ঈশ্বর আমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, একদিন আমরা মাটিতেই যাবো মিশে। আজকের সন্ধ্যাটা ছিলো সেই মহান যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনেরই মহাপ্রকাশ। ত্যাগ আর শান্তির বার্তা দিকে দিকে ছড়িয়ে তিনি এসেছিলেন এই পৃথবীর বুকে। ‘ ঈশ্বর মনুষ্যকে অত্যন্ত সরল করিয়া নির্মাণ করেছিলেন, কিন্তু তাহারা অনেক কল্পনার অন্বেষণ করিয়া লইয়াছে। ‘উর্ব্ধলোকে ঈশ্বর-এর মহিমা এবং পৃথবীতে তার প্রিয় মানুষের শান্তির দূত তিনি’।
কিন্তু এখন পৃথিবীর বুকে বেথেলহামের সেই মহান সত্বার শিক্ষার কথা কতোটুকু আমরা মেনে চলছি সেটাই প্রশ্ন। ২ হাজার বছরে সভ্যতার উথ্থানে আমরা আজ পথহারা। আমাদের শান্তি আজ কোথাও নেই। আমরা এখন হৃদয়ের ডাক শুনিনা, আমরা এখন মেকি হয়ে গেছি। কেবল ত্যাগের শিক্ষাই দিয়েছিলেন যিনি তার আদর্শকে আমরা কেনো যে আর মানছি না?
স্বর্গদূত আমাদের জন্য কি শান্তির বার্তা নিয়ে অপেক্ষা করছেনা? আমাদের ধ্বংস কি অনিবার্য?
আইরিশ কবি ইয়েটস বলেছিলেন-
ক্রমাগত চক্রে এক দিতে দিতে পাক
বাজ আর বাজিকের শোনে নাতো ডাক;
ভেঙ্গে পড়ে সবকিছু; কেন্দ্র আর পারেনা আগলাতে
সারা বিশ্ব ভরে যায় হাট-খোলা অরাজকতায়
রক্ত উদ্দীপিত ঢেউ বাঁধ ভাঙ্গে, ডুবে যায় তাতে
শুচিতার মহোৎসব দিকে দিকে....
অবশ্য আসন্ন কোনো পুনরার্বিভাব
অবশ্য আসন্ন সেই দ্বিতীয়াগমণ।
......................................
আর কী এই কদর্য জন্তু, যার মহেন্দ্রমুতুর্হ উপস্থিত,
গুড়ি মেরে চলেছে যে বেথেলহামে জন্ম নিতে তারে।
ক্রিসমাস বা বড়ো দিন এলে আমরা আনন্দ ভাগ করে নিই। আমরা সবাই প্রার্থনা করি। শিশুরা সান্তার জন্য অপেক্ষা করে। আমাদের সবার চাওয়া থাকে এই একটি দিনের জন্য।
বড়ো দিনের সবচেয়ে মজার আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো বড়োদিন উপলক্ষে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো। বিভিন্ন অর্নামেন্ট এবং আলোকসজ্জায় সাজানো এই ট্রি।
ক্রিসমাস ট্রি মূলত দেবদারু বা ঝাউ জাতীয় গাছ। এটিকে বিভিন্ন রংয়ের আলো এবং অর্ণামেন্ট দিয়ে সাজানো হয়। আলোগুলো একটি অর্থ প্রকাশ করে।
আবার অর্নামেন্টগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন উপহার মিলিয়ে সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি। ক্রিসমাস ট্রির সবচেয়ে উপরে বসানো থাকে স্বর্গদূত বা একটি স্টার। এই স্টার হলেন যিশুখ্রিস্ট। সবার উপরে তিনি, সবার মঙ্গল কামনায়। তবে এই প্রথাটা কিভাবে এলো সেটি জানা প্রয়োজন সবার।
এই ঐতিহ্য বিষয়ে জানার জন্য দেখুন।
বড়োদনিরে ঐতহ্যি
সান্তা ক্লজ!!
এই বুড়োটিকে ছোটোবড়ো আমরা সবাই ভালোবাসি। তিনি কখনও রাগেননা, চটেননা। ঈশ্বর ভক্ত শিশুদের তিনি উপহার দেন। তবে শিশু তো আর সারা বিশ্বে কম নেই।
তবে কিভাবে তিনি এতো শিশুর কাছে পৌ^ছে যান। এই ¯^র্গদূত কিভাবে সবার কাছে পৌঁছে যান তার হিসেব করে বেরও করা বেশ সোজা। দেখুন না!
সান্তার গতি সুপারসনিক!
আমরা কতোটুকু সুখী? আমরা মোটেই সুখী নই। আমাদের চাওয়ার শেষ নেই। আমাদের সুখটুকু খুঁজে পেতে আমরা কি করতে পারি?
ক্রিসমাসের আকাংখার তালিকায় সুখের খোঁজ
যিশু আমাদের সবাইকে ভালোবাসেন।
ছোটো বড়ো ধনী দরিদ্র সবার জন্য তার সমান ভালোবাসা। ভালবাসা বিষয়ে যিশু শিক্ষা দিয়েছেন,‘ভালবাসা সহিষ্ণু,ভালবাসা মধুর,ভালবাসা ঈর্ষা করেনা,বড়াই করেনা,গর্বে স্ফীত হয়না, রুক্ষ হয়না,স্বার্থপর নয়, বদমেজাজি নয়,পরের অপকার করেনা, অধর্মে আনন্দ করেনা। ভালবাসা সবই ক্ষমা করে, সবই বিশ্বাস করে, সবই ধৈর্যের সঙ্গে সহ্য করে। তাই আমাদের সবাইকে ভালবাসা উচিৎ। যিশুর ভালোবাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই মনের আনন্দ আর শান্তির সঙ্গে পৃথিবীর শান্তি অনিবার্য।
যদি থাকত চিকনের কাজ করা স্বর্গের কাপড়,
কারুকাজে ভরপুর সোনালি রূপালী আলোয়
নীল আর ধূসরএবং কালো যেসব কাপড়
বোনা হয় রাত আর আলো আর আধেক আলোয়
তবে তা নিশ্চয় মেলে দিতাম তোমার পদতলে
কিন্তু, যেহেতু গরিব, আমার রয়েছে শুধু স্বপ্ন;
সে স্বপনই আমি মেলে দিলাম তোমার পদতলে।
(ইয়েটসের কবিতার অনুবাদ)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।