আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বোলগে কুনো সুন্দরী নাই, বোলগানী লস প্রজেক্ট!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

বিশাল একখান শপিং মলে খাড়াই খাড়াই টিভি দেখতাছিলাম আর ভাবতাছিলাম কি কিনন যায়। মুরগী খাইতে খাইতে কয়দিন পর ডিম পাড়া বাকি, ইদানিং রুম মেটের ভাষ্যমতে আমি নাকি ঘুমে মুরগীর ডাক দেই (আসেন বলি নাউজুবিল্লাহ)! মাগার মুরগী ছাড়া একদিন কইলজা খাইয়া বড়ই মুসিবতে পইড়া গেলাম। গরুর ফটুক দেইখা কলিজা কিনলাম, যে মাইয়াটা ক্যাশকাউন্টারে টাকা নিতাছিলো তারে জিগাইলাম,"যেই গরুর কলিজা কিনিয়াছি, তার ফটুকটাই কি এইখানে? তাইলে এই ফটুকটা কি কলিজা বাইর করনের আগে না পড়ে তুলা হইছে?" মাইয়াটা দেখি চাইয়া আছে। সুন্দরী মাইয়া যখন কেউ এমনে চাইয়া থাকে তখন আমার মাথা ঘুরে।

একটু পর রুম মেট ঠেলা দিয়া কইলো,"ট্যাকা দেন না কেন? ছেরী তো ট্যাকা চাইতাছে!" ইদানিং আমার কানেও সমস্যা। কানে না মাথায় সেইটাও বুঝতাছিলাম না কারন আমি ওর দিকে চাইয়া ভাবতাছিলাম কইলজার প্যাকেটের গরুখান যেই হাসি দিছে, এইটাকি তার কইলজার অপারেশন হেব্বী সাকসেসফুল হওনের আগে না পরে! এই সাকসেসফুল্লী অপারেশন করা কইলজা যখন রাইন্ধা খাইলাম তখন হেব্বী স্বাধ পাইলেও গন্ধটা নিয়া সন্দেহ দেখা দিছিলো। এই গন্ধটার বিষয়েও একখান পলাশীর আমতলার ইতিহাস বিদ্যমান। সেই ইতিহাসের পাতিহাস বিষয়ক আলু-চেনা করিব এখন। খাইতে খাইতে রাইত ১২ টা তারপর মুভি দেখতে দেখতে রাইত দুইটা আর ঘুমাইতে ঘুমাইতে ৪ টা।

সকাল বেলা উইঠা আবার ল্যাব। যাই হোউক, সেইদিন রাইতে ঘুমাইছিলাম ৫ টা, কারন রাইতের বেলা মুভি সিনেমা দেইখা দেখি আবারও ক্ষুধা লাগে। পাউরুটি দিয়া বনরুটি খাইয়া ঘুম দিলাম। বাইরে টেম্পারেচার পুরা -২০ এর উপ্রে, তাই দরজা জানালা পুরা সাবমেরিনের মতোন এয়ার টাইট। লেপের তলে মুড়ি দিয়া ঘুমাইতে যাওনের ৩০ মিনিট পর রুম মেট খুচা দিয়া উঠাইলো,"ঐ মিয়া, গ্যাস্ট্রিক হইছে নাকি? গ্যাস দিয়া রুম ভইরা ফেলাইছেন!" উইঠা দেখি আসলেই রুম গন্ধ হইয়া গেছে।

এয়ার ফ্রেশনার মাইরা চিন্তা করতাছিলাম যখন ঘুমের মধ্যে মানুষ কেমনে গ্যাস ছাড়ে তখন রুম মেট আমারে কয়,"ওস্তাদ, কলিজাটা কি গরুর আছিলো?" মনে মনে কইলাম,"আমার পেটের গ্যাস শুইনা কি মনে খটকা লাগলো? আর কাম পাইলা না চান্দু!" ফ্রিজে গিয়া তরকারীর গন্ধ শুকলাম ১০ মিনিট। কই ঘুমামু তা না গন্ধ শুকা শুরু করছি তরকারীর। মনে হইলো ইহা শুয়রের গন্ধ যদিও আমরা দুইজনে কুনোদিন শুয়রের গোস্ত খাই নাই, খালি গন্ধ শুকছি; ঈমানে কইতাছি! ৯ টার সময় শপিংমলের সাটার খুলনের আগেই হাজির। দেখি সাটার খান অটোমেটিক খুইলা গেলো আর ভিতর থিকা একখান সুন্দরী বাইর হইলো এ্যাডের সাইনবোর্ড লাগাইতে। কি তমসা, আমাগো দেশে মানুষ বাড়ি থিকা আইসা সাটার খুলে হাত দিয়া আর এইখানে দুকান থিকাই সাটার "খুলে খুল যা ছিম ছিম" কইরা।

