আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পদ্মাপারের মানদ্রা গাঁয়ে

এখন সবাই ঘুরে বেড়ায় , এটা ভালো...

বঙ্গোপসাগর উত্তাল। উপকূলে প্রবল বর্ষন। টানা বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত। রাস্তা ঘাট প্রায় জনশূন্য। এমন যখন দেশের পরিস্থিতি।

ঠিক সেদিনই শরতের সকালে বউ এর ধাক্কা-ধাক্কি। আমার বউ মজবুত প্রকৃতির মানুষ। শ্যামলা রং , মসৃন চুল। গড়ন মোটা না , তবু অল্প খাবে আর বলবে মোটা হয়ে যাচ্ছি। তবে কোন কাজেই পিছপা হবেনা।

এমন বউ এর দিকে ঘুম ঘূম চোখে তাকাতেই তার আবদার আমাকে বেড়াতে নিয়ে চলো। সারপ্রাইজড হলাম খুব। বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে জেনেও তাকে তৈরী হতে বলে নিজেও বন্দোবস্তে ব্যাস্ত হলাম। বৃষ্টি যতটা আশা করেছিলাম তার চাইতে বেশী। আমরা ছাতা মেলে রিকসার খোঁজে পড়লাম।

এমন বৃষ্টিতে ছাতা কী আর মানে। ভিজলাম ,ভিজে একাকার হলাম। তারপর সাদুল্লাপুরের উদ্দ্যেশে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় চড়ে বসলাম। অটোরিকসা ছুটে চলেছে আমাদের মনও উড়ে চলেছে। ভাল লাগছিল খুব।

আবার বিরম্বনাও ছিল। বাতাসের বেগ আর বৃষ্টির ঝাপটায় কখনও কখনও মনে হচ্ছিল এই বুঝি অটো রিকশা উড়ে চলে যাবে। মিরপুর বেড়ি বাঁধ যাওয়ার পর মন পরিবর্তন হল। আমরা কুমিল্লা যাব মনস্থির করে সায়দাবাদের উদ্দ্যেশে অটো রিকশার গতি পথ পাল্টালাম। কিন্তু গুলিস্তান আসতেই আবার মত পরিবর্তন ,পদ্মার পারে মানদ্রাগাঁয়ে যাব! এরই মধ্যে আমরা দুই ছাতার একটি হারিয়ে কিছুটা বিরম্বনায়।

বিরম্বনার শেষ গুলিস্তান থেকে একটি নতুন ছাতা কিনে। তারপর অনন্দ পরিবহনের বাসে চড়ে মান্দ্রা যাত্রা। ইতিমধ্যে বৃষ্টির ঝাঁঝ আরও বেড়েছে , বাসের জানলা চুঁইয়ে-চুঁইয়ে ভেতরেও পানি চলে আসছে। কী আর করা , শুধু চুপচাপ বসে থাকা! ধলেশ্বরী প্রথম ও দ্বীতিয় সেতু পার হবার সময় বুঝতে পারলাম অনেক দুর চলে এসেছি। এই জোড়া সেতু আমার খুব প্রিয়।

এখানে মটর সাইকেল চালিয়ে খুব আনন্দ পাই। সেতুর নীচ দিয়ে বয়ে চলা ধলেশ্বরী নদীর এই যায়গায় নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর মজাও অন্যরকম। দুরে কাশ বন সারি সারি আর বেদে নৌকার বহর দেখে চোখ চক্চক্ করে উঠলো। বউ তখন প্রথমআলো পড়ায় ব্যাস্ত। এরই মধ্যে কুচিয়ামোরা পার হয়েছি।

সামনে তালুকদার ফিলিংষ্টেশন। এখানে চমৎকার একটি পুকুর আছে। যার সান বাঁধানো ঘাটলার সৌন্দর্য্য পুকুরকেও হার মানায়। একদিন বৃষ্টিতে ভেজার আগেই এখানে আশ্রয় নেই। আবার তেমন আরেক দিন শুধুই আড্ডা মারার জন্য এই তালুকদার ফিলিংষ্টেশনে এসেছিলাম।

