আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উসামা বিন লাদেনের লাশ কোথায়- উত্তর দিয়েছেন তার স্ত্রী!!

তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা

মুখ খুলেছেন উসামা বিন লাদেনের ইয়েমেনী বংশোদ্ভুত স্ত্রী আমাল সাদ্দাহ। আল কায়েদা নেতা উসামার নিহত হওয়ার রাতে তিনি তার সাথে ছিলেন। সৌদী আরবের দৈনিক ওকায পত্রিকাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি সেই রাতের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি দাবী করেছেন, আমেরিকা প্রশাসন উসামা বিন লাদেনের মৃতদেহ সম্পর্কে সত্য ও সঠিক তথ্য বিশ্ববাসীর কাছ থেকে লুকিয়ে রেখে মিথ্যা গল্প ছড়িয়ে দিয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর অভিযানের সূচনা সম্পর্কে আমাল বলেন, হেলিকপ্টার থেকে নেমে যখন সৈন্যরা গুলিবর্ষণ শুরু করল তখন আমাদের ঘরে ও আশেপাশে অবস্থানরত অন্যান্য সশস্ত্র মুজাহিদদের সাথে তাদের তুমুল লড়াই শুরু হল।

মার্কিন কমান্ডোদের সাথে ওই অভিযানে অংশ নিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীও। তারা আমাদের পুরো বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলে এবং আশেপাশেও সতর্ক অবস্থান নিয়ে আক্রমণ চালানো শুরু করে। এসব আওয়াজে জেগে ওঠলেন উসামা বিন লাদেন এবং সাথে সাথে তিনি অস্ত্র নিয়ে তৈরী হলেন। আমরা যে রুমটিতে ছিলাম সে রুমের জানালা দিয়ে তিনি গুলি করতে প্রস্তুতি নিলেন। কিন্তু তিনি অস্ত্র তাক করা মাত্র আকস্মিকভাবে তখনই ঐ জানালা দিয়ে একটি গুলি এসে তার চেহারায় আঘাত করে।

তিনি লুটিয়ে পড়েন এবং কয়েক মিনিটেই নিস্তেজ হয়ে যান। ’ সাক্ষাতকারে উসামার এই স্ত্রী আমাল আরও বলেন, উসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর ব্যাপারটি চোখের পলকে ঘটে যায় এবং এর পরপরই কয়েকজন সৈন্য এসে রুমে ঢোকে। কয়েকজন মেরিন সদস্য এসে উসামা বিন লাদেনের মৃতদেহ টেনে খুব দ্রুত বেরিয়ে যায়। লাশসহ নির্ধারিত কয়েকজন একটি হেলিকপ্টারে ওঠে এবং সেটি উড়তে শুরু করে। কিন্তু বিস্ময়কর ভাবে হেলিকপ্টারটি কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিস্ফোরিত হয় এবং বিচ্ছিন্ন দেহের কিছু টুকরা ও হেলিকপ্টারের ভগ্নাংশ ছাড়া আর কিছুই সেখানে বাকি ছিল না।

’ আমাল তার এ বর্ণনার পর জোর দিয়ে দাবী করেছেন, এ জন্যই উসামার মৃত্যুসংবাদ জানাতে ভিন্ন পন্থা নেয় আমেরিকার হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন। এ হেলিকপ্টারের বিস্ফোরণ দেখেই ওবামা এবং তার সাথীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছিল। আমেরিকা প্রশাসন চেয়েছিল, উসামা বিন লাদেনের মৃতদেহটি সামনে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববাসীকে এ সংবাদ জানাবে। কিন্তু এ ঘটনায় তাদের সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায় এবং সাগরে লাশ ফেলে দেওয়ার মতো মিথ্যা গল্প বিশ্বের গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ’ আমাল সাদ্দাহ এ ঘটনাটিকে আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে তার স্বামীর লাশ শত্র“র হাতে অপমানিত হওয়া থেকে রক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে দাবী করেছেন।

তিনি আরও বলেছেন, জীবিত অবস্থায় যেমন শত্র“রা তার নাগাল পায়নি, তেমনি মৃত্যুর পরও তার মৃতদেহ নিয়ে তারা চক্রান্ত করার সুযোগ পায়নি। আরবী দৈনিক থেকে অনুবাদ- তামীম রায়হান

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।