সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
প্রায় এক বছর ধরে মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলের মহামূল্যবান প্রত্ননিদর্শন ২৮টি 'প্রাচীন মুদ্রা' সাধারণ দৃষ্টিসীমার বাইরে কাপড়ের এক পুঁটলির মধ্যে অনেকটা অযত্নে পড়ে আছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার 'মালখানায়'। থানার ওসি বললেন, "আমি এখানে আসার পর মুদ্রাগুলো দেখেছি, যতটা সম্ভব যত্নে রাখছি, আদালতের আদেশ পেলে এগুলো কাছের মহাস্থান 'মিউজিয়াম' কর্তৃপক্ষকে দেয়া হবে। 'মিউজিয়াম' কর্তৃপক্ষ আইনের মাধ্যমে এগুলো নিতে পারে। " জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার খাসবাউরি গ্রামে প্রায় এক বছর আগে (২ হাজার ৯ সালের ২৫ জানুয়ারি) একটি পুরনো মন্দিরের মাটি খোঁড়ার সময় আদিবাসী দিনমজুর দিলীপ কুমার মাহাতো ২৮টি প্রাচীন মুদ্রা পায়। মুদ্রাগুলোর উভয় পিঠে খোদাই করা আরবি ক্যালিওগ্রাফিতে লিখা আছে।
কোন মুদ্রার ইনস্ক্রিপশনে আছে 'মুদ্রালিপি' যা স্পষ্ট দৃশ্যমান। মুদ্রাগুলো গোলাকৃতির মতো, তবে কিছুটা বক্র। বড় মাঝারি ও ছোট তিন ধরনের মুদ্রাগুলো রূপার ও তামার হতে পারে। দিনমজুর দিলীপ মুদ্রাগুলো পেয়ে গ্রামের শহীদ ম-লের কাছে জানালে এইসব মুদ্রা পাঁচবিবি থানায় নিয়ে গিয়ে জমা দেন। থানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ডায়েরি করে মুদ্রাগুলো 'মালখানায়' রাখেন।
মুদ্রাগুলোর প্রতিকৃতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ইমেরিটাস প্রফেসর ড. একেএম ইয়াকুব আলীকে দেখালে তিনি মুদ্রাগুলোকে সম্রাট আকবরের শাসনামলের তৈরি বলে উল্লেখ করেন। তাঁর মতে মুদ্রাগুলোকে ওই সময়ে 'এলাহী' মুদ্রা বলা হতো। মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টডিয়ান নাহিদ সুলতানা বলেন, "মাটির নিচে পাওয়া প্রাচীন প্রতিটি প্রত্ন নিদর্শন একটি দেশের ইতিহাসের পাতা মেলে কালের বিবর্তনের চিত্র তুলে ধরে। জাতির পরিচয় ধারণে সেই ইতিহাস রক্ষণাবেক্ষণ করা অতি জরুরী। " ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বগুড়ার মহাস্থানগড় প্রাচীন পুন্ড্রনগরী, যার চারধারে আছে বহু প্রত্ন নিদর্শন।
পাঁচবিবিতে পাওয়া প্রাচীন মুদ্রা জাতির এগিয়ে চলার অন্যতম সাক্ষ্য। যা জাদুঘরেই থাকা দরকার- এমন মন্তব্য এক ইতিহাসবিদের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।