কৃমি হলে কিছু কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন-বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, পেট মোটা বা ভারি হওয়া, খাবারে অরুচি, মুখে থুথু ওঠা এবং কোনো কোনো কৃমিতে পায়খানার রাস্তার পাশে চুলকানি হতে পারে। কৃমি হলে সাধারণত অপুষ্টি দেখা দেয়। রক্তশুন্যতা দেখা দেয়। হুক ওয়ার্মের একমাত্র খাদ্য হচ্ছে আক্রান্ত রোগীর রক্ত।
অনেক সময় বক্র কৃমির এক মুখ শিশুদের এপেনডিক্সের মধ্যে প্রবেশ করে। ফলে এপেনডিসাইটিসের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শিশুর নাক, মুখ দিয়েও কৃমি পড়তে পারে। পেটে কৃমির আধিক্যে অন্ত্রনালীর পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া অন্ত্র ফুটো করে মারাত্মক অবস্হার সৃষ্টি করতে পারে।
তাই উপরোক্ত উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
কৃমি না হওয়ার জন্য কী করতে হবে:
কৃমি যাতে না হয় সেজন্য নিম্নলিখিত স্বাস্হ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে। যেমন-
১. স্বাস্হ্যসম্মত পয়ঃপ্রণালী ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ জলাবদ্ধ (ওয়াটার সিল ল্যাব ল্যাট্রিন) পায়খানা ব্যবহার করতে হবে।
২. খাবার আগে ও মল ত্যাগের পর ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
৩. নিরাপদ পানি পান করতে হবে।
৪. শাক-সবজি, ফলমুল ভালোভাবে ধুয়ে খেতে হবে।
৫. যেখানে সেখানে মল ত্যাগ করা যাবে না। খালি পায়ে না হেঁটে স্যান্ডেল ব্যবহার করা উচিত।
৬. ভালোভাবে সিদ্ধ করা মাংস খেতে হবে।
কৃমি হলে কী করবেন:
১. কৃমি একটি সাধারণ সমস্যা মনে হলেও এটি মোটেও সাধারণ সমস্যা নয়। তাই কৃমি হলে চিকিৎসা করাতে হবে।
২. চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ওষুধ খেতে হবে। বাজারে কৃমির চিকিৎসার জন্য নানা রকম ওষুধ আছে।
যেমন-মেবেনডাজল, অ্যালবেনডাজল, লেভিমাজল ইত্যাদি। বড়দের জন্য বড়ি এবং শিশুদের জন্য সিরাপ পাওয়া যায়। এসব ওষুধের দামও খুব বেশি নয়।
(সংগৃহীত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।