বৃক্ষ হিসেবে তেমন পরিচিতি নেই, আবার বেড়ে ওঠার হারও খুব ধীর, এমনই একটি গাছ বিস্মিত করেছে গবেষকদের। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা পাহাড়ি একটি ফুলগাছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ এই জিনোম আবিষ্কার করেছেন। এই পাহাড়ি ফুলটির জিনোম সাধারণ প্রজাতির চেয়ে প্রায় ৫০ গুণ বেশি দীর্ঘ।
এই গুল্মটিতে ফুল ফোটে। এর বেড়ে ওঠা অত্যন্ত ধীরগতির হওয়ার কারণে এটি চাষ করা অনেক কঠিন।
গুল্মটির ডিএনএ অন্যান্য বৃক্ষ এবং স্তন্যপ্রায়ী প্রাণীর চেয়ে অনেক বড়ো, আর মানুষের চেয়ে তা ৫০ গুণেরও বেশি বড়ো। এর বৈজ্ঞানিক নাম Paris japonica।
জিনোম হচ্ছে- বায়োলজিক্যাল কোড, যার মধ্যে কিভাবে প্রত্যেক প্রাণী বা উদ্ভিদ বেড়ে উঠবে তা লেখা থাকে। এই জিনোম তৈরি হয় ডিএনএ থেকে। আর প্রত্যেক জীবন্ত কোষেই এর অস্তিত্ব থাকে।
প্যারিস জাপানিকা নামের এই গুল্মটির আদি বাসস্থান জাপানের হনসু দ্বীপের পাহাড়ি এলাকায়। তবে এটি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বাগানেও বেড়ে ওঠে। এই গুল্মটির জিনোমে ১৫০ বিলিয়ন বেজ পেয়ার্স আছে যেখানে মানুষের ক্ষেত্রে যা মাত্র ৩ বিলিয়ন। যদি একটি জিনোমকে টেনে বড়ো করা হয় তবে এক্ষেত্রে এটি ৩২৮ ফুট পর্যন্ত হতে সক্ষম। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ সাড়ে ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হবে।
পাহাড়ি এই গুল্মটির ঔষধি গুণও আছে। তবে দীর্ঘ জিনোম আবিষ্কারের ফলে আরো ঔষধি গুণ বের করা সম্ভব হবে।
এর আগে সবচেয়ে দীর্ঘ জিনোমের রেকর্ড ছিলো মার্বেলড ক্যাটফিসের ক্ষেত্রে। এই প্রজাতির প্রাণীতে ১৩০ বিলিয়ন বেজড পেয়ার্স আছে। এবং এই প্রাণীর জিনোম ২৮৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
এক পাহাড়ি ফুলে মিলেছে সবচেয়ে দীর্ঘ জিনোম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।