আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৫০০ বছর বাংলাদেশে জাহাজ শিল্পের পরত্যাবর্তন:দেশে তৈরি সর্ববৃহৎ ২ টি জাহাজ জার্মান ক্রেতার কাছে শুক্রবার হস্তান্তর হচেছ

একজন খেটে খাওয়া-শ্রমজীবী মানুষ। নিজের অধিকারের কথা বলতে চাই ও অন্যের শুনতে চাই। তাই বলে দেশ, দেশের মাটি, আলো-বাতাশ ও মানুষকে বাদ দিয়ে নয়।

জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ণ মেরিন শিপইয়ার্ড দেশে তৈরি এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ দুটি সমুদ্রগামী জাহাজ ইউরোপে রপ্তানি করতে যাচ্ছে। সর্ববৃহৎ এ জাহাজ দু’টির দৈঘ্য ১০০ মিটার এবং ধারণ ক্ষমতা ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন।

শুক্রবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জার্মান গ্রোনা শিপিং কোম্পানীর কাছে এ জাহাজ হস্তান্তর করা হবে। ১৮ মাস ধরে ওয়েস্টার্ণ মেরিন শিপ ইয়ার্ড ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী এ দু’টি জাহাজ জার্মানির গ্রোনা শিপিং কোম্পানীর জন্য তৈরি করে। বৃহস্পতিবার নগরীর এক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওয়েস্টার্ণ মেরিন শিপ ইয়ার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাহাজ দু’টি হিম শীতল ও প্রতিকূল পরিবেশে ¯^াভাবিকভাবেই চলাচলে সক্ষম। জাহাজ দু’টিতে বিশ্বের উন্নতমানের ৩৮ ধরণের সরঞ্জামাদি স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্বের সকল ধরণের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এ জাহাজ দু’টি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানরা তৈরি করেছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, ইতোপূর্বে ১৫শ’ সালের দিকে জার্মানী বাংলাদেশ থেকে কাঠের জাহাজ আমদানি করে। এরপর আবার ২০১০ সালে প্রথম বারের মতো স্টিলের তৈরি আধুনিক জাহাজ নিয়ে যাচ্ছে। এ জাহাজ নির্মাণে প্রতিটির ক্ষেত্রে ১৫ শত মেট্রিক টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। স্টিল প্লেটগুলো জোড়া দিতে ৬০ মেট্রিক টন ওয়েল্ডিং ইলেকট্রডস ব্যবহার করা হয়। প্রত্যেকটিতে ব্যবহৃত হয় ২২ কিলোমিটার মেরিন ক্যাবল এবং মরিচা প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়েছে মালয়েশিয়ার ২৪ হাজার লিটার পেইন্ট।

জার্মানীর গ্রোনা শিপিং কোম্পানী ‘গ্রোনা এ্যামেরসাম ও গ্রোনা বিয়েসসাম’ নামের এ দু’টি জাহাজ ছাড়াও আরো ১০টি জাহাজ নির্মাণের অর্ডার দিয়েছে। আগামী ২০১১ সালের মধ্যে বাকি ১০টি জাহাজ ওয়েস্টার্ণ মেরিন তৈরি করবে। সংবাদ সম্মেলনে জার্মান কোম্পানী ও ওয়েস্টার্ণ মেরিন শিপ ইয়ার্ডের প্রকল্প পরিকল্পনা সম্পন্নকারী ইস্ট উইন্ড জার্মানীর লারস ব্রেনেকী বক্তব্য রাখেন। এসময় গ্রোনা শিপিং কোম্পানীর পক্ষে মার্কু ভেডর ওয়েস্টার্ণ মেরিন শিপ ইয়ার্ড কর্তৃক নির্মিত এ দু’টি জাহাজ প্রসঙ্গে বলেন, তাদের দেয়া কোয়ালিটির চেয়েও ভাল হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ওয়েস্টার্ণ মেরিন শিপ ইয়ার্ডের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট পরিচালক জালাল খালেদ জাহাজ দু’টি নির্মাণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।