২৫শে ফেব্রুয়ারী। সকালে ফেসবুকে ঢুকে দেখি বি.ডি.আর বিদ্রোহের শহীদদের নিয়ে পোস্টের ছড়াছড়ি। আমার এখনও মনে পড়ে মুন্নী শাহার জ্বালাময়ী সেই রিপোর্টিং টেলিভিশনের পর্দায় - সৈনিকদের পক্ষে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা। কি ভীষণ ভূল ভূমিকা ছিল আমাদের তথাকথিত মিডিয়ার - যার মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের ৫৭ জন মেধাবী অফিসারকে আর তাদের পরিবারকে।
মিডিয়া জনমত তৈরীতে আর তার ফলসশ্রুতিতে সরকারকে নিষ্ক্রিয় করতে সেদিন যে ভূমিকা রেখেছিল তার কথা আমরা ভূলে গেছি।
২৫শে ফেব্রুয়ারী সারাদিন বহু লোককে আমি আর্মি অফিসারদের বিরুদ্ধে আর বি.ডি.আর জওয়ানদের পক্ষে কথা বলতে শুনেছি। আর পরদিন লাশের পর লাশ দেখে নির্বাক হয়ে যেতে দেখেছি। কত সহজে আমরা ভূল কথা বিশ্বাস করি আর তাতে প্রভাবিত হয়ে যুক্তি তর্ক শুরু করি। একবারও ভাবি না এর পরিনতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে।
কেন জানি আমার বি.ডি.আর এর এই ম্যাসাকারের জন্য মুন্নী শাহার (এবং অন্যান্য চ্যানেলের) সেই দায়িত্বহীন রিপোর্টিং আর আমরা বোকা জনগনের তাতে ঝাপিয়ে সমর্থনকেই দায়ী মনে হয়।
কেন যেন মনে হয় এত গুলো টিভি চ্যানেল না থাকলে, এত দ্রুত মানুষ এতে ভুলভাবে প্রভাবিত না হলে হয়ত সরকার এবং সামরিকবাহিনীর পক্ষে এই বিদ্রোহ দমন সহজ হতো। এতগুলো মেধাবী প্রাণ ঝরতো না।
এই কথাগুলো আজ আরও বেশী মনে হচ্ছে আমাদের চলমান আন্দোলন নিয়ে বুঝে না বুঝে আমাদের সবার কথা বলা - অন্যকে প্রভাবিত করা - আর যা ইচ্ছা তাই শেয়ার দেয়ার হিরিক দেখে। আমাদের দায়িত্বহীন আচরণ যদি আমাদের জনমত উল্টে দেয় আর যদি আবারও আমরা বি.ডি.আর বিদ্রোহের প্রথমদিনের মত ভূল দিকে ঝুকে ধর্মের সাথে যুদ্ধাপরাধ মিলিয়ে ফেলি তাহলে আমাদের মত হতভাগ্্য জাতি আর হবে না।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা এবার নিজেদের জায়গা থেকে দায়িত্ববান আচরণ করব।
হুজুগে মাতব না - যেকোন কথায় উদ্বুদ্ধ হব না। দেব না কাউকে আমাদের সরলতার সুযোগ নিতে আর আমাদের ব্যাবহার করতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।