আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোমলপানীয় শরীরে স্থূলতাসহ মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে

সময় বয়ে চলে তার আপন গতিতে

কোমলপানীয়ের অতিরিক্ত চিনি, কৃত্রিম রং, ক্যাফেইন ও উচ্চমাত্রার অম্লতা মানুষের শরীরে স্থূলতাসহ মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করে। শিশুদের শরীরে এর প্রভাবে বিকলাঙ্গতাসহ পঙ্গুত্ব সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া শরীরে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহ যেমন—কলিজা, হৃিপণ্ড, কিডনি, মূত্রাশয়, পাকস্থলীসহ দাঁত ও হাড়ের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত কৃত্রিম ফলের রসে (জুসে) নানা রকমের সংরক্ষক দ্রব্য, রঙ ও চিনির আধিক্য মানুষের বিশেষ করে শিশুদের অনেক ক্ষতিসাধন করতে পারে। চা ও কফি মানুষের নিত্যব্যবহার্য পানীয় হলেও এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার শরীরে বিরূপ প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে থাকে।

‘বাংলাদেশে পানীয় জল ও কোমলপানীয় কতটুকু নিরাপদ?’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) উদ্যোগে গতকাল সংগঠনের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাপা’র সহসভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এএসএম শাহজাহান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপা’র নিরাপদ খাদ্য, পানীয় ও ভোক্তা অধিকার প্রোগ্রাম কমিটির সদস্যসচিব জাহেদুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন এবং নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সাধারণ সম্পাদক ডা. শাকিল আখতার।

বক্তব্য রাখেন বাপা’র প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মহিদুল হক খান, যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, শরীফ জামিল, শফিউদ্দিন সরকার, লুত্ফল কবির, ড. মাহবুব হোসেন প্রমুখ। বক্তারা আরও বলেন, আমাদের প্রক্রিয়াজাত অনেক খাদ্যই নানান ভেজালের জন্য খাবারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমান বাজারে খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ক্রেতা ও কোমলমতি শিশুদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কোমলপানীয়, বিশেষ করে জুসের সঙ্গে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন বিষাক্ত রং মিশাচ্ছে এবং চটকদার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। খাদ্য প্রস্তুতকারীরা রং মিশ্রিত কোমলপানীয় সরবরাহ করে একদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে অন্যদিকে ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা বলেন, শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী এ ধরনের পদার্থের ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যকে বিভীষিকাময় করে তুলেছে।

শরীরের পুষ্টির জন্য খাদ্য অপরিহার্য। তাই খাদ্য ও পানীয় নিয়ে এসব প্রতারণা বন্ধ হওয়া উচিত এবং সেইসঙ্গে এর সঠিক মান নিশ্চিত করে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে ভেজাল রোধসহ বাজারের এসব কোমলপানীয় ও জুসে বিষাক্ত রংয়ের মিশ্রণ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়াসহ ক্ষতিকর এসব পানীয় গ্রহণ থেকে আমাদের শিশুদেরকেও বিরত রাখতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে পারলে ক্যান্সার, গ্যাস্ট্রিক, কলেরা, জন্ডিস, লিভার সিরোসিসসহ নানা রকম হার্ট ডিজিজ, কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা ও নানা ধরনের চর্মরোগ অনেকাংশে কমে আসবে।

একইসঙ্গে তা আমাদের পঙ্গুত্বের হাত থেকেও রক্ষা করতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং সুস্থ মানসিকতার বিকাশ ঘটাতে পারে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।