১৯৭২ সালের ২১ ডিসেম্বরেই সিআইএ বলেছিল, ‘বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হবে এক আকস্মিক আঘাতে। মুজিবের উত্তরসূরি তাঁর দল থেকেই আসবে।’ প্রথমা থেকে সদ্য প্রকাশিত মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকাণ্ড বইয়ে এ তথ্য রয়েছে। বইটির লেখক সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান উল্লেখ করেন, এফবিআই বাদে পররাষ্ট্র দপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অন্য সব সংস্থা ওই মূল্যায়নের সঙ্গে একমত পোষণ করেছিল। সিআইএ ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গিও মূল্যায়ন করে চলেছিল।
১৯৭৫ সালের ৯ মে সিআইএ বলেছে, ‘মুজিব সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর অধিকাংশ সদস্যের আনুগত্য ধরে রাখতে সক্ষম হবেন বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও রাজনৈতিক স্থিতির ক্ষেত্রে যেসব লক্ষণ ফুটে উঠেছে, তা দেখে সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওই সদস্যরা ইতিমধ্যে অধৈর্য হয়ে পড়েছেন এবং তাঁরাই তাঁর অব্যাহত শাসনের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে থাকবেন।’
১৯৭৫ সালের ৯ জুন সিআইএর রিপোর্ট বলেছে, ‘অধিকাংশ বাঙালি প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুজিব কীভাবে দায়িত্ব পালন করেন, সেটা দেখার ও তাদের মতামত প্রকাশে আরও একটু সময় নিতে আগ্রহী। সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনের ক্ষুব্ধ সদস্যরা, যাঁরা মুজিবের অব্যাহত শাসনের বিরুদ্ধে বৃহত্তম সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে গণ্য হচ্ছেন, তাঁরা সম্ভবত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয়েছেন যে কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।