আমি যদি আরব হতাম মদিনারই পথ এই পথে মোর হেটেঁ যেথেন নূরনবী হজরত
আমাদের এই সরকার হলো মাথামোটা বলদ সরকার। ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য এরকম হাস্যকর উপায় যাদের মাথা থেকে বের হয়েছে তাদেরকে ডাইলখোর ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে যে ভালো লাগছে না? এদের
নতুন চিন্তা কৌমি মাদ্রাসা নিয়ে। তাই পশ্চিম বংগের মত কিছু একটা তারা প্রসব করবে। যেখানে অমুসলিমরা পড়তে পারে। অর্থাৎ কৌমি মাদ্রাসাগুলো শুধু নামেই মাদ্রাসা থাকবে ।
বাস্তবে স্কুলের পাঠ্যক্রম পড়াবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা : পশ্চিমবঙ্গকে মডেল করতে চায় বাংলাদেশ
আমার দেশ পত্রিকার এই মাদ্রাসা-সংক্রান্ত নিউজ দেখে চমকে উঠলাম। সরকার কী করতে চায়? মাদ্রাসায় নাকি সমান পাঠ্যক্রম হবে। সাথে একটি আরবি বিষয় পড়ানো হবে। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ সবাই পড়তে পারবে।
শুনতে ভালো লাগে কিন্তু চিন্তা করে দেখেছেন তখন মাদ্রাসাগুলো শুধু নামেই মাদ্রাসা থাকবে। বাস্তবে স্কুলের সাথে কোন পার্থক্য থাকবেনা। তাহলে ইসলাম বা ইসলামী বিষয় শেখানোর মতো কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আর থাকলো না। মসজিদের ঈমাম পা্ওয়া যাবেনা। মরে গেলে জানাজা পড়ানোর মত কেউ থাকবে না।
লম্বা আলখেল্লা পরা সাদাসিধা এই ভালো মানুষগুলো আস্তে আস্তে আমাদের সমাজ থেকে হারিয়ে যাবে। মিলাদ-শিরনি তখন না হয় নিজেরাই পড়ে নিতে পারব।
রাগে ক্ষোভে একান্ত ব্যক্তিগত এবং অপ্রাসংগিক কিছু কথা বলছি। আসলে বলতে বাধ্য হচ্ছি। আমার বাবা একজন কৌমি মাদ্রাসায় পড়া আলেম।
আমার নানা, দুই ফুফা, দুই মামা, মামাতো ভাইয়েরা, খালাতো ভাই্য়েরা ও তাই। এবং আমাদের বংশে মাদ্রাসায় পড়াটাই নিয়ম। আমি ও ছোটবেলা থেকে মাদ্রাসায় পড়ার কথা ছিলো। কিন্তু প্রাইমারি স্কুল শেষে সবার অনিচ্ছা সত্বেও বড় চাচার ইচ্ছায় হাইস্কুলে পড়া শুরু করি। মাদ্রাসায় পড়লে চুল ছোট করতে হবে।
দুষ্ঠোমি করা যাবেনা। লম্বা জামা পরতে হবে। আর ততদিনে স্কুলে আমার অনেক বন্ধু। এদের হারাবার ভয়তো আছেই। ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাই চাইতাম যেন ও আরো কিছুদিন এভাবে চালানো যায়। আর প্রতি বছর ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা দিয়েই আব্বার হুকুম জানুয়ারিতে মাদ্রাসায় ভর্তি হবি। উনাকে বলতাম পরের বছর ভর্তি হবো। কিভাবে কিভাবে যেন ক্লাশ টেনে চলে গেলাম। মেট্রিক পরিক্ষায় অসাধারণ ফলাফলের পরে আব্বা আর না করতে পারেন নি।
যাইহোক এখানে আমি আসলে আমার মাদ্রাসা ঘনিষ্ঠতা বুঝাবার চেষ্টা করছি। মাদ্রাসায় পড়ে যে কেউ উচ্ছন্নে যায়না সেকথা আমার নিজ চোখে দেখা। আমার বাবা কৌমি পড়ুয়া আলিম হলেও কখনও কোনো মাদ্রাসায় বা মসজিদে চাকরি করেননি। মিডল ইস্টে সম্মানজনক চাকরি শেষে এখন অবসর নিয়েছেন। আমার দুই মামাই কৌমি আলেম হয়েও বড় ব্যবসায়ি।
যথেষ্ট ভালো আছেন। মামাতো ভাই আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষিত আলেম হয়েও একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্প-পতি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো ডিগ্রিধারী কেও তিনি মূল্যবান পরামর্শ দেন। হয়তো সবাই বলবেন এরা ব্যতিক্রম। কিন্তু আমার কাছে মোটেই ব্যতিক্রম মনে হয়নি।
এবং মনে না হওয়ার হাজারটি কারন আমি দেখেছি।
আমার মনে হয় সরকার আরেকটা বড় ভুল করছে। সমাজের সবচেয়ে নিরব অংশটিকে তারা ক্ষেপিয়ে তুলছে। আগুন নিয়ে সরকারের এ খেলার পরিণতি অবশ্যই ভয়াবহ হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।