্ত করতে হলে তার নাকের ছাপ নেয়া হয়।
যাদের বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে এবং যে সব বাচ্চারা কুকুর আর চকলেট পছন্দ করে তাদের জেনে রাখা উচিত, চকলেট কুকুর মেরে ফেলতে পারে।
চকলেট কুকুরের øায়ু ব্যবস্থা ও হৃদপিণ্ডে আঘাত হানে। মাত্র কয়েক আউন্স চকলেট খাইয়ে একটি ছোট-খাটো কুকুরকে মেরে ফেলা সম্ভব।
প্রভূভক্তির উদাহরণ হিসাবে কুকুর সর্বশ্রেষ্ঠ। তবু মানুষ কেন রেগে গেলে কুকুরের নামটাই গালি হিসাবে ব্যবহার করে তা আজও রহস্য!
কুকুরের মতো বিড়ালও মানুষের সকাল-বিকালের নিত্য সঙ্গী। পাশ্চাত্তে বিড়ালের জš§দিন পর্যন্ত পালন করা হয়।
পৃথিবীর অন্যম প্রাচীন সভ্যতা মিশরে বিড়ালকে খুবই পবিত্র মনে করা হতো। সেখানে কেউ ভুলক্রমেও বিড়াল হত্যা করলে সাজা হিসাবে তার মৃত্যুদণ্ড হতো। মানুষের মতো কুকুর-বিড়ালও কিন্তু বা-হাতি বা ডান-হাতি হয়। মুশকিল হলো এদের চারপায়ের মধ্যে কোনটা যে বা হাত আর কোনটা যে ডান হাত তা খুঁজে বের করা।
বিড়ালেরও বিশেষ গুণের শেষ নেই।
বিড়ালের শ্রবণ ও দৃষ্টি শক্তি ভীষণ তীক্ষ, সে আলট্রা সাউন্ড শুনতে পায়। আর খুব কম আলোতে সে পষ্ট দেখতে পায়। কয়েক গজ উপর থেকে ফেলে দিলেও বিড়াল দিব্যি নিরাপদে মাটিতে নেমে আসে। কোন সরু জায়গায় প্রবেশ করার আগে বিড়াল তার গোঁফ দিয়ে পরীক্ষা করে দেখে, এখান দিয়ে যেতে পারবে কি পারবে না।
সবশেষে বলতে চাই, লাট সাহেবের কুকুর গল্পটির কথা মনে আছে? সৈয়দ মুজতবা আলী সেখানে দেখিয়েছিলেন, লাট সাহেবের তিন পাঅলা একটা কুকুরের পেছনে যা খরচ হয় তার তিনভাগের একভাগ খরচ হয় পণ্ডিতমশায়ের পুরো পরিবার চালাতে।
সেই গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো একটি তথ্য শুনে। তথ্যটি হলো, আমেরিকায় বছরে কুকুর বিড়ালের খাবারের পেছনে ৭০০ কোটি ডলার খরচ হয়। আর পৃথিবীতে গড়ে প্রতিদিন ১১ বিলিয়ন ডলার খরচ হয় কুকুর-বিড়ালের খাবারের পিছনে।
তারা কি জানে, বছরে কতো মানুষ না-খেয়ে মারা যায়?
কুকুর বিড়ালের আলোচনা শেষ করতে চাই আরেকটি তথ্য দিয়ে, গত ৪০০০ বছরে কোন নতুন প্রাণী গৃহপালিত হয়নি।
মানুষের সবচেয়ে ঘনিষ্ট সঙ্গী কুকুর।
সেই গুহায় থাকাকালে বনের কুকুরকে মানুষ পোষ মানিয়ে নিজের শিকার সঙ্গী করে নিয়েছিলো। সেই প্রাচীনকাল থেকেই কুকুর বিড়ালের সঙ্গে বাস করছে মানুষ! সারা পৃথিবীতেই আজকে গৃহপালিত প্রাণীর মধ্যে কুকুরের অবস্থান সবার উপরে। পাশ্চাত্তে তো কুকুরের জন্যে আলাদা হোটেল পর্যন্ত আছে। আমেরিকাকে কুকুরের দেশ বললে হয়তো মিথ্যে বলা হবে না। শুধু আমেরিকাতেই প্রায় ৬ কোটি কুকুর বাস করে।
অন্যদিকে আইসল্যান্ডে কুকুর পোষা বেআইনী।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কুকুরটি ছিলো একটি ইংলিশ ম্যাসটিফ প্রজাতির কুকুর। এর ওজন ছিলো ৩৪৩ পাউন্ড, নাক থেকে লেজ পর্যন্ত দৈর্ঘ ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি। কুকুরের মধ্যে যতো হাইব্রিড হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রজাতিটি হলো আইরিশ উলফ হাউন্ড। কুকুরের ঘ্রাণশক্তি কথা তো আমরা জানিই।
