আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামুতে ফেরা এবং কিছু উৎসাহ

আমার ছাদে বৃষ্টি ছিল,তোমার ছাদে ক্রোধ, বৃষ্টি তোমার খুব পছন্দ, আমার কিন্তু রোদ

খুব ভালো লিখতে পারিনা। যখন দেশের সোনার ছেলেদের এমন সব কীর্তি শুনি আনন্দে মনটা লাফিয়ে উঠে। শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে নিয়ে লিখতে বসি। মনে হয় গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দেই আমার এ অনুভুতির কথা। মুহাম্মাদ ইউনুস যখন নোবেল পুরস্কার পেলো তখন আমার আনন্দ আর দেখে কে!আনন্দাশ্রুতে চোখ ভিজে একাকার।

তখন আমি নটরডেম কলেজে পড়ি । থাকতাম গোপীবাগ ১ম লেনে। খুব পরিস্কার মনে পড়ে সেইদিন আমি প্রায় গোটা পাচেক দৈনিক পত্রিকা কিনেছিলাম কে কি লিখেছে তা পড়ার জন্য। পাশেই ইত্তেফাক, ইনকিলাব পত্রিকা অফিস থাকাতে ঐ দুইটা পত্রিকা দাডিয়ে দাঁড়িয়ে অফিসের সামনেই পড়েছিলাম। নেটেও ঘেটেছিলাম প্রায় সব বিখ্যাত আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো।

যখন দেখি আমাদের সাকিব বিশ্বের এক নাম্বার অলরাউন্ডার, আমাদের সালমান খান গোটা বিশ্বের শিক্ষা ব্যাবস্থা পালটে দেয়ার জন্যে কাজ করছে, আমাদের জাবেদ করিম ব্যস্ত ইউটিউব, পেপালের পর আরো কোন বিস্ময় উপহার দিতে, কৃত্রিম কিডনি তৈরি করে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে যখন শুভ রায় অন্য কোন কৃত্রিম অঙ্গ তৈরিতে ব্যস্ত তখন খুবই ইন্সপায়ার্ড হই। তারা পেরেছে, আমরা অবশ্যই পারব। তবে ইদানিং কি যেন হয়েছে। শুধুই ইন্সপায়ার্ড হচ্ছি। মেহেদী হাসান খান ভাই একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট।

অথচ দেখেন তিনিই প্রথম বাংলা ভাষায় ফোনেটিক কি-বোর্ড তৈরি করে আমাদের কাজটা সহজ করে দিলেন। অভ্র কি-বোর্ড এখন উইকিপেডিয়া তাদের সাইটে এমবেড করে দিয়েছে লেখার জন্য। আর আমি যে ফন্টে লিখছি, সেই ফন্টটা কিন্তু আমারই এক ক্লাসমেট সিয়ামের। ইদানিং বিশ্বাস করছি,ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বের হওয়ার আরো বছর দেড়েক বাকি।

জানি না, দেশের জন্য কিছু করতে পারবো কিনা। সেই বিশ্বাসেই উপরই ভরসা করে আছি। টাইম উইল সে, পৃথিবী একজন শুভকে মনে রাখবে না আর দশটা মানুষের মতই সে হারিয়ে যাবে কালের অতল গহবরে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।