যখন শুনি কেউ এদেশের খেয়ে-পড়ে দুর্ণাম করে এ দেশের তখন শরীরে জ্বালা ধরে যায়, ইচ্ছে করে পিষে মারি শা__দের।
সুত্র: যুগান্তর ১৯/১২/২০১০ Click This Link
বান্দরবান প্রতিনিধি
জেলার সীমান্ত উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির গভীর অরণ্যে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের ২টি সংগঠনের এক গোপন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আতংকিত হয়ে পড়েছে এ এলাকার বাসিন্দারা। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা স্থায়ী ছিল এ সমাবেশ। শতাধিক লোকের উপস্থিতিতেই এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে একজন বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যানসহ নাইক্ষ্যংছড়ির প্রায় ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে মিয়ানমারের সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারেটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (এআরএনও) প্রায় ৫০ সশস্ত্র সদস্যও অংশ নেয় বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে। জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম ও গভীর অরণ্যের দোছড়ি এবং আলেক্ষ্যং মৌজার মধ্যস্থান বাঁকাখালীর লতাবুনিয়া নামক এলাকায় শুক্রবার ২টি বিশাল তাঁবু টানিয়ে এ গোপন সমাবেশ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাইশারী ইউপির বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, সাবেক ইউপি সদস্য আবু তৈয়ব, বর্তমান ইউপি সদস্য আজিজুল হক, বাইশারীতে পুনর্বাসিত এআরএনও সদস্য ডা. মোস্তফা, নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল্লাহ এবং বর্মী নাগরিক হাজী আবুল কালামের ছেলে নুরুল হক। সমাবেশে আরএসও এবং এআরএনও’র ঢাকা ও চট্টগ্রামভিত্তিক সংগঠনের ১২-১৫ জন নেতাও অংশ নেয়।
গভীর অরণ্যে আকস্মিক এ সমাবেশের কারণে বাইশারী ও দোছাড়ি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবারের মাঝে অজানা শংকা বিরাজ করছে।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দুর্গম আলেক্ষ্যং এবং দোছড়ি মৌজার প্রায় ২ হাজার সরকারি পতিত খাস জমি জবরদখল করে বহিরাগতদের মাঝে দখল দেয়া এবং সেসব জমিতে মিয়ানমারের জঙ্গিবাদী দল আরএসও ও এআরএনও’র গোপন ঘাঁটি স্থাপনের জন্যই মূলত এ সমাবেশ করা হয়ছে। বাইশারী ইউপির বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান ফারুক আহমদের নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সময়ে ওই এলাকার প্রায় ৫০০ একরের পাহাড়ি জমি জবরদখল করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। ওই গোপন সমাবেশ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিুরুল ইসলাম সবুজ বলেন, তার কাছে এ ধরনের সংবাদ এখনও আসেনি, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ এ ব্যাপারে বলেন, দুর্গম এলাকায় গোপন সভার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। যাচাই করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নাইক্ষ্যংছড়ি বিডিআর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল শফিউল্লাহ বলেন, গোপন সমাবেশ বা সভার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের প্রকৃত দায়িত্ব আইন-শৃংখলা বাহিনীর, তবু তিনি ওই সমাবেশ কেন বা কারা করেছে সেই বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।