আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইফা ডিজির মধ্যে কি এমন মধু আছে যে তাকেই হাজার বিতর্কের পরও বহাল তবিয়তে স্বপদে আসীন রাখতে হবে!!!!

পথের সন্ধানে পথে নেমেছি.........
গত ২৮ নভেম্বর ২০১০ তারিখে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ইসলামী ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ইসলামী ভাবধারা ও মূল্যবোধবিরোধী অশ্লীল নাচ প্রদর্শন করে ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল যে ভয়ন্কর এক সংস্কৃতি চালু করেছেন তাতে করে ভবিষ্যতে এর পরিণতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা সময়ই ভাল বলতে পারবে। ফাউন্ডেশন পরিচালনা বোর্ডের চারজন গভর্নর তাত্ক্ষণিকভাবে তার বিরোধীতা করলেও তিনি তার স্বেচ্ছাচরীতা দিয়েই জোহরের নামাজের আজান পড়ে গেছে এমন মুহূর্তে নিজেই উৎসাহ দিয়ে বিদেশী তরুণ তরুণী দিয়ে অশ্লীল ব্যালে ড্যান্সের আয়োজন করে অপসংস্কৃতির জন্ম দিয়েছেন পক্ষান্তরে ইসলাম ও ইসলাম প্রিয় মানুষের মনে দুঃখ দিয়েছেন । এর আগেও কাঙ্গালিনী সুফিয়ার গানের আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমেজ ক্ষুণ্ন করা হয়েছিল। এই আফজালই এক সময় ঘোষনা দিয়েছিলেন জুম্মার নামাজের আগে ধর্মীয় খুৎবার পরিবর্তে বঙ্গবন্ধুর নামে খুৎবা চালু করতে হবে। উল্লেখ্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজির অপসারণ ও অন্যান্য দাবিতে সম্মিলিত ওলামা পরিষদ গত ২৬ তারিখে হরতালের ডাক দেয়।

যদিও হরতাল পরবর্তিতে সরকারের অনুরোধ ও আশ্বাসে স্থগিত করা হয়। সংখ্যাঘরিষ্ট মুসলমানদের দেশে মুসলমানদের অভিভাবক ইমামদের অনুষ্টানে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েও এর মূল হোতা সামীম মোহাম্মদ আফজাল ডিজি বহাল তবিয়তে নিজ পদে কিভাবে বহাল থাকেন তা খুবই আশ্চর্যের ও পরিতাপের বিষয়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) প্রেসের জন্য এক কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করা হলেও মাত্র ৪৫ লাখ টাকার মেশিন বসানো হয়েছে। দামি মেশিন কেনার কথা বলে দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে কম দামি মেশিন বুঝে নেয় ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে সোয়া কোটি টাকার ওপরে দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে ২০ ডিসেম্বর দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

একজন লোক এতকিছু বিতর্কের জন্ম দিয়েও কিভাবে পার পেয়ে যায় বা কি করেই বহাল তবিয়তে নিজ পদে আসীন থাকে। বর্তমান সরকারইবা তার কাছে কোন দিক দিয়ে দায়বদ্ধ সেটা এখন জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। সরকারের ইসলাম বিরোধী নানা কর্মকান্ডের সাথে এই বিষয়টিও নিবীড় ভাবে সংশ্লিষ্ট কিনা সেটা নিয়েও সংশয় থেকে যায়। নতুবা একজন আফজালের কারনে কেনই বা সরকার বিব্রত অবস্হার মুখোমুখি হচ্ছে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। তাছাড়া দফায় দফায় আলোচনা ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে হরতাল স্থগিত করার এক দিনের মাথায় কেনইবা সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের দাবি-দাওয়াকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।

এইচটি ইমামের এই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ওলামা পরিষদ নেতারা। তারা বলেন, দাবি পূরণের ব্যাপারে উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে কসম করেছেন। তার ওয়াদা এবং অনুরোধ অনুযায়ী হরতাল স্থগিতও করা হয়েছে। অপরদিকে হরতাল স্থগিত করা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মন্তব্যও জনমনে তীব্র সংশংয় তৈরী হচ্ছে যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ওলামা পরিষদ। ওলামা পরিষদ এর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে আমরা সাধারন জনগনও আশা করি যে সরকার এই বিতর্কিত বিষয়টির আশূ সামাধান করবেন এবং অবিলম্বে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক এর পদ থেকে সামীম মোহাম্মদ আফজাল কে বহিস্কার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্হা করবেন।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।