আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজমেরিকে গ্রেপ্তারের দাবি রাব্বির

বুধবার নারায়ণগঞ্জে ত্বকী হত্যার ঘটনায় আজমেরি ওসমানের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে একটি রক্তমাখা প্যান্টসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করে র‌্যাব।
প্রায় দুই ঘণ্টার এই অভিযানে শহরের আল্লামা ইকবাল সড়কে আজমেরির মালিকানাধীন উইনার ফ্যাশনসের কার্যালয় থেকে দারোয়ানসহ মোট তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আজমেরির ওই অফিসকে ‘টর্চার সেল’ আখ্যায়িত করে সেখানেই ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন তার বাবা রফিউর রাব্বি।
র‌্যাবের অভিযান পরিচালনার পর এক প্রতিক্রিয়ায় রাব্বি বলেন, “আজমেরি ওসমানের টর্চার সেলে মানুষকে ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হত। ত্বকী হত্যার পর থেকেই বলে আসছিলাম, ওই টর্চার সেলে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে ত্বকীকে।

র‌্যাবের অভিযান এর সত্যতা প্রমাণ করল। ”
রাব্বি বলেন, “আজমেরি ওসমান ও শামীম ওসমান পালিয়ে যাওয়ার আগেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ত্বকী হত্যার রহস্যের উদঘাটন করতে হবে। ”
তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হলে নারায়ণগঞ্জের অনেক খুনের রহস্য উদঘাটন হবে বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ গণজাগরণ মঞ্চের এ উদ্যোক্তা।
অভিযান শেষে ত্বকী হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১১এর এএসপি রবিউল হক জানান, আজমেরি ওসমানের অফিসের দেয়ালে এবং শোকেইসে বেশ কিছু গুলির চিহ্ন রয়েছে। এসব নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।


অভিযানে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম জানান, “আজমেরি ওসমানকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি নারায়ণগঞ্জেই রয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তদন্তের স্বার্থে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রয়োজন তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ”
একই সময় এ মামলার আরেক সন্দেহভাজন রাজিবের বাড়িতে অভিযান চালানো হলেও সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি বলে র্যাব জানিয়েছে।
আজমেরি ওসমান নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের ভাতিজা এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ জাতীয় পার্টির নেতা নাসিম ওসমানের ছেলে।


অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে শামীম ওসমান বলেন, “র‌্যাব কেন গেছে তা আমি জানি না। জেনে নিয়ে পরে কথা বলব। ”
নারায়ণগঞ্জ গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা রফিউর রাব্বির ছেলে তানভীর মোহাম্মদ ত্বকী গত ৬ মার্চ বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যার একটি খালে তার লাশ পাওয়া যায়। সে রাতেই সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন রাব্বি।


এরপর ১৮ মার্চ শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, যুবলীগ নেতা পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগসহ সভাপতি রাজীব দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সালেহ রহমান সীমান্ত ও রিফাতকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারকে একটি অবগতিপত্র দেন তিনি।
তার অভিযোগ, আজমেরির অফিসেই ত্বকীকে আটকে রেখে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। এই ‘টর্চার সেলে’ ত্বকী ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ধরে এনে নির্যাতনের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায় করা হতো।
নারায়ণগঞ্জের ‘সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ’ গত মার্চ মাসে ওসমান পরিবারের পাঁচটি ‘নির্যাতন কেন্দ্রের’ একটি তালিকা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে হস্তান্তর করে, যেখানে আজমেরির কার্যালয়ের কথাও বলা হয়।
ত্বকী হত্যা মামলা প্রথমে পুলিশের হাতে থাকলেও পরে আদালতের আদেশে তদন্তভার র্যাবকে দেয়া হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.