একটি অনিয়মিত লিটল ম্যাগাজিন
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় বোরো বীজের সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলা বিএডিসি বীজ বিপনন কেন্দ্রে (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) বীজ নিতে এসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা বীজ না পেয়ে প্রতিদিন খালি হাতে বাড়ি ফিরছে। কৃষকদের অভিযোগ, বিএডিসির বীজ বিপনন কেন্দ্রের বীজ রক্ষক কৃষকদের কাছে বীজ বিক্রি না করে কালো বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। ফলে বিএডিসির গুদামে বীজ না থাকায় কৃষকেরা বীজ পাচ্ছেন না।
কৃষকরা জানান, ১০ কেজি ওজনের এক বস্তা বোরো বীজের সরকারী মূল্য ৩৩০ টাকা নির্ধারন করা হলেও বীজ সংকটের সুযোগ নিয়ে ডিলাররা প্রতি ১০ কেজি ওজনের বস্তা বিক্রি করছেন ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে বোরো মৌসুমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এ জন্য ৪শ ৭ টন বোরো বীজের প্রয়োজন। এ বোরো বীজ বিএডিসি ও বিভিন্ন কোম্পানী সহ স্থানীয় কৃষক পর্যায় থেকে সরবরাহ করা হবে। কিন্তু উপজেলা বিএডিসি বীজ বিপনন কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিআর-২৯ ও বিআর-৪৭ জাতের দুই প্রকারের বোরো বীজ সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ৪টন। সেই বীজ বিএডিসির গুদামে আসা মাত্র তা কালো বাজারে বিক্রি হয়ে গেছে।
ফলে কৃষকরা উপজেলা বিএডিসি বীজ বিপনন কেন্দ্রে প্রতিদিন বীজের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেও বীজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছে। গতকাল রোববার উপজেলা বীজ বিপনন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বীজ নিতে আসা অর্ধ শতাধিক কৃষক সারাদিন বীজের জন্য অপেক্ষা করেও বীজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছে। উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের নিজ পাড়া গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী, আব্দুস ছালাম, সবুজ মিয়া, আকবার আলী, তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দেবু গ্রামের নজরুল ইসলাম, ইছাহাক আলী, পীরগাছা সদর ইউনিয়নের অনন্তরাম গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম, তাজরুল ইসলাম, সোহেলা রানা ও আব্দস সামাদ সহ আরো অনেকে জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে বীজের জন্য ঘুরেও তারা বীজ পাচ্ছেন না। উপজেলা বীজ বিপনন কেন্দ্রের বীজ রক্ষক হারাধন চন্দ্র বর্ম্মন কালো বাজারে বীজ বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন, বিআর-২৯ ও বিআর-৪৭ জাতের ৪টন বীজ সরবরাহ পাওয়া গেছে। যা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
এবং তা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
উপজেলা বিএডিসির বীজ ডিলার গোফরান ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বেশী দামে বীজ বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি দুই টন বোরো বীজ সরবরাহ পেয়েছিলাম তা সরকার নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি করে দিয়েছি।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারন কর্মকর্তা মকবুল হোসেন জানান, বিএডিসি বীজ বিপনন কেন্দ্রে শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগ বীজ সরবরাহ পেয়ে থাকে বাকি বীজ বিভিন্ন বে-সরকারী বীজ কোম্পানী থেকে সরবরাহ হয়ে থাকে। তাই বিএডিসি বীজ বিপনন কেন্দ্রে বীজ সংকট দেখা দিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।