নিলিমা আত্মহত্যা করবে। এছাড়া ওর আর কোন উপায়ও নেই। নিলয়ের বিশ্বাসঘাতকতা ভুলতে, অসম প্রেমের নিষ্ঠুর পরিণতির সমাপ্তি ঘটাতেই হবে। নিলিমার চোখেমুখে ঘৃণা আর ঘৃণার বহিঃপ্রকাশই ওর আত্মহত্যার প্রবণতা। কিন্তু আত্মহত্যার পূর্বে যে নিলিমাকে খুন করতে হবে।
নিজের সত্তায় তিল তিল করে বেড়ে উঠছে যে ঘৃণিতমুখ। ভালবাসার প্রতারণার ছলাকলায় বন্দি নিলিমার জীবন আর ওর আপন শত্রু। নিলয়কে প্রচন্ড বিশ্বাস করতো সে, নিলয়ের উপর ছিল পর্বতসম আস্থা। নিলয় ছিল তার কাছে নির্ভরতার প্রতীক। কত হাসিঁখুশিতে ভরপুর ছিল নিলয়-নিলিমার ভালবাসার স্বপ্লিল প্রেমালয়।
নষ্টকীট নড়েচড়ে উঠছে। ইদানিং ভয়ানক হয়ে উঠছে পরজীবিটার শত্রুতা। মাঝরাতে ঘুমাতে পারে না নিলিমা। যতই সময় গড়াচ্ছে ততই যেন পরজীবিটার শত্রুতা বাড়ছে, মাঝে মাঝে আতংকে কুকঁড়ে ওঠে। প্রতিদিনই সুইসাইট করার ভাবনা চেপে বসে নিলিমার মাথায়।
আজ রাতেই আত্মহনন করবে, নিশ্চিহৃ করে দিবে নিলয়ের প্রতারণার ফসল, চিরবিদায় নিবে নিষ্ঠুর দুনিয়াবি জাদুকরী মোহ থেকে। সে মোহই আজ ভীষণ কাল হয়ে কাল সাপ হয়ে গিলে খাবে নিলিমার জীবন।
আকাশকে ভীষণ মিস করছে নিলিমা। আকাশের মতো বন্ধু পাওয়া ভীষণ ভাগ্যের ব্যাপার। আকাশ বুঝিয়েছিল কিন্তু নিলিমা ওর কথায় পাত্তা দিলে তো।
আজ নিলয় আর আকাশের মাঝে বিশাল ব্যবধান। একজন প্রতারক আর অন্যজন শুভাকাঙ্খী। নিলয় ভালোবেসেছিল ওর দেহটা আর আকাশ কত যে স্বপ্ন দেখিয়েছে। এক একটা স্বপ্ন নিলিমার কাছে যেন জীবন্ত হয়ে ধরা দিতো।
আচ্ছা, আকাশ কি আমায় মেনে নিবে।
আমার পরজীবি সত্তার পরিচয় মেনে নিবে। আমার মতো নিলজ্জ মেয়ের কী কোনো ভালবাসা আছে, থাকতে কী পারে, নিলয়কে উজাড় করে দেবার পরও কী অবশিষ্ট কিছু আছে?
নিজের শরীরটাকে আজ প্রচন্ড ঘৃণার বস্তু মনে হচ্ছে নিলিমার। ঘৃণিত দেহটার অভ্যন্তরে বেড়ে উঠছে আরেকটি ঘৃণিত প্রাণ, হয়তো আরেকটা প্রতারক। বাচঁতে চাওয়াও আজ ভীষণ অপমানের, অপবাদের, ঘৃণার, লজ্জার......ভীষণ লজ্জার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।