পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও সুমা নিস্তার পাননি উত্যক্তকারী মহসীন এর ভয়ঙ্কর ছোবল থেকে। মহসিনের দায়ের কোপে ঘটবাড়িয়া আদর্শ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সুমার ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ প্রায় পুরোটাই কেটে গেছে। কেটে গেছে হাড়ও। এছাড়া কেটেছে তার ডান হাতও।
সুমা ও তার বাবার আহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বরগুনা থানার ওসি মো. বাবুল আখতার জানান, উত্ত্যক্ত করা নিয়ে সুমার অভিযোগ পাওয়ার পর তারা মহসিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়েছেন।
তবে সফল হননি।
পুলিশ একজন সাধারণ ইভ টিজারকে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে; তাও আবার নিজের মুখে স্বীকার করেছে, এতে কি প্রমাণিত হয়। লাজ-লজ্জা বলে কি পুলিশের কিছুই নেই। ঐ পুলিশের মেয়ে কিংবা স্ত্রীকে তার সামনেই ধর্ষণ করতে হবে। তাতে যদি কিছুটা আক্কেল হয়।
তাও হবে কিনা সন্দিহান!
পুলিশের কাজ জনগণের সেবা করা। অথচ প্রতিনিয়ত তারাই জনগণকে ফেলছে নানা রকম বিপত্তিতে। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি এ খবর পড়েন নি? এটা পুলিশের ব্যর্থতা নয়, এটা দুর্নীতি এবং অলসতা। আর তাদের এই কর্তব্যবিমুখতাই আজ পঙ্গু করে দিয়েছে সুমার মত একজন কলেজ ছাত্রীকে।
বেশি কিছু লিখতে পারছি না।
মুখে শুধু গালি আসছে। কে নেবে সুমার এই পঙ্গুত্বের দায়ভার? কেউ কি পারবে তাকে সুস্থ-সবল পা ফিরিয়ে দিতে?
আর কত??? সহ্যের সীমা কি অসীম? মহসীন এর মত এই সকল ছেলেদের পিতার আত্মহত্যা করা উচিত। তারা কি কোন মানব সন্তান জন্ম দিয়েছে, না নরপশু জন্ম দিয়েছে? এরা তো পশুদেরও হার মানিয়ে দিয়েছে!! সমাজ আজ কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে তা ভাবতেও লজ্জা লাগে! এই পঙ্গুত্ব বরণের ভার কে নেবে? কে উত্তর দেবে এই প্রশ্নের? সমাজ কি এর পরেও চুপ করে থাকবে? সন্তানের সামনে মা, ভাইয়ের সামনে বোন, বাবার সামনে বোন বা মাকে ধর্ষণ করলেও এ অকাল কুষ্মান্ড জাতি নিরবে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে দেখবে আর কমনার কৃত্রিম আস্বাদন গ্রহণ করবে!
প্রশ্ন রইল জাতির কাছে, এভাবেই কি চলবে? উচ্ছৃঙ্খলতার দাপটে সকল সভ্যতা কি ঢাকা পড়বে? তাহলে আমরা নিজেদের আর সভ্য বলে পরিচয় না দিয়ে অসভ্য বলে পরিচয় দিই!!
বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুনঃ থানায় অভিযোগ করেও...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।