বহু স্মৃতিগাঁথা এই পুকুর ঘাট আর এই তালুকদার ফিলিংষ্টেশন। এরই মধ্যে নিমতলীও পেছনে ফেলে এসেছি। তারপর শ্রীনগর পেছনে ফেলে আমরা পৌঁছে যাই মাওয়া ফেরীঘাট। সামনে চিরন্তন পদ্মা। বাংলাদেশের প্রান।

এই পদ্মাকে ঘিরে কত উত্থান-পতনের গল্প। আমরা ছাতা মাথায় কিছু সময় পদ্মার পারে দাঁড়াই , তারপর মন্দ্রার পথে চলি। বৃষ্টির বেগ কমে আসায় আমরা মান্দ্রা যাওয়ার জন্য রিকসা ভাড়া করি। আমাদের সাথে রাজহাঁসের মাংস আর ভাত থাকলেও বউর আবদারে মাওয়া ঘাট থেকে ইলিশভাজা আর চিংড়ি মাছের তরকারি নেই। তারপর একটু এগিয়ে রিকসা থামিয়ে ধোঁয়া ছড়ানো চায়ের কাপে চুমুক লাগাই।

হঠাৎ বৃষ্টি উধাও হয়ে সূর্য খলখলিয়ে হেসে উঠলো। রিকসার হুট উঠাতেই ধাঁধাঁ খাই। কী সুন্দর ফক্ফকে আকাশ। এমন দেখে মন পুলকিত। এখানে রাস্তার দুই পাশে কেবল সবুজ আর সবুজ।

প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে , একেবারে মুগ্ধতা ছড়ানো! গাছে-গাছে ঘেরা ফুল ও নানা রকম ফল গাছে ছাঁওয়া ঝকঝকে, ঝলমলে সে পথ। তবে ফল গাছই বেশী এখানে। সুপারি , নারিকেল , চালতা ,জাম্বুরা ,আমড়া , আম , খেজুর ,কলা ,গাব , তেঁতুল ,পেপে , নিম , কাঁঠাল ,বরই ,জাম , কতবেল , পেয়ারা কতকী। এমন ফল গাছে ভরা পথ আগে কোথাও দেখেছি বলে মনে পড়লোনা। এখানে ফল ভর্তি নিম গাছ।

ফুল ধরা বরই গাছ পথে পথে। । রেইনট্রি বিথীও চোখে পড়লো। কিছুদুর পরপর রাস্তার দুই পাশে কচুরি পানা ভর্তি ডোবা। বামের রাস্তার তেমন এক ডোবায় লাল শাপলা ফুটে আছে।

আর সে ডোবার স্বচ্ছ জলে সাতার কেটে চলেছে এক ঝাঁক রাজঁহাস। রাজহাঁস দেখে আমাদের হট্পটে থাকা রাজহাঁসের মাংসের কথা আবার মনে পড়ে গেল। এবার পেটে ধিার টানটা খুব ভালো ভাবে অনুভব করলাম! আমাদের রিকসা এখন কান্দিপাড়ার পথ ধরে চলছে। এখানে চমৎকার সব টিনের বাড়ি। বাড়ি গুলোর কোনটা দো-চালা , কোনটা আবার চৌ-চালা।

এমন সুন্দর ঘর-দোর উপজেলা শ্রীনগরের নিজস্ব সৌন্দর্য্য। এমন টিনের বাড়ির সৌন্দর্য্য অন্য কোথাও খুব একটা চোখে পরেনা। ভাবছি এমন একটি বাড়ি যদি আমাদের থাকতো! কথাটা আমার বউকে বলতেই মুচকি হেসে সে বললো , ‘এমন কথা মনে আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু বেশী দিন থাকতে পারবেনা এখানে। এক সময় ঢাকা ফেরার জন্য মন ছটফট করবেই।

’ তার কথায় যুক্তি আছে। আমরা তার সে যুক্তিতে ভর করে সামনে এগোই। মাওয়া থেকে মাত্র ছয় কিলোমিটারের পথ মান্দ্রাগাঁ। এখানে পথ খুব আঁকা-বাকা, তাই রিকসা চলছে খুব ধীর গতিতে। এখানে আঁকা-বাকা এই পথের বাঁকে ভ্যান গাড়িতে ছোট্ট একটি মেয়ে বসে আছে দেখে অবাক হই।