কুকুরের আরও অনেক গুণই আছে। কিছু কিছু কুকুর আগে থেকেই বুঝতে পারে কোন বাচ্চার মৃগী রোগের প্রকোপ দেখা দিবে কিনা। এবং এ জন্য ওই কুকুরকে কোন প্রশিক্ষনও দেয়া লাগে না। কখনো একবার যদি কুকুরটি মৃগী রোগের প্রকোপ দেখে থাকে তাহলেই সে বুঝতে পারবে। শুধু যে বুঝতে পারবে তা নয়, সে বাচ্চাকে আঘাত থেকে সুরক্ষারও চেষ্টা করবে।
মানুষের মতো কুকুরেরও দুইবার দাঁত হয়। ছোট্ট কুকুর ছানার তাকে ৩০টি দাঁত আর বড় কুকুরের থাকে ৪২টি দাঁত। মানুষকে চিনতে হলে বুড়ো আঙুলের ছাপ নিতে হয়, তেমনি কুকুরকে সনাক্ত করতে হলে তার নাকের ছাপ নেয়া হয়।
যাদের বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে এবং যে সব বাচ্চারা কুকুর আর চকলেট পছন্দ করে তাদের জেনে রাখা উচিত, চকলেট কুকুর মেরে ফেলতে পারে। চকলেট কুকুরের øায়ু ব্যবস্থা ও হৃদপিণ্ডে আঘাত হানে।
মাত্র কয়েক আউন্স চকলেট খাইয়ে একটি ছোট-খাটো কুকুরকে মেরে ফেলা সম্ভব।
প্রভূভক্তির উদাহরণ হিসাবে কুকুর সর্বশ্রেষ্ঠ। তবু মানুষ কেন রেগে গেলে কুকুরের নামটাই গালি হিসাবে ব্যবহার করে তা আজও রহস্য!
কুকুরের মতো বিড়ালও মানুষের সকাল-বিকালের নিত্য সঙ্গী। পাশ্চাত্তে বিড়ালের জš§দিন পর্যন্ত পালন করা হয়। পৃথিবীর অন্যম প্রাচীন সভ্যতা মিশরে বিড়ালকে খুবই পবিত্র মনে করা হতো।
সেখানে কেউ ভুলক্রমেও বিড়াল হত্যা করলে সাজা হিসাবে তার মৃত্যুদণ্ড হতো। মানুষের মতো কুকুর-বিড়ালও কিন্তু বা-হাতি বা ডান-হাতি হয়। মুশকিল হলো এদের চারপায়ের মধ্যে কোনটা যে বা হাত আর কোনটা যে ডান হাত তা খুঁজে বের করা।
বিড়ালেরও বিশেষ গুণের শেষ নেই। বিড়ালের শ্রবণ ও দৃষ্টি শক্তি ভীষণ তীক্ষ, সে আলট্রা সাউন্ড শুনতে পায়।
আর খুব কম আলোতে সে পষ্ট দেখতে পায়। কয়েক গজ উপর থেকে ফেলে দিলেও বিড়াল দিব্যি নিরাপদে মাটিতে নেমে আসে। কোন সরু জায়গায় প্রবেশ করার আগে বিড়াল তার গোঁফ দিয়ে পরীক্ষা করে দেখে, এখান দিয়ে যেতে পারবে কি পারবে না।
সবশেষে বলতে চাই, লাট সাহেবের কুকুর গল্পটির কথা মনে আছে? সৈয়দ মুজতবা আলী সেখানে দেখিয়েছিলেন, লাট সাহেবের তিন পাঅলা একটা কুকুরের পেছনে যা খরচ হয় তার তিনভাগের একভাগ খরচ হয় পণ্ডিতমশায়ের পুরো পরিবার চালাতে। সেই গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো একটি তথ্য শুনে।
তথ্যটি হলো, আমেরিকায় বছরে কুকুর বিড়ালের খাবারের পেছনে ৭০০ কোটি ডলার খরচ হয়। আর পৃথিবীতে গড়ে প্রতিদিন ১১ বিলিয়ন ডলার খরচ হয় কুকুর-বিড়ালের খাবারের পিছনে।
তারা কি জানে, বছরে কতো মানুষ না-খেয়ে মারা যায়?
কুকুর বিড়ালের আলোচনা শেষ করতে চাই আরেকটি তথ্য দিয়ে, গত ৪০০০ বছরে কোন নতুন প্রাণী গৃহপালিত হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।