গুণীজন
ছোট বেলা থেকেই খুব গাছপালা ভালবাসতেন৷ কিন্তু তারপরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় উদ্ভিদবিদ্যাকে পাঠ্যবিষয় হিসেবে বেছে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন ড. ফ্লোরা৷ মাত্র দেড় বছর বয়সে পোলিওতে আক্রান্ত এই কৃতি ছাত্রী বুঝতে পারছিলেন না, ফিল্ডওয়ার্ক নির্ভর এই বিষয়ে পড়াশোনাটা তিনি শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারবেন কিনা৷ উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা করা মানেই হলো অনেক ঝক্কি-ঝামেলা; নানা জায়গা থেকে নানা ধরনের গাছপালা সংগ্রহ করা অথবা গাছ পালা দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো৷ অভয় দিলেন তাঁর মা 'তোর বোটানিতে এত আগ্রহ তুই বোটানিতেই ভর্তি হ্; গাছপালা, লতাপাতা যা যা সংগ্রহ করার আমিই করে দেব'৷ ফ্লোরা সাহস পেলেন, ভর্তি হয়ে গেলেন বোটানিতে৷ মা তাঁর জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে নিয়ে আসেন মাশরুম, বিভিন্ন রোগাক্রান্ত গাছ৷ একবার করাচি থেকে নিয়ে এলেন সামুদ্রিক শ্যাওলা৷ মায়ের কালেকশন দিয়েই সর্বোচ্চ মার্কস পেয়ে গেলেন ড. ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি --> ফ্লোরা জাইবুন মাজিদ
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।