মত প্রকাশের মুক্ত মাধ্যম তৈরী হোক
মোশরেফা মিশুও জামায়াতের লোক। আর তাই জামায়াতের সাথে তার সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে মিশুকে আরো দু দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক গার্মেন্টস শ্রমিক নেত্রী মিশুকে আদালত হাজির করে আরো ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর প্রতিবাদে রোববার দুপুরে গণতান্ত্রিক বিপস্নবী পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা মোশরেফা মিশুকে মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী হিসেবে উলেস্নখ করেন। মিশুকে জামায়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট করার পুলিশী তৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল বিশ্বাস লিখিত বক্তব্যে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে রেহাই দেয়ার অপচেষ্টা হিসেবেই মিশুকে জামায়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এছাড়া যে তিনটি মামলায় মিশুকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তার একটি মামলায়ও আসামি হিসেবে তার নাম নেই।
বাবুল বিশ্বাস আরো বলেন, গ্রেফতার করে রিমান্ডের নামে মোশরেফা মিশুর উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। নির্যাতনে তিনি মারাক্তক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি এ্যাজমা আক্রামত্ম, নিয়মিত ইনহেলারসহ অন্যান্য ওষুধ সেবন করেন।
তিনি বলেন, শ্রমিক অসমেত্মাষের মূল কারণগুলো উপেক্ষা করে মিশুকে অমানবিক নির্যাতন করে সরকার তার ফ্যাসীবাদি চরিত্র উন্মোচন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিপস্নবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির প্রবীণ নেতা সিদ্দিকুর রহমান, শহীদুল ইসলাম সবুজ, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।