আমরা মেয়েটির পাশে রিকসা থামাই। ডলি নামের সেই মেয়েটির বাবা পাশের বাড়িতে গেছে , তার ইচ্ছে করেনি তাই সে যায়নি। একা একা গাড়িতে বসে থাকতে তার খারাপ লাগছেনা। অথচ ডলির ছোট্ট সারা গা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। আমরা ডলিকে সাথে থাকা চকলেট খেতে দিয়ে আরও সামনে যাই।

এখানে তেঁতুল গাছে তেঁতুল ঝুলে আছে। পাশের বাড়ির পিচ্চি-পাচ্চা ভিড় করে গাছ থেকে তেঁতুল পাড়ছে। আমাদের ঢাকাইয়া ভাষায় তেঁতুল হলো আমলি। হিন্দিতে বলে ইমলি। আমার বউ এর দু-হাত ভরে যায় পিচ্চি-পাচ্চাদের তেঁতুল বা আমলি উপহারে! আমরাও ওদের চকলেট খেতে দেই।

কথায় আছে তেঁতুলের সাথে ভুতের সম্পর্ক। আমি তেঁতুল গাছ নিয়ে একটা ভূতের গল্প শুরু করি। আমার বউ এর কাছে ভূত-টুতের সে গল্প পাত্তা পায়না। মেয়েরা একটু তেঁতুল প্রিয়। সে আপন মনে কাঁচা তেঁতুলে কামড় লাগায়।

এখানে সারা পথই ক্যামেরা নিয়ে ছবি তোলার মত। গাড়ি খুব কম এই রাস্তায় , হাতে গোনা। রিকসা চলে আর চলে মটর সাইকেল। রাস্তা এবড়ো থেবড়ো নয়। হাওয়ায় কেমন উদাস গন্ধ।

মাথার উপর দিয়ে ক-খানা ঘুঘু উড়ে গেল। বাসে বউ থুব অসুবিধায় ছিলো , দম বন্ধ হওয়া অবস্থা। কিন্তু মুক্ত বাতাসে সে উচ্ছল প্রানবন্ত। ফাঁকা রাস্তা তবু বেল বাজিয়ে একটি সাইকেল চলে গেল। গ্রামে এমন হয় , সম্ভবত পাশের বাড়ির মেয়েটিকে জানান দেয়া! আমাদের রিকসাওয়ালা লতিফ যশোর থেকে এখানে রিকসা চালাতে এসেছে।

রিকসা হাতে সে নতুন হলেও আমাদের খুব সাবধানে নিয়ে যাচ্ছে। কখনো প্রয়োজন অনুযায়ি রিকসা থামাচ্ছে আমরা ক্যামেরায় ছবি ধারন করে চলেছি। এখানে কিছুদুর পর পর মাটি ভরাট করে েেতর মধ্যে নতুন বাড়ি তোলার ধুম পড়েছে। সবাই বাড়ি তৈরী করেনা , ভাগ্যকূল বাজারে রেডিমেট বাড়ি পাওয়া যায়। সে বাড়ি কিনে শুধু যায়গা মতো বসিয়ে দিলেই হয়ে গেল নতুন বাড়ি।

আমাদের সামনে এখন বিশাল ধনিচা তে। আর ভাকুর্তার তেলাকুচের মতই সারা পথ ভরে আছে চিচিংগাতে। সামনেই একটি ডোবায় বাচ্চারা পানিতে নেমে কচুর লতি তুলছে। কেউবা ছিপফেলে বা জাল পেতে মাছ ধরছে। মাছ ধারার অনন্দ অনেক।