আমরা দুইটা হুট কইরা দুকানে ঢুইকা ল্যাপটপ খুলি আগে, দুইটা সুন্দরী এমুন ভাবে আমাগো পাশে খাড়াইলো মনে হইলো আমরা এখন গান ছাড়মু আর ওরা নাচবো। মন চাইলো, খেমটা নাচ দেখনের আর জায়গা পাইলো না। যাই হোউক, গুগল ট্রানসলেটর খুইলা কইলা পয়লা ইংলিশে পরে লুকাল ভাষায় কইলাম,"ইহা কুন জন্তুর পেটের কইলজা?" দুই তিনবার ভ্রু কুচকাইলো, ভাবলো সাত সকালে পাগল কই থিকা আইলো। যাই হোউক, ওগো গোস্ত ডিপার্টম্যান্টের বুইড়া কসাইরে ডাইকা আইনা সে আমারে জানাইলো ইহা গরুর। আমি কইলাম গন্ধ তাইলে শুয়রের কয় কেন? সে কইলো সে জানে মুসলমানরা শুয়র খায় না।

তয় সে সন্দেহ করলো শুয়র আর গরু যেই পোল্ট্রি থিকা আনছে সেইখানে মনে হয় ওরা একই জিনিস খাইছে, বইলাই বুড়ার দুই পাটির ৩৪ খান দাতের জিলিক মারা হাসি। বুঝলাম না এতো বুড়া বয়সে এগো দাত কাল্লুগো মতোন এতো সুন্দর থাকে কেমনে! যাই হোউক, সকাল বেলা আবার রুমে গিয়া ২ ঘন্টার একটা ফ্লেক্সি ঘুম দিতেই দেখি রুমে বেল। মেজাজ খান বিলা। কই যাই, ঘুমেও শান্তি নাই। দরজা খুলতেই দেখি এক বাঙ্গালী ভাইয়ের কেলায়িত হাসি! উনি নাকি নতুন আসিয়াছেন, তাহাকে নাকি বলা হইয়াছে আমাদের রুমে হাজী মোহাসিন থাকে যার সাথে রুম ভাড়া ফ্রি।

মেজাজ দেখি বান্দরের বাশ চড়নের কাহিনীর মতো উপরেই উঠতাছে, কেউ কি নাই মেজাজ নামক বান্দরটার বাশে একটু বেশী কইরা তেল দেয়! যাই হোউক, রুমে আইসা শুরু করলো তাহার রেডিও ফূর্তির ট্রান্সমিশন। মন চাইলো ওর ফূর্তির গলা টিপি দেই। : ভাইজান, আপনের বাপ কি করেন ঢাকায়? : জ্বী উনি ঢাকায় থাকেন না। পেশায় কৃষক! : বাহ ভালোই। তো স্কলারশীপে মনে হয়? : নারে ভাই, আমি তো ভাই প্রাইভেট থিকা, তাও কুনো মতে লাস্ট ইয়ারের পরীক্ষা না দিয়া একখান সার্টিফিকেট কুনোমতে বাইর করছি।

: তো ভাইজান, এইখানে কুনো চাকরী নাই। আপনে এতো টাকা দিবেন কেমতে? : সেইটা নিয়া চিন্তা নাই, বাপে দিবে! চিন্তা করলাম কিসের চাষ করে বাপে যে পুরা টিউশন ফি দিয়ে এমুন পুংটারে পাঠাইছে! : ভাইজান, আপনের বাপে কি আফিমের চাষ করে নাকি পপি? : ধুরু ভাই, আমার বাবা চা-চাষী। সিলেটে আমাদের ১ টা আর কুড়িগ্রামে দুইটা চা বাগান আছে! এই রেডিও ফূর্তি একখান চীজ, বাপের অঢেল টাকা নিয়াও আমাগো লগে ফ্রিতে থাকতে আইছে, আমার রুম মেট সকাল বেলা উইঠাই ওর দিকে টানা ৫ মিনিট চোখ বড় বড় কইরা তাকায় থাকে। মনে হয় সে একটা ইলিশের রোস্ট দেখতাছে, যা খাইতে খুবই সুস্বাদু। কিন্তু সে খাচ্ছে না, খাওয়ার জন্য তাকায়া থাকে! ভয়ে আছি কখন যে রুম মেট আমার একটা খুন কইরা আমার দেশে যাওনের আইনী ব্যাবস্হা কইরা দেয়! মেজাজ এমন নানামুখী বিলা নিয়া যখন ইয়াহুতে লগি ইন করি, তখন দেখি ব্লগের বোলগারদের "হায় হ্যালো" মাগার আফসুসের কথা হইলো কুনো সুন্দরী আইজ পর্যন্ত "হায় হ্যালো" কইলো না।

সব দেখি পোলা নাইলে বুইড়া সিনিয়র। আমি বুইড়া হইছি বইলা কি সুন্দরীগো লগে টান্কি মারতে পারুম না এইটা কুন দেশী নিয়ম সেইটাই বুঝতাছি না। বোলগানী আসলেই লস প্রজেক্ট!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.