আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই আন্দোলনের ফসল জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দিতে হবে, আন্দোলনের কৃতিত্ব ছিনতাইকারী যেকোনো শক্তিকে প্রতিহত করা হবে

জন্ম থেকেই জ্বলছি এক জাতের লোক আছে আমার বন্ধু তালিকায়, তাদের কাজ হচ্ছে পাইকারি হারে কুৎসা রটানো। ব্লগস্ফিয়ার, ফেসবুকস্ফিয়ারে এরা প্রায় পরিচিত নাম। সেজন্য আমি নাম উল্লেখ করছি না। শাহবাগের আন্দোলনের অনেক আগে থেকেই আমরা যারা অনলাইনে মোটামুটি ঘোরাঘুরি করি, খোঁজখবর রাখি তারা সবাই লক্ষ্য করেছি শাহবাগে যে কোন আন্দোলন সংগ্রামকে একটি ফেসবুক নিক অশ্লীল ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে। এদের একটি দল আছে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি সেই দলটি আমাদের দেশকে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত রাখতে সবথেকে বেশি অবদান রেখেছে গত এক দশকে। কিন্তু কথা হচ্ছে বিদ্বেষ ছড়িয়ে, বাম-ডান বিভেদ সৃষ্টি করে, একই আন্দোলনের শক্ত কর্মীর নিন্দা করে, কারও চরিত্রহনন করে এরা যা করতে চেয়েছে তা হল অনলাইনে নিজেদের একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং যেকোনো সোচ্চার কণ্ঠকে রুদ্ধ করে দেয়া। একজন যুদ্ধাপরাধের বিপক্ষে তার চেয়ে ভালো কথা বলেছে। তারপর দিন শুনবো, আরে ওতো বাম-ছাগু। বাম-ছাগু যে কি বস্তু আজ পর্যন্ত বুঝলাম না।

কেউ সরকারের নিন্দা করলে এরা ব্যারিকেড দেবে, যেকোনো সঠিক বা ভুল কাজে অন্ধভাবে। অবশ্য জাতিবিরোধী প্রোপ্যাগান্ডার বিরুদ্ধে এরা সবচেয়ে সোচ্চার সেটা অসত্য নয়। আমাদের সংগ্রাম ন্যায়ের পথে। সংগ্রামের ফসল কি এরা ভুল হাতে তুলে দিতে চায়? যে ব্লগ লেখে সেই তো ব্লগার। আমি ব্লগ লিখি, আমি কি ব্লগার নই? আজকালকার যুগে অনেকেই ব্লগিং করেন।

ইমরান এইচ সরকারের ন্যায় সচেতন নাগরিক ব্লগে যাবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাকে ''স্বঘোষিত ব্লগার'' বলে নিন্দা করার মানে কি? ''স্বঘোষিত ব্লগার'' এর চেয়ে সস্তা, ফালতু ও বাজে শব্দ আর হতে পারেনা। যে ব্লগিং করে সেই ব্লগার। এমন কি কোন প্রতিষ্ঠান আছে যারা ব্লগার ঘোষণা করে? তার মানে হচ্ছে শাহবাগে সাম্রাজ্য ও সরকারবিরোধী আন্দোলনের তীব্র নিন্দুকরা এই আজকের জামাত-শিবির বিরোধী আন্দোলনের ব্যাপকতা প্রথমে বুঝতেই পারেনি। তারা একে বামদের ''মাঠা ফেলা'' অথবা ''হাত মারা'' কর্মসূচী হিসেবেই প্রচার করেছিলো।

কিন্তু এখন তারাই এই আন্দোলনের সকল কৃতিত্বের দাবিদার হয়ে আন্দোলনের সূচনাকারীদের একরকম নাজেহাল অবস্থায় রেখেছেন। আমার স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, বহুল আলোচিত এ টিমের এই আন্দোলনের পটভূমিতে ব্যাপক ভূমিকা ছিল। তাদের সহযোদ্ধা রাজীব হায়দার শহীদ হয়েছেন। কিন্তু আমি তারপরেও সার্বিক জনতার এই আন্দোলনে স্বার্থান্বেষী রঙ লাগাবার দৃঢ় বিরোধী। জনগণের আন্দোলনের ফল জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দিতে হবে।

হয়তো সেই ফিরিয়ে দেয়ার দায় শেখ হাসিনার। কিন্তু এই আন্দোলনের ফল নিজেদের ভোট ব্যাংকে কুক্ষিগত করতে চাইলে তার পাশে জনগণ থাকবে না, আর আন্দোলনের পিছনের এই ষড়যন্ত্র কখনোই ক্ষমা করা হবেনা। এভাবে আমাদের আস্তিক-নাস্তিক, বাম-ডান, চুশিল-ছাগু ভাগ না করে দেশপ্রেমের ভিত্তিতে একত্র করলেই ৭১ এর ৩ মিলিয়ন নিহত বাঙালি শান্তি পাবে। জয় বাংলা বাংলাদেশ চিরজীবী হোক ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।