আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুড়ুলের জাউ[রাশিয়ান উপকথা]



ছুটিতে বাড়ী যাচেছ এক বুড়ো সৈনিক। হে্ঁটে হে্ঁটে পা টাটাচেছ; ক্ষিদেও পেয়েছে। এক গ্রামে পৌছেই সে প্রথম কূঁড়েটার দরজায় টোকা দিল। দরজা খোলো গো পথের লোক জিরিয়ে নেবে। দরজা খুলল এক বুড়ী।

বলল: 'এসো, এসো সৈনিক। ' 'দুটি মুখে তোলার মতো কিছু আছে গিন্নীমা?' বুড়ীর সবই ছিল কিন্তু সৈনিককে খাওয়াতে মন উঠল না, ভান করলে যেন অনাথা অভাগা। 'কী আর বলি ভালো মানুষের পো , আমি নিজেই আজ এখনো কিছু মুখে তুলিনি। কিছুই নেই. সৈনিক বলে, নেই যখন নেই ! কি আর করা। ' হঠাৎ তার চোখে পড়ল বেঞ্চির তলায় একটা হাতল ভাঙ্গা কুড়ুল।

বলল, 'আর কিছু যখন নেই তখন ঐ কুড়ুল দিয়েই জাউ বানান যাক। ' বুড়ী হঁ করে তাকিয়ে রইল। বলল: 'কুড়ুলের জাউ ! তা আবার কেমন?' 'দেখোই না ! একাটা পাত্র দাও তো। ' পাত্র নিয়ে এল বুড়ী। সৈনিকটি কুড়ুলটা বেশ করে ধুয়ে পাত্রটায় রাখল।

তারপর জল দিয়ে উনুনে চাপিয়ে দিল। বুড়ীর চোখ একেবারে ছানাবড়া। একটা চামচ নিয়ে ঘট্ঘট্ করে নাড়তে লাগল সৈনিক। চেখে দেখল। বলল, 'এক্ষুনি হয়ে যাবে।

ইস একটু নুন যদি থাকত। ' 'তা নুন বাপু নুন আমার আছে,' বুড়ী বলল 'এই নাও!' নুন দিয়ে আবার চেখে দবলল: 'ইস্, এর মধ্যে এক মুঠু ক্ষুদ যদি পড়ত, তাহলে আর দেখতে হত না। ' বুড়ীভাড়াঁর থেকে ছোট একটা থলে ভর্তি করে এনে দিল। 'তা নাও যেমনটি দরকার তেমনটি করেই রাঁধো !' সৈনিকটি রাঁধছে তো রাঁধছেই। খালি চামচে নাড়ছে আর থেকে থেকেই চাখছে।

বুড়ী আর সেদিক থেকে চোখ ফেরাতে পারে না। 'আহ্, দিব্যি হয়েছে জাউ। শুধু এই সঙ্গে একটু ঘি পড়ত না, তাহলে তোফা হত !' বুড়ী ঘি ও জোগাড় করে আনল। তৈরী হল জাউ। 'নাও খেতে শুরু কর গিন্নীমা।

' দুজনে মিলে খায়, প্রশংসা আর ধরে না। 'দ্যেখো দিকি, ভাবতেই পারিনি যে কুড়ূলের এমন খাসা জাউ হয়,' অবাক হয় বুড়ী। সৈনিকটি খেয়েই চলে আর মিটিমিটি হাসে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.