জিসিএম রিসৌর্সেস(গ্লোবাল কৌল ম্যানেজমেন্ট)ফুলবাড়ির কয়লা লুটের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। চরম ক্ষতি হবে জেনেও আমাদের মন্ত্রি, এমপিরা জিসিএম রিসৌর্সেস এর জন্য প্রধানমন্ত্রির কাছে তদবির সুপারিশ করে যাচ্ছে। জিসিএম বাংলাদেশ সরকারকে যে প্রস্তাব করেছে সে অনুযায়ী বাংলাদেশ পাবে মোট কয়লা উতপাদনের মাত্র ৬%, বাকি ৯৪% পাবে ব্রিটিশ কৌম্পানী জিসিএম। তার উপর তারা ৯ বছর সরকারকে কোন টেক্স দেবেনা। জিসিএম এর হিসাব অনুযায়ী ফুলবাড়ির কয়লা থেকে তারা আয় করবে ২০০ বিলিয়ন ডলার, অন্যদিকে বাংলাদেশ পাবে মাত্র ৭ বিলিয়ন ডলার।
এতো বড় ক্ষতি জেনেও শেখ সেলিম এর মতো আওয়ামী নেতারা সংসদে কয়লা উত্তোলনের জন্য সরকারকে তাগাদা দিয়ে যাচ্ছেন মিলিয়ন ডলারের উপড়ৌকন এর আশায়।
এবার আসি অন্যান্য ক্ষতির হিসাব নিয়ে। আপনারা সবাই জানেন জিসিএম উম্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করতে চাচ্ছে। উম্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুক্ষিত হবে তা নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরলামঃ
১.ফুলবাড়ির জমিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে উর্বর জমি বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে এ এলাকায় বছরে তিনবার ফলন হয়।
উম্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করতে হলে ৬০০০ হেক্টর কৃষি জমি ধংস করতে হবে। এবং কয়লা উত্তোলন শেষে পরিত্যক্ত জায়গায় আগামী ১০০-১৫০ বছর কোন ফসল উতপাদন হবে না।
২.২২০,০০০ মানুষকে ভিটেমাটি ছাড়তে হবে।
৩.প্রতিদিন খনি অঞ্চল থেকে ৮০০ মিলিয়ন লিটার পানি সরিয়ে ফেলতে হবে। যার ফলে আশে পাশের কয়েকশ কিলোমিটার ঘনবসতিপুর্ন অঞ্চল চরম পানির সমস্যায় পড়বে।
এতো বড় ক্ষতি হবে জেনেও সরকারের কিছু মন্ত্রি জিসিএম এর পক্ষে কথা বলে যাচ্ছেন। অন্য দিকে জিসিএম বাংলাদেশে কোন প্রকল্প না থাকা সত্বেও লন্ডন স্টক মার্কেটে ফুলবাড়ি প্রকল্প দেখিয়ে শেয়ার বিক্রি করে যাচ্ছে। জিসিএম এর অপততপরতাকে বাধা দিতে গিয়ে লন্ডনে বসবাসরত অনেক বাংলী চরম ভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন এবং হচ্ছেন।
আগামী সোমবার সকাল ১১ টায় জিসিএম লণ্ডনের টাওয়ার গেইট এ তাদের বার্ষিক সভার(এজিএম) আয়োজন করেছে। লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশিরা সেদিন তাদের বার্ষিক সভার(এজিএম)সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আশা করি লন্ডনের ব্লগার রা বিক্ষোব সমাবেশে উপস্থিত থেকে জিসিএম কে প্রতিরোধ করবেন।
বিক্ষোভ সমাবেশের স্থানঃ Sceptre Court In
৪০ টাওয়ার হিল, লন্ডন। ই সি ৩এন ৪ডি এক্স। eeeeeee of
সময়ঃ সকাল ১০.৩০
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।