ফেসবুকে আমারে "বিডি আইডল" নামে সার্চ দিয়া পাওয়া যাবে
গত ৩ দিন খালেদা জিয়ার বাড়ী বিষয়ক সব কয়টি প্রেস রিলিজের মাধ্যে মিথ্যা তথ্য দেয়ার পর আজ সকালে সামরিক বাহিনীর এই প্রেস উইং আমাদের জানাচ্ছেনঃ
"তার (খালেদা জিয়ার) নিজস্ব পরিবহন পুলে আটটি অত্যাধুনিক মডেলের গাড়ির উপস্থিতি এবং একটি মাত্র পরিবারের জন্য ৫০ জনের মতো পরিচারক/পরিচারিকা থাকা তার বিলাসবহুল জীবন যাপনের সাক্ষ্য বহন করে। "
"তাকে (খালেদা জিয়াকে) বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানোর পর খালেদা জিয়া 'আয়েশি' ভঙ্গীতে প্রস্তুত হতে থাকেন। তার অনাবশ্যক দেরি দেখে দুজন নারী কর্মকর্তা তার দরজায় টোকা দিলে তিনি (খালেদা) ক্ষেপে গিয়ে দুর্ব্যবহার করেন। "
"তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অকৃতজ্ঞ কুকুর ও জাতীয় দুষমণ বলতে দ্বিধাবোধ করেননি। সবার সামনে চিৎকার করে বলতে থাকেন- 'আমি সবার চেহারা চিনে রাখছি, ক্ষমতায় যেয়ে একে একে লাথি দিয়ে চাকরি থেকে বের করে দেবো'।
"
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এইভাবে আইএসপিআরকে আওয়ামী প্রেস উইংয়ে অর্ন্তভুক্ত করায় আন্তরিক অভিনন্দন জানাই!!
এই বিষয়ে ফেসবুকে আরিফ জেবতিকের একটি নোটঃ
খালেদা জিয়ার বাড়ি আর সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক সংযুক্তি : সাধু সাবধান!!
আজকে সকালে আইএসপিআর একটি মিথ্যা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছে যে খালেদা জিয়া সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত তাঁর সেনানিবাসের বাড়িটি স্বেচ্ছায় ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছেন! যারা দেশে গনতান্ত্রিক আবহের বাইরে একটি সুশীল-সেনামিশ্রিত ক্ষমতা চর্চার ধারা সৃষ্টির জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে, সেই বিশেষ মিডিয়া কর্তৃপক্ষও আমাদেরকে আজ সকালে একই খবর সরবরাহ করেছেন। বিশেষ সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিঢ় যোগাযোগ রেখে তাদের পারপাস সার্ভ করা এসব বিশেষ চক্রের একসঙ্গে সক্রিয় হয়ে ওঠাটা ইশারাজ্ঞাপক ও সন্দেহজনক। দিনের ঘটনা প্রবাহে এ কথা পরিস্কার যে খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না এবং একমাত্র গায়ের জোরেই তাকে উচ্ছেদ করা যাবে। ( এখন সে চেষ্টাই চলছে)।
খালেদা জিয়ার বাড়ি এখন একটি রাজনৈতিক ইস্যু, এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অহমের লড়াই জড়িত। আমরা আম জনতা এই খেলা দেখে বিরক্ত হতে পারি, ক্ষুব্ধ হতে পারি, কিন্তু এর বাইরে আমাদের আসলে কোনো ভুমিকা নেই। কিন্তু আতঙ্কজনক বিষয় হচ্ছে এই অহমের লড়াইতে সেনা কর্তৃপক্ষের জড়িত হয়ে পড়া। আইনি ব্যাখ্যায় যদি সেনাবাহিনী তাদের জায়গা ফেরত নেয়ার ব্যাপারে বৈধ হয়, তাহলে তারা সেটি ফেরত নিতে পারে। লীগ-দলের অহমের লড়াইতে কেউই সেনাবাহিনীকে দুষবে না।
কিন্তু মিথ্যা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার, বিশেষ বিশেষ মিডিয়াকে দিয়ে হেডলাইন নিউজ করানো, এসব আশঙ্কাজনক।
সেনাকর্তৃপক্ষকে রাজনৈতিক একটি পক্ষ বানানোর এই খেলা বিপদজনক। যারা এই খেলা শুরু করেছেন, তাদেরকে বিনীত ভাবে পাকিস্তানের অবস্থা দেখতে অনুরোধ করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।