এসব দেখে আমারও পানিতে নেমে যেতে ইচ্ছে হলো। কিন্তু আপাতত উপায় নেই। ‘আর কতদুর’ রিকসা ওয়ালাকে প্রশ্ন করার আগেই সামনে আমাদের চিরচেনা মান্দ্রাগাঁ চোখে পড়লো। মাওয়া ঘাট থেকে আমরা ঠিক আধা ঘন্টায় মান্দ্রা পৌঁছালাম। এ-বছর শীতের স্পর্শে এসেছিলাম মান্দ্রা গ্রামে।

এবার শরতে এলেও অবস্থা ঠিক বর্ষাকালিন। আজকের মত বৃষ্টি এবার বর্ষায়ও চোখে দেখিনি। ঝুম বৃষ্টিতে কোন লোক কাজেই বের হয়নি। অথচ আমরা পদ্মার পাড়ে বেড়াতে এসেছি। আমাদের সামনে এখন প্রমত্তা পদ্মা।

তার পেছনে মান্দ্রা গ্রাম। যেখানে আজ মাছ ধরার ধুম পড়েছে। । আজকের অবিরাম বর্ষনে কারো কারো বাড়ির পুকুরের পানি বেড়ে যাওয়ায় পানি উপচে মাছ বেরিয়ে যাচ্ছে । সেই মাছ ধরার জন্য মান্দ্রা গ্রামে উৎসবের আমেজ স্পষ্ট।

পলো বা ঠেলা জালে আবার কেউবা হাতিয়ে মাছ ধরছে। তেমনি একজন কনিকা। দুই হাতে দুই কৈ মাছ ধরে তার কী উল্লাস! একদৌড়ে সে বাড়িতে। বাচ্চাদের সাথে কিছু মহিলাও কোমরে আঁচল পেঁচিয়ে পানির ঢলে নেমে পড়েছেন। পিছিয়ে নেই আমার বউও।

তাকিয়ে দেখি সে প্যান্ট গুটিয়ে পানিতে মাছ হাতিয়ে চলেছে। শেষে, ঢলের পানি হাতিয়ে সেও একটি পারশে মাছ ধরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লো। আবার বৃষ্টি পড়ছে। একবার বৃষ্টি শুরু হলে আর শেষ হতে চায়না। আমরা ছাতা খুললাম।

গ্রাম অঞ্চলের বৃষ্টি শহরের বৃষ্টির চাইতে আলাদা। একগুঁয়ে জংলি। আমাদের ভেজার উপক্রম হতেই দৃশ্যপটে রমজানার আবির্ভাব। সে আমাদের পূর্ব পরিচিত। মান্দ্রা গ্রামের সবাই জানে আমরা রমজানাদের আত্মীয়।

আমার বউ রমজানার খালাতো বোন। আমরা রমজানাদের বাড়িতে যাই। সারাদিনের বৃষ্টিতে উঠোন কাঁদা হয়ে আছে। তবু সুন্দর করে সাজানো রমজানাদের বাড়ির আঙ্গিনা চোখ বুলালেই বোঝা যায়। তাদের দো-চালা বাড়িটা চমৎকার কারুকার্যময়।

আমরা রমজানাদের বড় ঘরে উঠি , রমজানাকে নিয়ে রাজহাঁসের মাংস দিয়ে ভাত খাই। তারপর চলে আসি পদ্মারপার। এখন বৃষ্টি নেই। প্রচুর লোক পদ্মার পারে। সবাই এলাকার লোক।

এদিকে বাইরের লোকজন কম। একেবারে আসেনা বললেই চলে। অথচ মান্দ্রা গ্রাম থেকে পদ্মার সৌন্দর্য অন্য রকম। যতবার এসেছি নতুন রুপে পেয়েছি। এখন পদ্মা ফুঁসছে।

ভাঙ্গছে পদ্মার পার। এখান থেকে ডানে তাকালে চোখে পড়ে ভাগ্যকূল বাজার। যেখানে ভাঙ্গনের শব্দ ষ্পষ্ট। মান্দ্রা গ্রামও ভাঙ্গন এড়াতে পারেনি। ভাগ্যকূল বাজার সরিয়ে নেয়া হচ্ছে , গ্রামের মানুষ ও যে যেভাব পারছে বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন।

