স্বাধীনতার দীর্ঘ ৩৯ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও চরম অবহেলা আর অযন্তে পড়ে আছে মহান স্বাধীনতা যুদ্বে জীবন উৎসর্গকারী কানাইঘাটের ২২ শহীদ মুক্তিযোদ্বার কবর। অথচ এ সকল শহীদদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন একটি দেশ। কিন্তু তাদের পরিবার পরিজনের খবর আজও কেউ রাখেনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্বাদের সাহায্য করার অপরাধে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় একই দিনে ২২ মুক্তিযোদ্বাদেরকে তাদের নিজ নিজ বাড়ী থেকে ধরে এনে পাক হানাদাররা নির্মমভাবে জীবন্ত কবর দিয়েছিল। এই ২২ মুক্তিযোদ্বাদের মধ্যে ১৯ জনকে জীবন্ত মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল কানাইঘাট উপজেলা সদরের মাত্র ১ কি:মি: দূরবতর্ী কানাইঘাট-দরবস্ত রাস্তা সংলগ্ন বিস্নুপুর খালের পারে বাকি ৩ জনকে ঐ স্থান থেকে ২০০ গজ দূরে সমাহিত করা হয়।
অথচ দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর সন্তানদের সমাধিস্থলটি পড়ে আছে অযন্তে অবহেলায়। ১৯ জনের সমাধিস্থলে পাকা দেয়াল তৈরী করলেও সমাধিস্থলটি যে কোন সময় পাশ্ববর্তী খালের ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাকি ৩ জনের সমাথিস্থল শুধু চারদিকে ৪ টি পিলার আর কাটাতার দিয়ে কোন মতে রাখা হয়েছে। কিছুদিন পর হয়ত তাদের কবর চিহ্নিত করাও কঠিন হয়ে পড়বে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়।
জাতী শ্রদ্বাভরে স্মরণ করে সেই সকল শহীদদের। যাদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের মানচিত্রে লেখা হয় আরেকটি দেশের নাম। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ ৩৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের ভুলতে পারেনি কানাইঘাটের মানুষ। শহীদদের আত্নীয়-স্বজন ও মুক্তিযোদ্বারা ােভ প্রকাশ করে বলেন যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা তাদের সমাধিস্থলটির আজ এই অবস্থা,তাদের পরিবার-পরিজন অনাহারে,অর্ধাহারে দিনানিপাত করছে,অথচ যারা রাজাকার তারা কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে দালান,কোঠা নির্মাণ করছে।
বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্বাদের প্রতি খুবই আন্তরিক বীর মুক্তিযোদ্বাদের শেষ স্মৃতিটুকু রা করার জন্য বর্তমান সরকারের উর্দ্ধতন কতর্ৃপরে কাছে এলাকাবাসী দাবী জানিয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।