আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়াত-ই-ইসলামী

আমি পূর্ণয় Click This Link দেখুন এই বাংলাদেশ বিদ্বেষী গ্রুপ্টা। এটা মেনে নেয়া যায় না । এটা কি ? এরপরও কি মানুষের চোখ খুলবে না ? ধর্মের দোহাই দিয়ে দেশের সাথে শত্রুতা করছে জামাত। এরা তো ইসলামকেই বিকৃত করে প্রতিদিন। যেই মউদুদী বলেছিল ধর্ম প্রচারে কি মহানবী(সাঃ) এর কিছু ভূল ছিল(নাউজুবিল্লাহ) যা মউদুদি নিজে থিক করেছে সেই মউদুদির প্রতিষ্ঠিত জামায়াতে-ইসলামী কি আসলেও ইসলামের কথা বলে ? ২০১২ সালের জুলাই তেও শিবিরের এক সভায় মহনবী(সাঃ) সাথে তুলনা করা হয়েছিল নিজামীর(নাউজুবিল্লাহ) এমন একটি দলের পক্ষেই তো মানুষ খুন করা সম্ভব মূলত এরাই নাস্তিক।

অসাম্প্রদায়িক এই দেশের আজ আস্তিক নাস্তিক হানাহানি। অথচ আপনি কি জানেন মদিনা সনদে হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) বিধর্মীদের সাথে কি চুক্তি করে ছিল ? ঐতিহাসিক মদিনা সনদঃ ১) মদিনা সনদে স্বাক্ষরকারী ইহুদি, খ্রিস্টান, পৌত্তলিক ও মুসলমান সম্প্রদায় সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে এবং তারা একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে। ২) হযরত মোহাম্মদ (সা: ) নবগঠিত প্রজাতন্ত্রের সভাপতি হবেন এবং পদাধিকারবলে তিনি মদিনার সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বময় কর্তা হবেন। ৩) পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় থাকবে; মুসলমান ও অমুসলমান সম্প্রদায় বিনা দ্বিধায় নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে; কেউ কারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। ৪) স্বাক্ষরকারী কোনো সম্প্রদায়কে বহিঃশত্রু আক্রমণ করলে সকল সম্প্রদায়ের লোকেরা সমবেত প্রচেষ্টায় বহিঃশত্রুর আক্রমণকে প্রতিহত করবে।

৫) বহিঃশত্রুর আক্রমণে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়গুলো স্ব-স্ব যুদ্ধ-ব্যয়ভার বহন করবে। ৬) স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হবে; এর জন্য অপরাধীর সম্প্রদায়কে দোষী করা চলবে না। ৭) মদিনা শহরকে পবিত্র হিসেবে ঘোষণা করা হলো এবং রক্তপাত, হত্যা, বলাৎকার এবং অপরাপর অপরাধমূলক কার্যকলাপ একেবারেই নিষিদ্ধ করা হলো। ৮) অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি ভোগ করতে হবে এবং সর্বপ্রকার পাপী বা অপরাধীকে ঘৃণার চোখে দেখতে হবে। ৯) মুসলমানদের কেউ যদি অন্যায় কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নিজ সন্তান বা আত্নীয় হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না। ১০) ইহুদিদের মিত্ররাও সমান নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভোগ করবে। ১১) দুর্বল ও অসহায়কে সর্বতোভাবে সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে। ১২) রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। ১৩) মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরষ্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে।

নিচের লিংকে আরও বিস্তারিত পাবেনঃ Click This Link পবিত্র আল কোরআনের সূরা বাক্কারাহ তে উল্লেখিত আছেঃ "তাদের অন্তঃকরণ ব্যাধিগ্রস্থ,আল্লাহ তাদের ব্যাধি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন বস্তুত তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুণ" - আয়াত ১০ "আর যখন তাদেরকে বলা হয় দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করো না, তখন তারা বলে আমরা তো মিমাংশার পথ অবলম্বন করেছি" - আয়াত ১১ "মনে রেখ তারাই হাঙ্গামা সৃস্টিকারী , কিন্ত তারা তা উপলব্ধি করে না" - আইয়াত ১২ কোরআনের এই আয়াত গুলোর স্পষ্ট প্রমাণ এই জামায়াতে ইসলামী । তারা দেশের বিরুদ্ধে কথা বলে ইসলামকেও বিকৃত করে। তারপরও জামায়াতে ইসলামীর সাথে ফিতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি জন্য হাজার মানুষ রাস্তায় নামে। তারা কি আল্লাহকে ভয় করে না ? তারা কি দুনিয়াবি মিথ্যায় নিজের ধর্ম ও দেশকে বিক্রয় করে দিল ? হায়! আল্লাহ! আমি এমন এক দেশের নাগরিক যে দেশের শত্রু ওই দেশের পতাকাবাহী গাড়িতে চড়ে সেই দেশেরই বিরুদ্ধের কথা বলে। যে দেশের ইসলামের শত্রু ইসলাম কে ব্যবহার করে মানুষকে পথ ভ্রষ্ট করে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।