কী এক হাহাকার সবার মধ্যে! সবার সে একই কথা আগামী বছর এ সব বাড়ি-ঘর থাকবেনা। আমরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সামনে তাকাই। এগিয়ে আসছে একটি পাল তোলা বড় নৌকা। এমন দৃশ্য সচরাচর চোখে পড়েনা। সবইতো এখন ট্রলার , ইঞ্জিন চালিত নৌকা।

পাল চালিত নৌকা দেখে আমাদের মনের পালেও হাওয়া লাগে। পদ্মার পানিতে পা ভেজাই। ছবি তুলি। এরপর বিরতি দিয়ে আসা শুরু করে ইলিশের নৌকা। কারো নৌকায় ইলিশ আছে , কারো নেই! এভাবেই আমরা সতেরটা ইলিশ মাছ কিনে ফেলি এবং পুলিন চক্রবর্তীর নৌকায় একটি জ্যান্ত ইলিশও দেখে ফেলি।

দশমিনিট আগে তাঁর জালে মাছটি ধরা পড়েছে। আমরা ডিজিটাল ক্যামেরায় সেই ইলিশের ভিডিও চিত্র ধারন করি। ইলিশ আলো দেখলে মারা যায় শুনেছি কিন্তু আমরা জ্যান্ত ইলিশের দেখা পেলাম! জ্যান্ত ইলিশ দেখে আমার বউর সে কী উচ্ছ্বাস! তার এক কথা এবার জীবনটা স্বার্থক মনে হচ্ছে ! সন্ধ্যা গড়িয়ে গেছে। পদ্মার পারে রমজানার দেয়া চ্যায়ারে বসে আমরা । রমজানা মুড়ি , চানাচুর মাখিয়ে এনেছে।

আমি তাতে হাত লাগাই। বৃষ্টি নেই , আকাশ ফক্ফকা। খুব সেজে গুজে আকাশে চাঁদ উঠেছে। আমার বউ আকাশের দিকে মুখ তুলে নিজের মনে হাঁসতে যাবে , তার আগেই সে দেখে চাঁদটা হাঁসছে ঠোঁট টিপে! মান্দ্রা যেতে হলে: ঢাকার গুলিস্তান থেকে আরাম বাসে উঠে নামতে হবে বালাসুর , ভাড়া পঁয়তাল্লিশ টাকা। সেখান থেকে রিকসায় মান্দ্রা গাঁয়ের ভাড়া দশ টাকা।

এটা সহজ পথ। মাওয়া হয়েও মান্দ্রা যাওয়া যায়। যে পথে আমরা গিয়েছি। সে েেত্র গুলিস্তান থেকে আনন্দ পরিবহনে মাওয়া যেতে হবে। সেখান থেকে রিকসায় মান্দ্রা গাঁ।

দিনে গিয়ে দিনেই ফেরা যায়। সে েেত্র দল বেঁধে যাওয়াই ভালো এবং মাওয়া দিয়ে। নিজস্ব যান হলে খুব ভালো। তারপর একদিনেই মাওয়া ঘাট , ইলিশ মাছ , মান্দ্রা গাঁ , ভাগ্যকূল বাজার , ভাগ্যকূল জমিদার বাড়ি , হুমাযূন আজাদের রাঢ়িখাল ,বিজ্ঞানী জগদ্বীশ চন্দ্র বসুর বাড়ি সহ বালাসুর বাজার ঘুরে আসুন। প্রতিদিন বালাসুর বাজারে বসে পদ্মার ইলিশের হাঁট।

এখানে চাঁদপুরের ইলিশ মাছও পাওয়া যায়। বরফ দেয়া মাছ হলো চাঁদপুরের। তাছাড়া এখানে প্রচুর রিঠা মাছ উঠে। আর পাওয়া যায় বাঘাইর এবং চিংড়ি মাছ। ভাগ্যক’লের দধি-মিষ্টি খুব প্রসিদ্দ।

মাছ কিনতে গিয়ে দধি-মিষ্টির কথা ভুলবেন না যেন! আর সাথে অবশ্যই ক্যামেরা নিবেন। আলোকচিত্রী বন্ধুদের বিশেষ আমন্ত্রন একবার ঘুরে আসুন!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।